মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাজেটে অর্থ পাচারে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে: টিআইবি

'নামমাত্র কর' দিয়ে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিধান সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক, সংশ্লিষ্ট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক এবং অর্থ পাচারের মত ঘৃণিত অপরাধের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার নামান্তর বলে মন্তব্য করে এই ন্যাক্কারজনক প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শুক্রবার (১০ জুন) টিআইবির এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমণ এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা, সরকারি ব্যয়ে সংকুলান এবং বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করার যুক্তিতে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের অভূতপূর্ব অনৈতিক এক প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি যেভাবেই ব্যাখ্যা করেন না কেন- নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা ও পুরস্কার প্রদান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অথচ অর্থপাচার রোধ আইন ২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ, দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচারকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং তার দ্বিগুন জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে। এই সুযোগ অর্থ পাচার তথা সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে, যা সংবিধান পরিপন্থী এবং প্রধানমন্ত্রীর 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতা' ঘোষণার অবমাননাকর।

টিআইবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্যদিকে যারা বৈধ উপার্জননির্ভর করদাতা তাদের জন্য এই প্রস্তাব প্রকটভাবে বৈষম্যমূলক, কারণ তারা ৭ শতাংশের কমপক্ষে তিনগুণ হারে কর দিয়ে থাকেন। এটি বৈষম্য ও সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী। অবিলম্বে এ সুযোগ বাতিল করতে হবে এবং অর্থপাচারকারীদের জবাবদিহীতা নিশ্চিতের জন্য যে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনি প্রক্রিয়া নির্ধারিত রয়েছে তা অনুসরণ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান বিগত বছরগুলোর মতই কালো টাকা সাদা করার বেআইনি ও অন্যায় সুযোগের ধারাবাহিকতা মাত্র, যা স্থানিক থেকে বৈশ্বিক করা হলো- এমন মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এতে বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ দেশের অর্থনীতির মূলধারায় সংযুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও আয়কর রাজস্ব বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

কিন্তু আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বারবার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি, সরকারও আকাঙ্খিত রাজস্ব পায়নি। তাই নতুন এই বিশেষ বিধানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে তা না বললেও চলে। কারণ যারা অর্থ পাচার করেছেন তারা এধরণের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিয়ে আসবে, এরকম দিবাস্বপ্নের কোন ভিত্তি নেই। বিশেষ করে, যেখানে পাচারকৃত দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি ব্যতিরেকে এই অর্থ বা সম্পদ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।

বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীরাই শুধু স্বস্তি বোধ করবেন, পুলকিত হবেন। অর্থপাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থপাচার আরো বিস্তৃতি ও গভীরতা লাভ করবে। এই অন্যায়, অপরিনামদর্শী ও আত্মঘাতি পথ থেকে সরে আসার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আমদানি মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা, আমদনি ব্যয় বেড়ে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মতো বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটগুলোকে স্বীকার করলেও এগুলোকে মোকাবিলায় কার্যকর কৌশল বা পথ নির্দেশিকা দিতে পারেননি মন্তব্য করে ড. জামান বলেন, প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীকে আরো বড় করার প্রত্যাশা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার তেমন কোনো নিদর্শন দেখা যায়নি। বরং সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয়কে বড় করে দেখাতে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, করোনার অভিঘাত উত্তরণে দেয়া ঋণের সুদ মওকুফকে অর্ন্তভূক্ত করে দেখানো হয়েছে, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর অংশই নয়!

এমন বাস্তবতায় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর উল্লিখিত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করার কার্যকর কৌশল নির্ধারণে বাস্তবসম্মত ও নিরপেক্ষ দিক নির্দেশনার জন্য সুখ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের জন্য বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেটকে ঢেলে সাজানো উচিত।
আরইউ/এএজেড

Header Ad
Header Ad

রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য

রাশেদ রাজন (বামে) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি চারজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ হয়েছে জনসংযোগ দপ্তরে, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ রাজন) নিযুক্ত হয়েছেন। তার নিয়োগকে কেন্দ্র করে কিছু বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ তোলেন এবং তার অপসারণ দাবি করেন।

তবে এ বিষয়ে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি বলেন, এই নিয়োগে কোনো আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়নি। যারা এটা নিয়ে আলোচনা করছেন, তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। এখানে কোনো কোটার প্রশ্ন নেই, কোনো সমন্বয়কের প্রশ্ন নেই। আমরা তাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছি। সেটা তারা পালন করতে পারলে থাকবে, না পারলে থাকবে না।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে উপাচার্য সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রয়োজন মনে করলে অর্ডিন্যান্সের ভেতরে পরিষ্কার আছে যে তিনি ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারেন। এ নিয়োগের বৈধতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, তারা হয় লেখাপড়া জানে না অথবা না জেনে কথা বলছে। কাজেই এ বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় পরিষ্কার করি, এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক ভিত্তিতে শতাধিক লোক কাজ করছে। এটা একেবারে রুটিন ব্যাপার। কে কীভাবে কী করেছে, সে দায়-দায়িত্ব আমার নয়। আমি যে সময়টায় আছি, এ ছয় মাসের সময়ে স্বচ্ছতার বাইরে কোনোভাবে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এদিকে অধ্যাপক নকীব উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে দুইজন, মেডিকেল সেন্টার ও জনসংযোগ অফিসে একজন করে মোট চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অ্যাডহক নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য জানান, চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রয়োজন অনুযায়ী একজন চক্ষু চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইসিটি সেন্টারের নতুন পরিচালক যোগ দিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণ করে একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যেখানে দুজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডহক নিয়োগ স্থায়ী নয়; পারফরম্যান্স বিবেচনায় পরবর্তীতে স্থায়ী করার জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আইসিটি সেন্টারে নিয়োগ পাওয়া দুজন সম্পর্কে উপাচার্যের কোনো পূর্বপরিচয় নেই; পরিচালকই তাদের দক্ষ মনে করে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে না জেনে যে নয়েজ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটি অনভিপ্রেত।

রাশেদ রাজনের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিষয়ে যে কথাটা বলা হচ্ছে, সেটা ডাহা মিথ্যা কথা। তাকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতার অভাবে এ ধরনের প্রশ্ন উঠছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অর্জন রয়েছে, কিন্তু প্রচার-প্রসার কম। তাই দ্রুত একজনকে বাছাই করা হয়েছে, যদিও আরও অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকতে পারেন। নবনিযুক্ত ব্যক্তি যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে থাকবেন, না হলে নয়। এতে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেনি এবং এটি সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী হয়েছে। আমাদের দুইশোর বেশি অ্যাডহক নিয়োগ রয়েছে, এখন আমি প্রশ্ন রাখতে চাই— এই তিন-চারটি নিয়ে এত ভয়ংকর উত্তেজনা কেন?

সর্বশেষে উপাচার্য বলেন, এখানে কোনো কোটার প্রশ্ন নেই, কোনো সমন্বয়কের প্রশ্ন নেই। আমরা তাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছি। সেটা তারা পালন করতে পারলে, আমরা ঠিক কাজ করেছি। পালন না করতে পারলে, আমাদের কাজ ঠিক হয়নি।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী

স্ত্রী ও সন্তানসহ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী আগামী ১৭ মার্চ সিলেট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন। তিনি বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলছেন এবং ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের আসন্ন ম্যাচের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।

জানা গেছে, ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি সিলেটে আসবেন হামজা। হবিগঞ্জে একদিন কাটিয়ে পরদিন বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে ঢাকা আসবেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও জাতীয় দল কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে হামজার আগমন সম্পর্কে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বাফুফে কর্মকর্তারা জানান, হামজার আগমন নিয়ে তারা বেশ কিছুদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হামজা তার পরিবারসহ সিলেটে আসার পরিকল্পনা করেছেন, যেহেতু তার পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জে। ইংল্যান্ড থেকে সিলেট আসার জন্য তিনি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ১৭ মার্চ সকালেই পৌঁছাবেন।

হামজাকে বিজনেস ক্লাস টিকিট প্রদান করবে বাফুফে এবং তার সাথে স্ত্রী ও সন্তানও আসবেন বলে জানা গেছে। হামজার সিলেটে আগমনের পর বাফুফে তার নিরাপত্তা এবং বরণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেবে।

এদিকে, বাংলাদেশ ফুটবল দল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে আগামীকাল সৌদি আরব রওনা হবে। সেখানে ক্যাম্প শেষে ১৭ মার্চ রাতে ফুটবলাররা দেশে ফিরবেন। সৌদি আরবে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাও রয়েছে, যার মধ্যে সুদানের সঙ্গে একটি ম্যাচ হতে পারে। বাংলাদেশ দল তায়েফে ক্যাম্প করবে এবং বাফুফে সৌদি আরবের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে মাঠ এবং হোটেল বিষয়ক কাজ করছে।

আজ সন্ধ্যায় কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বাফুফে সভাপতি, কোচ এবং ম্যানেজারের সাথে আজ দুপুরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন এবং ভারত ম্যাচের জন্য দলকে উৎসাহিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!

সালমান খান ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

তামিল পরিচালক অ্যাটলি কুমারের নতুন সিনেমা নিয়ে উত্তেজনা কমছে না। ‘জাওয়ান’-এর সফলতার পর এবার অ্যাটলি তাঁর পরবর্তী মেগাবাজেট সিনেমা নিয়ে আসছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সালমান খানকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন তিনি।

তবে এখন জানা গেছে, এই সিনেমায় থাকছেন না সালমান খান। বরং, পরিচালক এবার তার জায়গায় দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘পুষ্পা ২’ তারকা মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনও বাকি। শুটিং শিডিউল নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে পরিচালক-অভিনেতার। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের মধ্যেই প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে পুরোদমে।

কিন্তু হঠ কেন সালমান খানকে বাদ দিতে হল? এ বিষয়ে জানা গেছে, পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে অ্যাটলি পরিচালিত এই সিনেমার প্রযোজনা করবে ডাকসাইটে তামিল প্রযোজনা সংস্থা সান পিকচার্স। যারা এই পিরিয়ড ড্রামার জন্য ৬০০ কোটির বাজেট নির্ধারণ করেছেন। আর সেই প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকেই নাকি আপত্তি উঠেছে।

সালমান খান-অ্যাটলি কুমার ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

প্রযোজক নাকি সালমানের ওপর মেগাবাজেট সিনেমার ভার ছাড়তে নারাজ। সম্ভবত ভাইজানের বিগত কয়েক বছরের বক্স অফিসের গ্রাফ দেখেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের! আর সেই জন্যই আল্লু অর্জুনকে বেছে নিয়েছেন তারা। যে ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দৌলতে একাই দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিকে ৩০০০ কোটির ব্যবসা দিয়েছিল।

চব্বিশ সালের শেষের দিকেই শোনা গিয়েছিল, অ্যাটলির সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন সালমান খান। বিগ বাজেট সিনেমার স্টারকাস্টে যে দক্ষিণী পরিচালক বড় চমক দেবেন, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল তখন। ভারতীয় বিনোদুনিয়ার দুই মেগাস্টার রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের নামও শোনা গিয়েছে। তবে সালমান না থাকলেও দক্ষিণের এই দুই তারকাকে দেখা যাবে সিনেমায়।

‘জাওয়ান’ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলতেই গত দুই বছর ধরে অ্যাটলি মগ্ন নতুন সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাকশন প্যাকড সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। গত বছর দিনরাত এক করে পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে এই মেগা বাজেট সিনেমার কাজ করছেন অ্যাটলি কুমার। চিত্রনাট্যে অতীত এবং বর্তমান দুই সময়কাল ধরা হবে।

জানা গেছে, অ্যাটলি চিত্রনাট্য এমনভাবে তৈরি করছেন, যেরকম পিরিয়ডিক গল্প আগে কোনওদিন সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। কাল্পনিক জগতের আঁধারে সিনেমাতে থাকবে রুদ্ধশ্বাস সব দৃশ্য। অ্যাটলির ফ্রেমে যোদ্ধার অবতারে চমক দেবেন আল্লু। যেহেতু অতীত-বর্তমান মিলিয়ে গল্প সাজানো হচ্ছে, তাই আপাতত চিত্রনাট্যে ঘষামাঝা করতে ব্যস্ত পরিচালক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার