মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পদ্মা সেতু

‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ’ প্রস্তাবের উপর ৬ ঘণ্টার আলোচনা

বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ় নেতৃত্বের জন্য সংসদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৮ জুন) বিকাল সোয়া ৫টায় প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর টানা আলোচনা চলে রাত ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। ৬ ঘণ্টার অধিক আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী, সরকারি ও বিরোধী দলীয় ৩৮ জন মন্ত্রী-এমপি। আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্ব-সম্মতভাবে গৃহীত হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। টেকনোলজি সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশে যে নিজেরা পারে এই ধারণাটা, এটাই বাংলাদেশের মর্যাদা সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কার্য প্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব সাধারণ উত্থাপন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী।

প্রস্তাব উত্থাপনের বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে আলোচনার সূত্রপাত করেন চিফ হুইপ। এরপর আলোচনা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তারপর একে একে আলোচনা করেন, প্রবীণ সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, জাসদ (একাংশের) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, শাজাহান খান, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ চন্দ, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ইকবাল হোসেন অপু, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম, বিএনপির রুমিন ফারহানা।

প্রস্তাব সাধারণে বলা হয়- সংসদের অভিমত এই যে, আগামী ২৫ জুন, ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু কাঙ্ক্ষিত সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করবেন। এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার তিন কোটির অধিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। চার লেনের হাইওয়ে এবং এক লেনের রেললাইন সম্বলিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু আজ পরম বাস্তবতা। বাঙালির অহংকার, আত্মপ্রত্যয়, সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই অর্জন ও কৃতিত্বের দাবিদার একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি, বিশ্ব ব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা ছিলেন তার পিতার মতো আপোষহীন, অটল ও অবিচল। কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনা সেদিন মাথা নত করেননি। ২০১২ সালের ৮ জুলাই এই মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই হবে। বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। সে সময়ে কিছু অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেল সংযোগের কারণে প্রথমবারের মতো সমগ্র দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোর আওতায় চলে আসবে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে দেশের জিডিপি বাড়বে প্রতি বছর অন্তত ১.২৩ শতাংশ। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চালিত হবে এবং এর ফলে দক্ষিণাঞ্চল আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি। সকল প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের অতুলনীয় নিদর্শন। পদ্মা সেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আজ এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। জাতির পিতা শেখ মুজিব বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সংগ্রাম করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ সেই অর্থনৈতিক মুক্তির এক অনন্য সোপান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা এবং জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেয়ার জন্য জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হোক।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের মর্যাদার প্রতীক। অপমানের প্রতিশোধের প্রতীক। সবাইকে অপমান করেছে, গোটা জাতিকে অপমান করেছে, অসম্মান করেছে। এই সেতুকে আমি দেখি অপমানের প্রতিশোধ হিসেবে।

প্রস্তাব উত্থাপন করে চিফ হুইপ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে। এ সেতু বাঙালির অহংকার, একমাত্র কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পিতার মতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দৃঢ় প্রত্যয়ী, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ দীর্ঘ সেতুর কল্যাণে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়, সাহসী ও পরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে।

প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন। আজ তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। যা ১০ বছর আগেই কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, আজ সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়ে গেছে। ২৫ জুন সেই পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আমরা প্রধামন্ত্রীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ। পদ্মা সেতুর কারণে ২১টি জেলার উন্নতি হবে, সারাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।

তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সাহসী প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়কন্ঠে বলেছিলেন- নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করব। দেশবাসী হতবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটাই আজ বাস্তব। কানাডার আদালতেই প্রমাণ হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। মানুষের মধ্যে সততা-আস্থা থাকলে লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা পূরণ করা যায়, শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যেত না, পদ্মা সেতুও কোনোদিন হতো না। পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, গৌরব। কত বড় সাহস থাকলে শেখ হাসিনা বুক ফুলে বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে করব।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই সেতু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুধু উপহার নয়, এটি বাঙালির আত্মমর্যাদার অহংকার। এই সেতু নির্মাণের পথ সহজ ছিল না, পথ ছিল বন্ধুর। নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করতে চেয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ এনে হঠাৎ করেই বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। বললো বিশ্বব্যাংক নিজেই তদন্ত করবে। বললাম, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, তোমরা তদন্ত করতে পার না। দুদক নিজেই এফআইআর করে। সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারে চাপ দেয়, আমরা বলি অপরাধটা কী? বলে ষড়যন্ত্র। কী ষড়যন্ত্র তা বলতে পারে না। কানাডার কোর্টে শুনানি হয়। কানাডার আদালত স্পষ্ট করে বলে দেয়, এখানে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবেন, তখন অনেকে ঠাট্টা-তামাশা করেছিল। আজ প্রমাণ হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই শুধু পারে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে, দেশকে এগিয়ে নিতে, চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে আগামী ২৫ জুন। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে, অনেক গুজব রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতু জিডিপিতে ১ দশমিক ৩ থেকে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেশি হবে, অর্থনৈতিকভাবে দেশ আরও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, শত বাধা-বিঘ্ন ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিল, বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার শক্তিমত্তা আমাদের রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে আমরা গাড়ি চালিয়ে যেতে পারবো, আমাদের কাছে সেটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রমত্তা পদ্মাকে আমরা জয় করতে পেরেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন ইতিহাসের পাতা থেকে কেউ শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলতে পারবে না, তিনি অমর হয়ে থাকবেন। তেমনি যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

স্পিকারের মাধ্যমে সব সংসদ সদস্যকে দক্ষিণাঞ্চল সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাকে (স্পিকার) নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি, সংসদের সব সদস্যকে নিয়ে, আমাদের নীলাঞ্চল, শাপলা-শালুক ও লাল শাপলার দেশে যাবেন। আপনি সবাইকে নিয়ে যাবেন। দেখবেন সেই নীলাঞ্চল কত সুন্দর হয়েছে।

সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সফলতা আজ দেশে-বিদেশে স্বীকৃত। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর ১৩ বছরের ক্লান্তিহীন পরিশ্রম এবং গতিশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দ্বিতল পদ্মা সেতু ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প, যেটি আজ বাস্তবতা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আজ সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, সব অসত্য আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্বপ্ন আজ সত্যি। শেখ হাসিনাকে, তার পরিবারকে, তার সহকর্মীদের হেয় করা সব প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সততা, দেশপ্রেম, দৃঢ়তা, সাহস, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতার কাছে পরাজিত হয়েছে সব ষড়যন্ত্র। এই পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। বাঙালির সাহস আর দৃঢ়তার প্রতীক। এই বিরল সম্মান-মর্যাদায় বাঙালিকে অভিষিক্ত করায় গভীরতম কৃতজ্ঞতা, নিরন্তর ভালোবাসা আর অসীম আকাশসম শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে।

সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ আজ আনন্দে উদ্বেলিত। পদ্মার পাড়ের ২১ জেলার মানুষ অবহেলিত ছিল। শেখ হাসিনার কাছে এই ২১ জেলার মানুষ চিরঋণী হয়ে গেল। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ পারে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, যাদের গা চুলকানি আছে তারা যেন পদ্মা সেতুতে না ওঠে। তারা যেন নৌপথে পার হয়, ডুবে ডুবে মরে এটাই হোক জনগণের ঐকান্তিক কামনা।

এসএম/এমএসপি

Header Ad
Header Ad

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!

সালমান খান ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

তামিল পরিচালক অ্যাটলি কুমারের নতুন সিনেমা নিয়ে উত্তেজনা কমছে না। ‘জাওয়ান’-এর সফলতার পর এবার অ্যাটলি তাঁর পরবর্তী মেগাবাজেট সিনেমা নিয়ে আসছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সালমান খানকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন তিনি।

তবে এখন জানা গেছে, এই সিনেমায় থাকছেন না সালমান খান। বরং, পরিচালক এবার তার জায়গায় দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘পুষ্পা ২’ তারকা মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনও বাকি। শুটিং শিডিউল নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে পরিচালক-অভিনেতার। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের মধ্যেই প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে পুরোদমে।

কিন্তু হঠ কেন সালমান খানকে বাদ দিতে হল? এ বিষয়ে জানা গেছে, পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে অ্যাটলি পরিচালিত এই সিনেমার প্রযোজনা করবে ডাকসাইটে তামিল প্রযোজনা সংস্থা সান পিকচার্স। যারা এই পিরিয়ড ড্রামার জন্য ৬০০ কোটির বাজেট নির্ধারণ করেছেন। আর সেই প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকেই নাকি আপত্তি উঠেছে।

সালমান খান-অ্যাটলি কুমার ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

প্রযোজক নাকি সালমানের ওপর মেগাবাজেট সিনেমার ভার ছাড়তে নারাজ। সম্ভবত ভাইজানের বিগত কয়েক বছরের বক্স অফিসের গ্রাফ দেখেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের! আর সেই জন্যই আল্লু অর্জুনকে বেছে নিয়েছেন তারা। যে ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দৌলতে একাই দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিকে ৩০০০ কোটির ব্যবসা দিয়েছিল।

চব্বিশ সালের শেষের দিকেই শোনা গিয়েছিল, অ্যাটলির সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন সালমান খান। বিগ বাজেট সিনেমার স্টারকাস্টে যে দক্ষিণী পরিচালক বড় চমক দেবেন, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল তখন। ভারতীয় বিনোদুনিয়ার দুই মেগাস্টার রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের নামও শোনা গিয়েছে। তবে সালমান না থাকলেও দক্ষিণের এই দুই তারকাকে দেখা যাবে সিনেমায়।

‘জাওয়ান’ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলতেই গত দুই বছর ধরে অ্যাটলি মগ্ন নতুন সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাকশন প্যাকড সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। গত বছর দিনরাত এক করে পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে এই মেগা বাজেট সিনেমার কাজ করছেন অ্যাটলি কুমার। চিত্রনাট্যে অতীত এবং বর্তমান দুই সময়কাল ধরা হবে।

জানা গেছে, অ্যাটলি চিত্রনাট্য এমনভাবে তৈরি করছেন, যেরকম পিরিয়ডিক গল্প আগে কোনওদিন সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। কাল্পনিক জগতের আঁধারে সিনেমাতে থাকবে রুদ্ধশ্বাস সব দৃশ্য। অ্যাটলির ফ্রেমে যোদ্ধার অবতারে চমক দেবেন আল্লু। যেহেতু অতীত-বর্তমান মিলিয়ে গল্প সাজানো হচ্ছে, তাই আপাতত চিত্রনাট্যে ঘষামাঝা করতে ব্যস্ত পরিচালক।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪’ বাতিল করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই পদকের নীতিমালা চুড়ান্ত হলেও, সেটা কাউকে দেওয়া হয়নি।

গত বছর ২০ মে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক' সংক্রান্ত নীতিমালার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল তৎকালীন সরকার।

তবে এ সংক্রান্ত কোনো পুরস্কার এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অনুমোদনের ১০ মাসের মাথায় অন্তর্বতী সরকার সেটা বাতিল করল।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পরপর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের। পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ডলার এবং ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক ও সনদ।

পৃথিবীর যেকোনো স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি, যুদ্ধ বন্ধ ও বিরতিতে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল বাতিল হওয়া নীতিমালায়।

Header Ad
Header Ad

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার পর ভাইরাল হওয়া সুনামগঞ্জের যুবদল নেতা হাসমত আলীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সদস্য (সাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতা হাসমত আলী দিরাই পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন হাসমত আলী। বক্তব্যের শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ প্রসঙ্গে হাসমত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অসুস্থতার কারণে অসাবধানতাবশত এমনটা হয়ে গেছে।"

এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন