জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু ১৫ জুন
ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ শুরু হবে আগামী ১৫ জুন এবং শেষ হবে ২১ জুন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এটি বাস্তবায়ন করবে। শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টা ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, এবার প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি পরিচালিত হয়েছে। একটি ওয়েবভিত্তিক ‘ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আেইসিএমস) জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআেইএস) পদ্ধতিতে গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএস এর ৪ হাজার ৫০০ এর অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। এ ছাড়া বিবিএস বহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯০০ জন কর্মচারী জোনাল অফিসার
হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।
শুমারিতে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক গান, নাটিকা, ডকুড্রামা, শুমারি কাউন্ট ডাউন, ডকুমেন্টারি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে জনশুমারি প্রচার, প্রচার সামগ্রী বিতরণ, ডকুমেন্টারি প্রচারসহ শুমারি চলাকালে মাইকিং করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দশ বছর পর পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এপি/এমএমএ/