বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখছে 'অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড': স্পিকার
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে 'অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড' প্রশংসনীয় অবদান রাখছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরের সফলতা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত 'অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারস' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে ২০১৮-২০২০ সেশনে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্নকারী ১৪০ জন স্কলারকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় এবং ২০২২ সেশনের জন্য নির্বাচিত ৪৮ জন স্কলারকে বরণ করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ডানকান ম্যাক্কালাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুআর। স্কলারশিপ সম্পন্নকারীদের মধ্যে নম্রতা খীসা এবং স্কলারশিপ প্রাপ্তদের মধ্যে মো. আলিমুজ্জামান মিলন বক্তব্য রাখেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অস্ট্রেলিয়া ১৯৭০ সাল থেকে 'অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ' দিয়ে আসছে। নারী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের মধ্যে স্কলারশিপ প্রদান এই অ্যাওয়ার্ড কার্যক্রমের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। স্কলারদের তিনি অর্জিত উচ্চতর দক্ষতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের সেবায় কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন।
স্পিকার বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১, ডেলটা প্লান ২১০০ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে অষ্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারস এবং অ্যালামনাই সদস্যরা, বাংলাদেশস্থ অষ্ট্রেলিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/এসজি/