রাজনৈতিক দলকে ইভিএম যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানাবে ইসি
রাজনৈতিক দলগুলোকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে দলগুলো তাদের কারিগরি টিম পাঠিয়ে যাচাই-বাছাই করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৫ মে) কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন সিইসি। সকাল ১০টা থেকে প্রায় চারঘণ্টব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মতিন সাদ আবদুল্লাহ, ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) পরিচালক মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন, সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে ইভিএম নিয়ে বিশেজ্ঞদের ধারণা দেওয়া হয়। তারাও পর্যবেক্ষণের পর নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
সিইসি বলেন, শতভাগ বিষয়টা আপেক্ষিক। আমরা যেটা বলতে চাচ্ছি আমরা কিন্তু কারও মতামতকে উপেক্ষা করিনি। বিরোধী দল থেকে যে মতামত এসেছে-আমরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেইনি। আমরা অনেকগুলো মিটিং করেছি। আজকেও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বেসেছি। প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বসেছি। এই মেশিনের (ইভিএম) ব্যাপারে উনাদের বক্তব্যের পরে কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি এই মেশিনের বিষয়ে আরও কয়েকটা মিটিং করব। পলিটিক্যাল পার্টিকে ডাকা হবে।
তিনি বলেন, ‘একজন টেকনিক্যাল ব্যক্তি পারবে মেশিন নিয়ে মূল্যায়ন করতে। আমরা সেই পার্সপেক্টিভ থেকে টেকনিক্যাল পারসনদের ডেকেছি। পলিটিক্যাল পার্টিদেরও আমরা অনুরোধ করব তাদের যে টেকনিক্যাল টিম আছে কিংবা যদি থাকে তাদের দিয়ে যাচাই করার জন্য।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমে নিয়ে প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন ম্যানিপুলেশন করার সুযোগ নেই। আমার কিন্তু আস্থা রাখতে হবে, ওইসব মানুষের ওপর যারা এই জিনিসগুলো বোঝেন, যারা প্রোডাক্টগুলো তৈরি করেছেন তাদের ওপর। প্রযুক্তিবিদরা আশ্বস্ত হয়েছেন। আমরা আরও কয়েকটি বড় মিটিং করব। পলিটিক্যাল পার্টি যেহেতু বাইরে মাঠে বলছেন এটা মন্দ মেশিন, ভালো মেশিন না। আমরা লিখিতভাবে জানতে চাইব আপনারা কী কী সমস্যা পাচ্ছেন। আমাদেরকে লিখিতভাবে অবগত করুন। আমরা যেন সিস্টেমেটিক্যালি অ্যাড্রেস করার সুযোগ পাই। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করব, আমাদের হয়তো লিমিটেশন আছে কিন্তু চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। যদি সকলের আস্থা অর্জন করতে পারি, মেশিনের ভালো-খারাপ নিয়ে কিছু বলব না আপনাদের আর একটু অপেক্ষা করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএম মেশিন নিয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংদস নির্বোচনে ৩০০ আসনে করব, না ১০০ আসনে করব, না মোটেই করব না; এগুলো যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হবে, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যে ব্যবহার করা হবে কি হবে না।
এসএম/এমএমএ/