ভোট দিনেই হবে: সিইসি
ভোট নিয়ম অনুযায়ী হবে। দিনের ভোট দিনেই হবে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না ভোট দিনে হয়েছে নাকি রাতে হয়েছে। রাতের ভোট আমি দেখিনি। দিনের ভোট হতে দেখেছি। ফখরুল ইসলাম সাহেবকে আমি দেখেছি, আমি তখন সিডনিতে বসে দেখেছি। ফখরুল সাহেব খুব প্রশংসা করছেন। এরপর কি হলো আমি কিন্তু শেষমেশ সিডনিতে ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা বলব ভোট নিয়ম অনুযায়ী হবে। দিনের ভোট দিনেই হবে। ভোট রাতে হবে না এটা অন্তত স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে চাচ্ছি। আমাদের সময় অন্তত এটা উনি (আনিছুর রহমান) স্পষ্ট করে বলতে চেয়েছেন দিনের ভোট দিনেই হবে।’
মঙ্গলবার (২৪ মে) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
এ সময় পাশে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
সম্প্রতি বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন সিইসি উন্মাদ হয়ে গেছে তাকে পাগলা গারদে পাঠানো উচিত। নাম উল্লেখ না করে সিইসি বলেন, ‘তিনি বড় নেতা আমরা আশাকরি তারা হয়তো বলতে পারেন, পাগলা গারদ বলতে পারেন। তিনি হয়তো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছেন। যেহেতু একটা মানুষ পাগল হয়ে গেছে, তার চিকিৎসার একটা দায়িত্ব যে কোনো মানুষ বহন করতে পারেন, এটা দোষ মনে করি না।’
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, রাতে নয় দিনেই ভোট হবে। এটা নিয়ে যখন চারদিকে আলোচনা তাহলে কি ভোট রাতেই হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা হয়তো তিনি (আনিছুর রহমান) আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছেন। অনেকে বলেছেন জনমনে একটা পারসেপশন ক্রিয়েট করা হয়েছে। দিনে ভোট হতে আমরা দেখেছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলব ভোট তার নিয়ম অনুযায়ী হবে। দিনের ভোট দিনেই হবে। ভোট রাতে হবে না এটা আমরা স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে চাচ্ছি। আমাদের সময় অন্তত দিনের ভোট দিনেই হবে।
তাহলে কি রাতে ভোট হয়েছে? জবাবে বলেন, ‘সেটা আমি জানি না। এটা আপনারাই যেহেতু বলছেন আপনাদের অভিযোগ টোটালি ডিনাই করি না বা বিশ্বাসও করি কিন্তু যে অভিযোগগুলো ব্যাপকভাবে হয়েছে তাতে একটা পাবলিক পারসেপশন ক্রিয়েট হয়ে যায়। একটা ব্যাপক পারসেপশন আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে, পলিটিক্যাল পার্টি সম্পর্কে এসে গেছে। নেগেটিভ পারসেপশন এসে গেছে। সেজন্য এই জায়গাটা থেকে আমরা আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। যাতে এই ধরনের কোনো পারসেপশন ভবিষতে আর না হয়।’
নিজেদের মুখে স্লিপিং কথাগুলো নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের সকলেরই সতর্ক অবস্থান নেওয়া উচিত। আমরা যখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলি আমাদের একটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। তবে এটা ঠিক মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গেলে অনেক সময় আমরাও খেই হারিয়ে ফেলি। অনেক সময় প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে স্লিপ হয়ে যায়। আমার কোনো কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে কমিশনকে অপদস্থ করার জন্য বা ইসিকে অপদস্থ করার জন্যে এরকম কথা বলেননি। কথাটা আসলে কিছুটা স্মৃতিভ্রম এর কারণে হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এসএম/এমএমএ/