বাংলাদেশ-ভারত ৩ ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালী এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। মৈত্রী এক্সপ্রেস ও মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট রাজধানীর কমলাপুর এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের টিকিট খুলনা ও যশোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিক্রি শুরু হয়।
দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ মে। এদিন মৈত্রী ও বন্ধন শুরু হলেও ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে মিতালী এক্সপ্রেস চলবে ১ জুন থেকে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করা ট্রেন মৈত্রী ও বন্ধন। যা আগামী ২৯ মে থেকে চালু হতে যাচ্ছে। আর ২০২১ সালে উদ্বোধন হয়ে থাকা ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলাচল করা ট্রেন মিতালী প্রথমবারের মতো ১ জুন থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। এব ট্রেন চলাচলের জন্য সোমবার (২৩ মে) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর আগে ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠির পরে গত ২২ মে ট্রেন চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৯ মে থেকে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি ও রুট অনুযায়ী চলাচল শুরু করবে। আর ১ জুন থেকে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট চলাচল শুরু করবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিতালী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসবে রবি ও বুধবার। আর ঢাকা থেকে ছাড়বে সোম ও বৃহস্পতিবার। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে আর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। মিতালীর ভাড়া হবে এসি বার্থ ৪৪ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৫ হাজার ২৫৪ টাকা, এসি সিট ৩৩ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৩ হাজার ৪১৫ টাকা আর এসি চেয়ার ২২ ডলার যা টাকার অঙ্কে ২ হাজার ৭৭৭ টাকা। বলা হচ্ছে, মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে যাবে বলে মূল ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত ২০০ টাকা যোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মৈত্রী এক্সপ্রেসে এসি সিট ৩ হাজার ৬০৫ টাকা, এসি চেয়ার ২ হাজার ৫৭০ টাকা। আর বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা-কলকাতার ভাড়া এসি সিট ২ হাজার ৫৫২ টাকা, এসি চেয়ার ১ হাজার ৫৩৫ টাকা। তবে পাঁচ বছরের নিচে সব শিশুদের ভাড়া ৫০ শতাংশ কমে নির্ধারণ হবে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী অনধিক সর্বোচ্চ দুইটি লাগেজে ৩৫ কেজি আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৫ বছর বয়সী যাত্রী সর্বোচ্চ ২০ কেজি মালামাল বিনা মাশুলে নিজে বহন করতে পারবে। প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর ক্ষেত্রে ৩৫ কেজির উপরে ৫০ কেজি হলে ২ মার্কিন ডলার মাশুল দিতে হবে। আর এর থেকে বেশি হলে অতিরিক্ত ওজনের জন্য ১০ ডলার অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে। আর অপ্রাপ্ত বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০ কেজির বেশি ৩৫ কেজি হলে ২ মার্কিন ডলার মাশুল দিতে হবে আর তার বেশি হলে দিতে হবে অতিরিক্ত ১০ ডলার।
আরএ/