‘পোশাকের কারণে’ তরুণীকে হেনস্থা: আসক’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
নরসিংদী রেলওয়ে ষ্টেশনে ‘পোশাকের কারণে’ একজন তরুণীকে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছে। আসক এর নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামালের স্বাক্ষরে সংবাদ মাধ্যমে এই বিবৃতি প্রেরণ করা হয়।
আসকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পরিহিত পোশাকের কারণে তরুণী ও তাঁর সঙ্গে থাকা দুজন তরুণকে মারধর ও অশ্লীল গালিগালাজ করা হয়। তরুণীর পোশাক ধরেও টান দেওয়া হয়। এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আসক মনে করে, এ ঘটনা নারীর সংবিধানস্বীকৃত চলাচলের স্বাধীনতা, পছন্দের স্বাধীনতা এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত বিদ্যমান মানদণ্ডসমূহের লঙ্ঘন। আমরা প্রায়শই প্রত্যক্ষ করি, নারী ও তরুণীদের তাদের পোশাক বা সাজ সজ্জার কারণে বিরূপ বা অশালীন মন্তব্য, বিব্রতকর পরিস্থিতি কিংবা লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি নারী, তরুণী বা মেয়ে শিশুদের প্রতি সহিংসতার জন্যও পোশাককে দায়ী করা হয় বা সহিংসতাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এসব ঘটনা প্রমাণ করে আমরা জাতি হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি অর্জন করলেও মানবিক মর্যাদাবোধ, সমতা ও বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান কিংবা সংবেদনশীলতা তৈরিতে আমরা অনেক দূর পিছিয়ে আছি।’
আসক মনে করে, ‘এ ধরনের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিও দেখে অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এখানে উল্লেখ্য শুরুতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, যা দায়িত্বে অবহেলার সামিল।’
আসক মনে করে, ‘এ ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের জন্য অপেক্ষা না করেই পুলিশ তার ক্ষমতাভিত্তিক এখতিয়ার থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারে। এছাড়া আসক নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা ও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্র তৈরিতে সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।’
এপি/