প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ চাওয়া হবে: কাদের
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর যানচলালের জন্য জুন মাসেই শেষ সপ্তাহেই খুলে দেওয়া হবে বলে আবারও জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (রবিবার) আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর নিকট সামারি পাঠাবো, তিনি যে সময় নির্ধারণ করে দেবেন সে সময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। সে দিন বেশি দূরে নয় জুন মাসে চন্ডালিখিত পূর্ণিমার রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে।’
শনিবার (২১ মে) সকালে ছাত্রলীগ আয়োজিত টিএসসি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেদিন বিশ্ব ব্যাংক যখন আমাদের চোর অপবাদ দিয়ে সরে যায় পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে, যখন শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়, পুতুলসহ, ববী বঙ্গবন্ধু পরিবারকে চোর অপবাদ দেয়।’
‘বিশ্ব ব্যাংক সরে যায় তখন এই বাংলায় হুঙ্কার দিয়ে উঠেছিলেন ৭ মার্চের মহাকাব্যের নায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন বিশ্ব ব্যাংক চলে গেলেও আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। আর বেশি দূরে নয়। জুন মাসেই চন্ডালিখিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে। সে দিন সমাগত। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন হবে। আগামীকাল (রবিবার) সামারি পাঠাবো। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে সেময় নির্ধারণ করে দেবেন, সে সময় পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করব,’ যোগ করেন তিনি।
নিজের ছাত্র রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছাত্রলীগ আমার প্রথম যৌবনের প্রেম। ছাত্রলীগ আমার বার্ধক্যের বিশ্বাস। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে নিজেদের স্বপ্ন মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের সঙ্গে নিজেদের স্বপ্ন মিলিয়ে দিয়ে যারা আজ তারুণ্যের অহংকারে উদ্ভাসিত হয়েছে। অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।’
তিনি বলেন, ‘যিনি মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে বারে বারে জীবনের জয়গান গেছেন। ধ্বসংস্তুপে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড্ডয়ন করেছেন। বাংলাদেশে গত ৪৭ বছরে সব চেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাহক। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ছিল ১৭ মে। আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা। প্রচণ্ড ঝড়, প্রবল বৃষ্টিপাত তবুও বাংলার সকল পথ এসেছ মিশেছে ঢাকায়। সেদিন শেখ হাসিনা বাংলায় এসেছিল বলে পদ্মা সেতুর মতো সাহসী প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।’
নিজের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করে কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে আসতে আমি ভয় পাই। আমি মেজর অপরাশেন শেষে চেকআপের মধ্যে আছি। আমার এত সময় অপেক্ষা করা সম্ভব না। মেডিকেশন আছে। ডাক্তারের পরামর্শে বিশ্রামে থাকতে হয়। ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম মানে ৩টা বাজবে। তবুও এলাম কারণ ভাবলাম আমার দুর্নাম হয়ে যাবে বারে বারে দাওয়াত করে আসে আমি আসি না সেজন্য আজ ভাবলাম আসি। আমি জানি দেরি হবে। দেরি হবে জেনেই এসেছি।’
এসএম/এমএমএ/