ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৬ নির্দেশনা
সারাদেশে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। তিন বছর পর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম (২০ মে) শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। শুরুর দিন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ ব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলাকালে ১৬টি নির্দেশনা মানতে হচ্ছে। নতুন ভোটার যুক্ত ও মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের তথ্য কোনোভাবেই যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয় তার জন্য তথ্য সংগ্রহকারীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের যেসব নির্দেশনা মানতে হচ্ছে:
১। বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
২। তথ্য সংগ্রহকালে কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের আগে তিনি এর আগে ভোটার হয়েছেন কি না- তা অবশ্যই নিশ্চিত করা।
৩। বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া।
৪। কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনো পেশা, খেতাব বা পদবি অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা।
৫। ভোটার যোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা।
৬। বাড়ি বাড়ি গমনের সময় ভোটারযোগ্য অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা।
৭। নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা।
৮। সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা।
৯। সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারী পূরণ করা ফরর্মের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুদ্ধতা যাচাই করা এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা
১০। ভোটার যোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা অর্থাৎ কোনোক্রমেই ভোটারযোগ্য কোনো নারী যেন বাদ না পড়েন তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা।
১১। নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা।
১২। বিশেষ এলাকার জন্য তথ্যফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্যফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিশেষ এলাকা সমূহের জন্য তথ্যফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করা।
১৩। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নাম স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে দাখিল করা।
১৪। মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এর তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
১৫। তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখতে হবে এবং
১৬। কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে ষষ্ঠবার মাঠ পর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এবার ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছিল তাদের তথ্য হালনাগাদ করা হবে।
এসএম/এসএন