নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংযোজনে হাইকোর্টের রুল
নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংযোজন করা প্রশ্নে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থসচিব, আইনসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
রোববার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এই রুল জারি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আতাউল্লাহ নুরুল কবির নয়ন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রুল জারির পর আতাউল্লাহ নুরুল কবির নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা রিটের আর্জিতে জানিয়েছি, পয়সা এবং টাকায় জাতির জনকের ছবি ছাপানো আছে। এছাড়া ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন গভর্নরের ছবি ও মুদ্রা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সংযুক্ত ছিল। তাই জাতির জনক যেহেতু দেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও মহানায়ক তার ছবি স্ট্যাম্পে ছাপানো হলে শত শত বছর ধরে মানুষ জানতে পারবে।’
আইনজীবী জানান, গত ১৯ নভেম্বর নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং অর্থ মন্ত্রলণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়। সেখানে জমির দলিল, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ডামি স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি (জলছাপ) অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রংপুর সিটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন কৃষিভিত্তিক সংগঠন কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির নেতারা। এ সময় বেশ কটি সংগঠনের নেতারা তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী ও বাঙালি জাতির অন্তরে রয়ে গেলেও তার প্রতিচ্ছবি হিসেবে জমির দলিলের স্ট্যাম্প, নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, ডামি স্ট্যাম্পে (জলছাপ) এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এটি এখন সময়ের দাবি। ইতিপূর্বে ১৯৪২, ১৯৪৪ ও ১৯৪৮ সালের জমির দলিলের স্ট্যাম্পে সে সময়কার রাষ্ট্রনায়কের প্রতিচ্ছবি জলছাপ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এমএ/এএন