ভূমি কর বকেয়ায় ৬.২৫ শতাংশ হারে জরিমানা: মন্ত্রিসভা বৈঠক

সরকার ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ কে পরিমার্জন করে ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২২ এ রূপান্তর করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি ও পরিবার ভিত্তিক কৃষি জমির পরিমান ৮ দশমিক ২৫ একর বা বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। তবে ২৫ বিঘার উপরে হলে পুরো জমির কর দিতে হবে। ধরেন কারো ২৬ বিঘা জমি আছে। তাকে কিন্তু পুরো ২৬ বিঘার কর দিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগের আইনেও একই ছিল।
তিনি জানান, আইনে একটি নতুন বিষয় সংযুক্ত হয়েছে। কোন খতিয়ানে যদি একাধিক মালিক থাকে বা পরিবার বা সংস্থা থাকে তাহলে তাদের প্রত্যেকের জমির পরিমান খতিয়ানে বর্ণিত অংশ অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। যে খতিয়ানে মালিকের অংশ পৃথকভাবে উল্লেখ নাই সে ক্ষেত্রে ওয়ারিশগণ কর্তৃক বন্টন নামা দলিল সম্পন্ন করে বন্টননামার ভিত্তিতে নামজারি করে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আগে যৌথভাবে একজন দিলেই হত। এখন বলা হয়েছে যৌথভাবে থাকলে সবাইকে নোটিশ দিয়ে ডেকে নিয়ে হেয়ারিং করে যার যার নামে আলাদা খারিজ করে দেওয়ার জন্য। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বিষয়ে বলা হয়েছে, একাধারে যদি তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে প্রথম বছরের পর দ্বিতীয় বছর থেকে বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ হারে জরিমান দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, সরকারি কবরস্থান, শশ্মান, মসজিদ, ঈদগাহ, মন্দির, গীর্জা বা সর্বসাধারণের প্রার্থনার স্থানসমূহকে ভূমি উন্নয়ন কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কবরস্থান থাকে তাহলে তাকে কর দিতে হবে।
এনএইচবি/এএজেড
