শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম দেখতে বিদেশ যেতে চায় সংসদীয় কমিটি
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রম দেখতে বিদেশে যেতে চায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির এ সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী জুলাই–আগস্টের যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে মিশন এলাকায় সফর সম্পন্ন করার পরিকল্পনা আছে।
বুধবার (১১ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। এর আগেও এ কমিটি গত দশম ও চলতি একাদশ সংসদে দুবার শান্তিরক্ষা মিশন পরিদর্শনে গিয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হেলাল উদ্দীন, মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, মো. মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন এবং মো. মহিববুর রহমান অংশগ্রহণ করেন।
সংসদীয় কমিটি সূত্র জানায়, গত বছরের শেষ দিকে মিশন এলাকাগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের বিষয়ে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে এখন পর্যন্ত এ সফর হয়নি।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ওই সফরের বিষয়ে আবার আলোচনা হয়। পরে কমিটি আবারও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিকটতম সুবিধাজনক সময়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শনের সফরসূচি নির্ধারণ করতে বলে।
কমিটির আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী জুলাই–আগস্ট মাসের যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এলাকা সফর সম্পন্ন করার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। ফিল্ড মিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিস্তারিত সফর পরিকল্পনা শিগগিরই পাঠানো হবে।
সংসদীয় কমিটির প্রধান কাজ কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা এবং বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেওয়া বা সুপারিশ করা। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা নিলে তা স্বার্থের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিভিন্ন সময় মন্ত্রণালয়ের টাকায় সংসদীয় কমিটির বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংসদ সচিবালয়ের খরচে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের বিদেশ সফরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ ও কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এসএম/