বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ব্যবসা স্থাপন দ্রুত ও স্বচ্ছ করার নিশ্চয়তা বাংলাদেশ কি দিতে পারে?

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশ কি বিনিয়োগকারীদের এই নিশ্চয়তা দিতে পারে যে এখানের ব্যবসা স্থাপন প্রক্রিয়া দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়? বুধবার (১১ মে) ঢাকায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম: বন্ধুত্বের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে পিটার হাস এ প্রশ্ন তোলেন।

পিটার হাস বলেন, বিদেশে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক একটি কোম্পানি অবশ্যই সেই দেশে একটি উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বিদ্যুত ও পানিতে সহজে প্রবেশগম্যতা এবং সু-প্রশিক্ষিত জনবল দেখতে চায়। এই চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু একটি কোম্পানি নিশ্চয়তাও চায়।

তারা যেখানে বিনিয়োগ করবে সেখানে সহজবোধ্য নীতি কাঠামো দেখতে চায় এবং তারা আইনের অব্যাহত প্রয়োগ দেখতে চায়। একটি কোম্পানি তার মেধাসম্পদের সুরক্ষার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা পেতে চায়। এছাড়াও তারা এটাও জানতে চায় যে, যদি কোন ধরনের বিরোধ তৈরি হয় তাহলে তারা আদালতের শরনাপন্ন হতে পারবে এবং আদালত কালবিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে ও ন্যায্যতার সাথে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবে।

বাংলাদেশ কি সততার সঙ্গে একথা বলতে পারে যে, একটি (পণ্যবাহী) কনটেইনার বাজারে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশটি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ও যতোটা সময় নেয় তা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক?

বাংলাদেশ কি একথা বলতে পারে যে, প্রস্তাবিত বিধানগুলোর প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ পুরোপুরি বুঝতে পারে? উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কী বুঝতে পারে তাদের অনলাইন বিষয়বস্তু পরিচালনা সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইন ডিজিটাল ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে?

বাংলাদেশ কী একথা বলতে পারে যে এখানে পর্যাপ্ত আইনী কাঠামো রয়েছে যার অধীনে ব্যবসাগুলো পরিচালিত হবে? যখন (আমরা দেখি যে) মামলার শুনানির সময় পেতেই এখানে কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

আমেরিকান কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমেরিকান কোম্পানিগুলো নিজেদের মতো করে খুঁজবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের এই সময়ে আমি ভবিষ্যতের কথা ভেবে আনন্দিত। এবং আমি আগেও বলেছি যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় ও সম্প্রসারিত করতে বাংলাদেশের সাথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে চায়।

আমি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যদের স্বাগত জানাতে পেরে বিশেষভাবে আনন্দিত। আমি নিশ্চিত যে, তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে সম্প্রসারণে ইচ্ছুক।

সত্যি বলতে কী, আমি বুঝতে পারছি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো সবচেয়ে সম্ভাবনাময়।

এটা শুধু কথার কথা নয়। আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কতোটা গুরুত্ব দিচ্ছি তার প্রমাণ হিসেবে এই গ্রীষ্মে বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো একজন পূর্ণকালীন অ্যাটাশে-কে স্বাগত জানানো হবে। এর ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ যোগাযোগ গড়ে তুলবেন, সত্যি বলতে যা আরো আগেই হওয়া দরকার ছিল।

এছাড়াও, আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলকে আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক ফোরামে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে।

এক কথায় বলতে পারি, আমরা একত্রিতভাবে যে ভিত্তি গড়ে তুলেছি সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। তবে সম্পর্কের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার ক্ষেত্রে দু'টি বিষয় অবশ্যই ঘটতে হবে।

প্রথমত, আমেরিকান কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই আরো ভালোভাবে জানতে হবে যে তাদের জন্য বাংলাদেশে কী ধরনের সুযোগ রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশকে অবশ্যই আমেরিকান ব্যবসাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আমি মনে করি না যে এতে আপনারা অবাক হবেন। কারণ, এটা তো ঠিক যে, বেশিরভাগ আমেরিকান কোম্পানির প্রধানরা সকালে একথা ভেবে ঘুম থেকে উঠেন না যে, হুম—আমার বোধহয় বাংলাদেশে ব্যবসা করা উচিত। তারা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করার মাধ্যমে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখে। এখন তারা যদি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় তাহলে নিদ্বির্ধায় বলা যায় তারা সেখানেই ব্যবসা করতে যাবে যেখানকার বাজার তারা বোঝে।

মার্কিন ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে একদমই সচেতন নয় জানিয়ে পিটার হাস বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলে যোগ দেওয়া ৫০ এর মতো কোম্পানি এখন জানে যে বাজার খুঁজে পাওয়ার সুযোগ নিতে বাংলাদেশের দিকে তাকানোর জোরালো কারণ রয়েছে। বাংলাদেশ তাদের মনোযোগ আকর্ষণের যোগ্য। কেন?

কারণ, প্রথমত বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রগতির গল্পটা দারুণ। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুততম সময়ে বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই দেশের জিডিপি এমনকি কোভিড-১৯ লকডাউনের সময়েও বেড়েছে এবং অর্থনীতি এই বছর ৬.৯ শতাংশ এবং পরের বছর ৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। দেশের অর্থ খাতের নেতৃবৃন্দ ভালভাবে ঋণ ব্যবস্থাপনা করতে পারছেন এবং তারা ধাক্কা সামলানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক রিজার্ভ আলাদা করে করেছেন।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে একটি বিশাল এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত -শ্রেণির জনসংখ্যা রয়েছে। ১৯৭১ সালে পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর কাতারে থাকা বাংলাদেশের ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটবে। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি এখন ভারতের তুলনায় বেশি। ১৬ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে দেশটি এখন বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ, যেখানে যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং কানাডার চেয়ে চারগুণ বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। যে কোন কোম্পানি এখন বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারলে তাদের জন্য প্রজন্মান্তরে বিনিয়োগের লাভ ফেরত পাওয়া নিশ্চিত।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে কর্মে আগ্রহী ও ইচ্ছুক জনবল রয়েছে। বাংলাদেশ এখন তাদের জনমিতিক সুবিধা নেওয়ার অবস্থানে রয়েছে। এই দেশের জনবল তরুণ-বয়সী এবং এখানে সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যরা তিন দিন ধরে ঢাকার রাস্তায় চলাচলের মধ্য দিয়ে দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপকতা বুঝতে পারবেন। এই দেশের রাস্তার প্রাণচাঞ্চল্য কারখানার উত্পাদনে ও অফিসের করিডোর পর্যন্ত প্রসারিত। কোন কোম্পানি যদি তাদের জনশক্তি তথা কর্মীবাহিনীর উপর বিনিয়োগে ইচ্ছুক হয়, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয় ও কাজের জন্য পুরস্কৃত করে তাহলে দক্ষ ও উত্‌সাহী কর্মীরা তাদের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে।

চতুর্থত, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কোম্পানির জন্য বাংলাদেশ একটি অজানা অঞ্চল। যে কারণে তারা জানে না বাংলাদেশ তাদেরকে কী দিতে পারে। তার মানে এখানে এই বাজারে যে কোম্পানিগুলো শুরুর দিকে প্রবেশ করবে তারা পরিপক্ক বিনিয়োগ গন্তব্যগুলোর তুলনায় এখানে কম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে।

যে কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল গঠন করেছে তারা বাংলাদেশে কী ধরনের ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা আছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সচেতন রয়েছে।

প্রশ্ন হলো: বাংলাদেশ কী তাদের জন্য প্রস্তুত? অন্য কথায়, এই অঞ্চলের বা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কী তাদের সময় ও সম্পদের বিনিয়োগের জন্য তুলনামূলকভাবে ভাল জায়গা? বাংলাদেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে, তাই বাংলাদেশ দেখতে পাবে যে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার জন্য আগ্রহী অনেক প্রতিযোগী তাদের রয়েছে।

যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির কারণ সস্তা শ্রম, কিন্তু কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগগুলো আপনারা যখন মধ্যম-আয়ের দেশে পরিণত হবেন তখন বাণিজ্য সিদ্ধান্তের মূল বিষয় হয়ে উঠবে।

শ্রমিকের অধিকার এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের কারণে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জেনারাইলজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স ট্রেড বেনিফিট বা জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছে যে একই ধরনের উদ্বেগগুলোর পরিস্থিতি দ্বারা নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ মধ্যম-আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের পর তাদের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে কিনা।

এই ধরনের উদ্বেগগুলোর কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বিনিয়োগ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স করপোরেশন বা ডিএফসি ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন নিয়ে কংগ্রেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ডিএফসি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মিলে জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রযুক্তির মতো খাতগুলোতে প্রকল্প তৈরিতে কাজ করে।

ডিএফসি বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোর অর্থায়নের জন্য আদর্শ উত্স হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যতোক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিএসপির জন্য যোগ্যতা অর্জন না করবে ততোক্ষণ পর্যন্ত তারা ডিএফসি-র অর্থায়নের যোগ্যতাও অর্জন করবে না। আমরা আশা করি যে, বাংলাদেশ শিগগিরই শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রগতি সাধন করবে, ফলে অচিরেই দেশটি ডিএফসি-র বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে।

যেমনটা আমি শুরুতেই বলেছি যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্বকে আরো দৃঢ় করতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে চায়। আমি আরো বিশ্বাস করি যে, আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একসাথে দ্রুততম গতিতে এগিয়ে যেতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস ডেলিগেশন আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশে সময় ও শক্তি বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত কীভাবে ও কতোটা প্রস্তুত রয়েছে।

 

আরইউ/

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

শারমিন আক্তার সুপ্তার প্রথম সেঞ্চুরি হয়েও আর হলো না। ৯৬ রান করে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো লম্বা সময় পর ওয়ানডে দলে ফেরা সুপ্তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে সংস্করণের সর্বোচ্চ ইনিংসের দেখা পেয়েছে নারী দলের ক্রিকেটাররা।

ম্যাচের সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন শারমিন সুপ্তা। ফারজানা হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়তেও পারতেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম হান্ড্রেডের মালিক হতে পারতেন। তবে শেষ পর্যন্ত নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েছেন সুপ্তা।

সাজ ঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ৮৯ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

ওয়ানডেতে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড ছিল ২৫০। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। তবে এবার আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোখ রেখে ঘরের মাঠে আইরিশ মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ব্যাট করতে নেমে উইকেট অক্ষত রাখতে পারলেও শুরুর দিকে বেশ মন্থর ছিলেন ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের উদ্‌বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। তবে ততক্ষণে ১৮ ওভারেরও বেশি খেলা শেষ হয়ে যায়।

৬১ বলে ৩৮ রান করে মুর্শিদা আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে অন্য প্রান্তে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ফারজানা হক। চার বাউন্ডারিতে ১১০ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন শারমিন সুপ্তা। রানের গতিও বাড়ছিল।

বাংলাদেশের ইনিংসে সাধারণত এক উইকেট পড়লে পরপর আরও কয়েকটি পড়ে যায়। আজ এ জায়গায় বেশ নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিক মেয়েদের। এদিন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জ্যোতি। ২৮ বলে সমান সংখ্যক রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক।

অন্য প্রান্তে ইতিহাসের হাতছানি ছিল সুপ্তার সামনে। ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ফ্রেয়া সার্জেন্টের বলে আর্লেন কেলির হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় শারমিন সুপ্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪টি চারের মারে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

শেষ দিকে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা আক্তার (১৩) ও সুবহানা মোস্তারি (৫)। আইরিশ মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন ফ্রেয়া সার্জেন্ট।

Header Ad

নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড মডেল ও অভিনেতা নিরব হোসেনের এক দশকের সংসার জীবনে ফাটল ধরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তার স্ত্রী কাসফিয়া তাহের ঋদ্ধি পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী সন্তান ফেলে রেখে প্রাক্তনকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিরব এমন দাবি করে আজ বুধবার ভোররাতে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দেন ঋদ্ধি।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘বউ বাচ্চা ফেলে সাথে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে। আবার যোগাযোগ করে আমি কিছুক্ষণ পর আপলোড করব! যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয় কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকতে দেব না।

দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লেখেন, নিরব হোসেন আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য। আমাকে অবশ্য আপনার কখনোই পছন্দ ছিল না! তাই আপনার ভালোবাসার মানুষও আমি বিগত ১১ বছরে একদিনের জন্যও ছিলাম না! কিন্তু আপনি আমার সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীদের হারানোর কষ্ট নিজের বুকে চেপে দয়া দাক্ষিণ্য করে আমার সাথে থাকার জন্য, এডজাস্ট করে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

নিরবকে মুক্ত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজকে থেকে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে কদাকার সংগহীন হলেন! ঋদ্ধি সংক্রান্ত কোনো রকম আপদ আপনার সুন্দর জীবনের ধারে কাছে আর না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনি আসলেই অসম্ভব ভালো একজন মানুষ যে কখনো কারো খারাপ করতে পারেন না। অন্তত আমি ২০১৪-২০২৪ এর মাঝে কখনো দেখিনি আপনি মানুষ হিসেবে খারাপ। শুধুমাত্র আমিই ছিলাম আপনার চক্ষুশূল এবং একমাত্র বিরক্তির কারণ! এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

তাদের শুরুর কথা স্মরণ করিয়ে ঋদ্ধি লেখেন, ২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা বাবা সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না! আপনার সব সমস্যার কারণ হওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দিস টাইম উই আর ডান ফরএভার।

সর্বশেষ নায়কের স্ত্রী লেখেন, আমি জানি না পরবর্তীতে আপনার নতুন পার্টনারকে আমি কিভাবে সহ্য করব। শুধু অতটুকুর জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সেই শক্তিটা দেয় যে আপনাকে আর বিরক্ত করতে আমার না হয়। আপনি যেন অসাধারণ যোগ্য পার্টনার পান সেই দোয়া করি এই আজানের সময়! সরি ফর অল যাই পজেজিভনেস এ্যান্ড মেন্টাল টরচারস। আমাকে মন থেকে মাফ করে দিয়েন।

এদিকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ঋদ্ধির ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিরবেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়। দুই মাসের সফরে দেশের বাইরে আছেন তিনি। সেখানে বেশকিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেন নিরব-ঋদ্ধি। সেসময় তাদের এই বিয়ে মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। নিরবের নামে ঠুকেছিলেন মামলাও। দুই কন্যা সন্তান রয়েছে নিরব-ঋদ্ধি ঘরে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান