‘প্রধানমন্ত্রীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব করব’
দীর্ঘদিনের লালিত পদ্মা সেতু আগামী মাসে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১১ মে) সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠাচ্ছি এবং তার ইচ্ছা অনুযায়ী তারিখ নির্ধারিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে বলছি, আগামী মাসে সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।’
সেতুমন্ত্রী অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন সেতুটি চালু করার কথা অস্বীকার করেন।
তবে তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার নামে পদ্মা সেতুর নামকরণ করতে নাকচ করলেও, সারসংক্ষেপে তার নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণের জন্য আমরা প্রস্তাব করব।’
তিনি আরও জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৮ ভাগ, নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৯২ ভাগ এবং মূল সেতুর কার্পেটিং কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯১ ভাগ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৯৩ দশমিক ৫০ ভাগ।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন দুইটি টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ২৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম টানেল টিউব এর রিং প্রতিস্থাপন, বোরিং এবং লেন স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় টানেল টিউব এর রিং প্রতিস্থাপন সহ বোরিং কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
দ্বিতীয় টানেল টিউবের ২৪৫০ মিটার লেন স্ল্যাব এর মধ্যে ১৬৮৩ মিটার লেন স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫ ভাগ বলেও মন্ত্রী জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিদুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ, সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. মনজুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এসএম/এমএমএ/