শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দলীয় নেতারাই হচ্ছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক!

দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে আমলা নয়, রাজনৈতিক নেতারাই বসছেন। এটা প্রায় চূড়ান্ত। তালিকাও প্রস্তুত। এই সপ্তাহেই পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্য়ায়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সরকার গত ১৭ এপ্রিল সারাদেশে তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের কার্যক্রম ভেঙে দেয়। অর্থাৎ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয় য়ে, জেলা পরিষদ গঠনের প্রথম সভার তারিখ থেকে মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় স্থানীয় সরকার আইন (জেলা পরিষদ আইন ২০০০) (সংশোধিত) ২০২২ এর ধারা ৫ অনুযায়ী দেশের ৬১টি জেলা পরিষদসমূহ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

একই আদেশে বলা হয়, আইনের ধারা ৮২ অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত আইনের ধারা ৭৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলো।

আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত জেলা পরিষদে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার একজন প্রশাসক নিয়োগ দেবে। তিনি রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক বা সরকারি আমলা যে কেউ হতে পারেন।

তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকার পূর্বের ন্যায় মাঠ পর্যায়ে অভিজ্ঞ এবং বঞ্চিত দলীয় নেতাদেরকে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কেউ কোনো কথা বলতে নারাজ।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আইন অনুযায়ী বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে। আর রাজনৈতিক লোকজনের মধ্যেও বিশিষ্ট ব্যক্তি আছেন।

তিনি জানান, আশা করছি এই সপ্তাহেই যেকোনো দিন জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগে। সেটা পাওয়া মাত্রই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আরও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রশাসকদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও সব মহলে গ্রহণযোগ্য নেতারা। যারা সরকারের এই ১৩ বছরে নানাভাবে বঞ্চিত ছিলেন বা হয়েছেন। এমপি-মন্ত্রী হতে পারেননি এমন নেতাদেরকেই জেলা পরিষদের প্রশাসকের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০১১ সালের ডিসেম্বরে জেলা পরিষদকে সচল করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই জেলা পর্যায়ে এমপি-মন্ত্রী হতে পারেননি দলীয় এমন নেতাদেরকে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। যাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং হুইপ ও প্রবীণ নেতা।

তারা প্রায় পাঁচ বছর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত জেলা পরিষদ নির্বাচিত চেয়ারম্যান পায়।

তাদের মেয়াদ পূর্ণ হলেও নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন আর করতে পারেনি। যার ফলে সরকার স্থানীয় সরকার আইন (জেলা পরিষদ) (সংশোধন) আইন ২০২২ গত ১৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদে পাস করে। এর চার দিন পর ১৭ এপ্রিল নির্বাচিত জেলা পরিষদ ভেঙে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ তারপর থেকে গত কয়েকদিন ধরেই শূন্য রয়েছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

 

Header Ad
Header Ad

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি

ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদর দপ্তর থেকে শুরু করে যে জায়গায় হত্যা হলো, সব জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পর কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটও হত্যা ঘটাতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যা-ই হোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।

এপর আর একটি (হত্যা) যদি হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে আছেন। আহত রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা যে ওই জায়গারই, তার প্রমাণ কী।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির ডিজি বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ না করলে (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা বিজিবি তৈরি আছি।

Header Ad
Header Ad

রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় করা হবে। সুলভমূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিল্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বস্তি এলাকায় প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে ‘রমজানে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির এলাকাগুলো হচ্ছে-সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি-বনানী, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিং দক্ষিণে), নাখালপাড়া (লুকাস মোড়), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল।

তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে যারা অহেতুক, অন্যায়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারাও সোচ্চার হবেন। তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। এবার রমজান ভিন্নতর হবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাধীন দেশে নতুন করে পবিত্র রমজান পালন করব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসাবে শুধু কিছু সংস্কার করব তা নয়, আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পাচ্ছিল, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা। এখন দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে হলেও অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুলভমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমে ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এতে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন এবং প্রান্তিক খামারিরা।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান কমান্ডার জাহিরুল আলিম, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে মৎস্য খামারের মাছ চুরি এবং রোপণকৃত চার শতাধিক আমগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তার ভাড়াটে লোকজনের বিরুদ্ধে।

এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারের মালিক এনামুল হক চৌধুরী (হীরা)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মিঠাপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ৮ নম্বর চেংমারী ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার গিলাঝুঁকি মৌজাস্থ খামারে প্রথমে আমগাছ উপড়ে ও ভেঙে ফেলা হয়। এরপর রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাছ চুরি করা হয়।

ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু জমির মালিকানা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তি মালিকানার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিজ দেওয়া গিলাঝুঁকি মৌজার ৭.৯৩ একর জমিতে এনামুল হক চৌধুরী (হীরা) ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবি করেন এবং সেখানে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে তিনি মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেন এবং আদালত চলমান মামলার প্রেক্ষিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এনামুল হক চৌধুরীর দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন খামারে হামলা চালায়। তারা খামারের কেয়ারটেকার সাগর মিয়া ও মোকছেদ আলীকে মারধর করে এবং আমগাছ উপড়ে ফেলে। পরে রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিন শতাধিক মণ মাছ চুরি করা হয়।

খামারের নৈশপ্রহরী মোন্নাফ বলেন, “রাতে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়, আর বিদ্যুৎ না থাকায় আমি বাড়ি চলে যাই। সকালে এসে দেখি আশপাশের লোকজন মরা মাছ নিয়ে যাচ্ছে। হয়তো দুষ্কৃতিকারীরা বিষ প্রয়োগ করেছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “পুকুর বিদ্যালয়ের, সেখানে গাছ লাগানোর অধিকার কারও নেই।”

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা