শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভবন নির্মাণে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

যেকোনো প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের আগে জলাধার রক্ষা ও আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থপতি ও প্রকৌশলীদের প্রতি এ আহ্বান জানান সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যখন কোনো প্রকল্পের নকশা করেন প্রত্যেককে একটা কথা মনে রাখতে হবে, যে জায়গায় প্রজেক্ট সেই জায়গায় বা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নিনির্বাপণের আধুনিক ব্যবস্থা আছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যদি কখনও আগুন লাগে সেটা নেভাবার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় কি-না সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। জলাধারগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে অজস্র খাল-বিল পুকুরের জায়গা, বাংলাদেশটাই তো এরকম। কাজেই ভরাট করার আগে কথাটা মাথায় রাখা উচিত ছিল। অনেক সময় আগুন লাগলে কাছাকাছি পানি পাওয়া যায় না। পানি নিতে পারে না বলে আগুন তো আর বসে থাকে না। সেটা ফাইট করতে হলে যে জিনিস দরকার সেটাই যদি না পাওয়া যায় তাহলে ফায়ার ফাইটার কীভাবে কাজ করবে? তাদেরও তো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। সেজন্য আমার অনুরোধ থাকবে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ,স্থপতি, প্রকৌশলী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যখন কোনো পরিকল্পনা করবে তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ফায়ার সার্ভিসের জন্য যেন বিশেষ সুবিধা থাকে। অর্থাৎ তাদের ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা এবং পানি পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ভবনে আগুন লাগলে পানির প্রাপ্যতা যেন নিশ্চিত হয় সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। জলাধার ও বৃষ্টির পানি যাতে সংরক্ষণ করা থাকে সেই ব্যবস্থাটাও নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন মাত্র ২০ তলা পর্যন্ত ফায়ার ফাইটিংয়ের সব ক্ষমতা আছে। কিন্তু সেখানে আমি দেখতে পাই কেউ হয়তো শত তলা উঁচু ভবন করবে কেউ ৩০ বা ৪০ তলা নানা রকম পরিকল্পনা করে বসে আছে। তাদের চিন্তা করতে হবে সেখানে যদি কখনো কোনো দুর্ঘটনা দেখা দেয় সেখান উদ্ধার কাজ করার মতো সক্ষমতা আমাদের কতটুকু আছে? সেই চিন্তাটা করেই পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। অর্থাৎ প্রতিটি বিল্ডিং, স্কুল, কলেজ, আদালত, শপিং মল, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল বিভিন্ন শিল্প-কারখানাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা একান্তভাবেই জরুরি। সেটা যেমন করতে হবে আবার আশেপাশে যেন জলাধার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।‌ এটা নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই একান্ত দরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অবশ্যই হতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষকে এ ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। ‌ ফায়ার ফাইটাররা যাতে আধুনিক প্রশিক্ষিত হয়, আন্তর্জাতিক মানের হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানেও একটা দক্ষ জনশক্তি দরকার। ইতোমধ্যে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই কাজও এগিয়ে চলছে।

ফায়ার স্টেশনের অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার সময় মাত্র ২০৪টি স্টেশন ছিল। অথচ জনসংখ্যা বেড়ে গেছে ১৬ কোটির উপরে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছিলাম যে প্রত্যেকটা উপজেলা অন্তত একটি করে ফায়ার স্টেশন হবে। এ ছাড়া বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ফায়ার স্টেশন গড়ে তুলব। এখন প্রায় ৪৫৬ ফায়ার স্টেশন আমাদের আছে। আজকে আরও ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করা হচ্ছে। ‌আগামী জুনের মধ্যে আরও ৫৫টি তৈরি হয়ে যাবে।

এসএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

জামিল আহমেদের কথা সব সত্য নয়, কিছু ডাহা মিথ্যা: ফারুকী

সৈয়দ জামিল আহমেদ (বামে) এবং সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

এরইমধ্যে এক বিবৃতিতে সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, ‘উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার জটিলতা, একাডেমির সচিবকে ‘ফোকাল পারসন’ হিসেবে মনোনীত করে মহাপরিচালকের বিধিসম্মত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান, বাজেট কর্তন, শিল্পকলার ভেতর থেকে ফাইল গায়েব করে দেওয়া, একাডেমির অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করে কাজের পরিবেশ ব্যাহত করা এবং দুর্নীতিবাজ চক্রের নানাবিধ অপতৎপরতার কারণে আমি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’

এবার এ বিষয়ে কথা বললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শনিবার (১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি দাবি করেছেন, সৈয়দ জামিল আহমেদের অভিযোগের সবকিছু সত্য নয়, কিছু বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা, আর কিছু তাঁর ব্যক্তিগত হতাশা থেকে আসা।

ফারুকী বলেন, ‘সৈয়দ জামিল আহমেদের কাজের একজন গুণমুগ্ধ আমি। সম্ভবত উনার কাজ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় ছাপা হওয়া সবচেয়ে বিস্তারিত লেখাটা আমি লিখেছিলাম। এখনও আমি তাঁকে বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক মনে করি। কয়দিন আগেও জামিল আহমেদের সামনেই একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি উনাকে দিয়ে তাদের দেশে একটা থিয়েটার প্রোডাকশন করাতে।’

যোগ করে বলেন, ‘কিন্তু ভালো শিল্পী হওয়া আর আমলাতন্ত্রকে কনফিডেন্সে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো দুইটা দুই রকম আর্ট। দ্বিতীয় কাজটা করবার জন্য লাগে ধৈর্য এবং ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি। কলিগদের বুলিং না করে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে অনেক কাজ আদায় করে নেওয়া যায়। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে যে কম্পোজার লাগে, সেটার সাথে কোনো একটা থিয়েটার দলে নির্দেশনা দেওয়ার টেম্পারামেন্ট এক না। আমার ফিল্ম ইউনিটে আমি যা করতে পারি, একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমি তা করতে পারি না।’

জামিল আহমেদের পদত্যাগ বিষয়ে ফারুকীর ভাষ্য, ‘আমি জামিল ভাইয়ের নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না, কারণ তাতে আমাকে এমন কিছু রেফারেন্স টানতে হবে যেটা তাঁর জন্য অস্বস্তিকর হবে। আমি চাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ফর রেকর্ডস আমাকে আসলে এগুলো বলতেই হবে। আজকে আমাদের অনেকগুলা কাজ আছে। এটা শেষ করে সময় পেলে লিখব।’

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু এইটুকু আপাতত বলে রাখি, উনার বলা অনেকগুলা কথা পুরো সত্য নয়, অনেকগুলা কথা ডাহা মিথ্যা, এবং কিছু কথা পরিস্থিতি ডিল না করতে পারার হতাশা থেকে বের হয়ে আসা বলে মনে হচ্ছে। আমার বিস্তারিত লেখা হয়তো উনাকে বিব্রত করতে পারে। কিন্তু আমাকে আপনি এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন যেখানে আমাকে বিব্রতকর হলেও সত্য বলতে হবে, জামিল ভাই।’

এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সৈয়দ জামিল আহমেদ পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ ছাড়াও মুনীর চৌধুরী ১ম জাতীয় নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিল আহমেদ। বক্তৃতাতেও তাঁর ইস্তফার বিষয়টি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব।

পরে মঞ্চের সামনে এলে অনেকেই তাঁর এই পদত্যাগপত্রের বিরোধিতা করেন। সেসময় তিনি তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে।

Header Ad
Header Ad

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  

ছবিঃ সংগৃহীত

একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি। এ ছাড়া বাংলাদেশে আর শান্তির দল আছে বলে আমার জানা নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া।

তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাদের হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন সামনে আমাদের কঠিন দিন আসতে পারে। অনেক কুচক্রী মহল আমাদের দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের ডাসার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার সরকার গঠন করব না, জাতি সরকার গঠন করবে। আমরা চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারতাম, কিন্তু সেটা করি নাই। আমরা উদারপন্থী রাজনীতি করি।

শাহাজাদা মিয়া বলেন, জনগণ চায় তাড়াতাড়ি নির্বাচন। ভোটের অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। জনগণ যাকে ভোট দিবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে।

তিনি আরও বলেন, দুইবারের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ইচ্ছা করলে যতদিন বাঁচবে ততদিন তারা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে। কিন্তু তারা সেই আশা করেন না। এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। জনগণ হলো মূলশক্তি। এজন্য এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।

এসময়, সব ভুলভ্রান্তি ভুলে দলের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান শাহাজাদা মিয়া।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, সাইফুল ইসলাম পটু, শফিকুর রহমান কিরণ, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি

ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদর দপ্তর থেকে শুরু করে যে জায়গায় হত্যা হলো, সব জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পর কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটও হত্যা ঘটাতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যা-ই হোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।

এপর আর একটি (হত্যা) যদি হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে আছেন। আহত রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা যে ওই জায়গারই, তার প্রমাণ কী।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির ডিজি বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ না করলে (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা বিজিবি তৈরি আছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিল আহমেদের কথা সব সত্য নয়, কিছু ডাহা মিথ্যা: ফারুকী
দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  
ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজানে ঢাকায় ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের