শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিজিএস গবেষণা: দুই বছরে ডিজিটাল আইনে অভিযুক্ত ২০৮ সাংবাদিক

গত ২৬ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মোট দুই হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৮৯০টি মামলায় আটক হয়েছেন ৮৪২ জন। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘অন্তহীন দুঃস্বপ্ন-বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ওয়েবিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষণা কার্যক্রমের মুখ্য গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর এবং সিজিএস-এর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. আলী রীয়াজ। ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)- এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং আর্টিকেল নাইনটিন-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল।

গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে গবেষণাটির মুখ্য গবেষক ড. আলী রীয়াজ জানান, এ প্রতিবেদনটি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার অনুমোদিত প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম, অভিযুক্ত বা অভিযুক্তের পরিবার এবং তাদের নিকটজন, অভিযুক্তের আইনজীবী এবং থানা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে করা।

তিনি আরও জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৪২ জনকে আটক করা হয়। প্রতি মাসে গড়ে ৩৪টি মামলায় ৮৬ জনের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ জামিন পেলেও অনেকেই এখনো জামিন পাননি। তথ্য না পাওয়ায় কতজন আটক আছে, তাও জানা সম্ভব হচ্ছে না।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযুক্ত এবং আটক ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি। এই আইনে রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হচ্ছেন। ৮২০ জনের পেশার তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ রাজনীতিবিদ ও ২৫ শতাংশ সাংবাদিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এই আইনের শিকার হচ্ছেন ছাত্র ও ব্যবসায়ীরা। এই আইনে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ১৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এই আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ১০৮টি মামলা করেছেন ৯৬ জন অর্থাৎ একই ব্যক্তি একাধিক মামলা করেছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, পেশাগত বিবেচনায় দেখা গেছে, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলা ও আটকের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া এনজিও, ছাত্র, সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, আইনজীবী ও ধর্মীয় নেতারা এ আইনের আওতায় ভুক্তভোগী। এমনকি পুলিশও অভিযুক্ত হচ্ছে।

বয়স বিবেচনায় দেখা গেছে–অভিযোগ, আটক ও মামলার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৫ বছরের ৩০৩ জন, ২৬ থেকে ৪০ বছরের সবচেয়ে বেশি ৩৮৮ জন কোনো না কোনোভাবে এই আইনের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে রয়েছে ১৯ জন এবং ৪১ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১০৭ জন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, অভিযোগকারীদের মধ্যে র‌্যাব ১৯ ও পুলিশের পক্ষ থেকে ৮৭টি অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সরকারের সমর্থনে মামলা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ১১১টি মামলা করেছে। আর সরকারি কর্মচারী মামলা করেছে ৪৩টি৷

ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা এই আইনের বেশি ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল-সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ৮১ শতাংশ।

মামলা প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, যারা এই মামলাগুলো করছেন তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় রাজনীতিবিদের সংখ্যাই বেশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা মোট ১৫৪টি মামলা করেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারায় সবচেয়ে বেশি ১২৪টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ২৯ ধারায় মামলা হয়েছে ১১৮টি।

প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছে ৯৮টি। আর রাজনৈতিক নেতাদের অবমাননার মামলা হয়েছে ৭৫টি।

ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট বা সংশ্লিষ্ট অন্য কারণে অনেকে এই আইনের আওতায় এসেছে। মামলার সংখ্যা ৫৬৮টি। এর মধ্যে হয়রানির অভিযোগে ৫১টি, আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে ২৯টি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ৮৫টি এবং মতামত প্রকাশের জন্য ৩৯৯টি মামলা হয়েছে।

আলোচনা সভায় আর্টিক্যাল-১৯ এর দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘আইন দরকার জনগণকে রক্ষা করার জন্য; বিশেষ কোনো দলকে সুবিধা দেয়ার জন্য নয়। সরকার সোশ্যাল মিডিয়া কন্ট্রোল করা দরকার বলে মনে করে। কিন্তু এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ দরকার। সাইবার ট্রাইব্যুনালে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশের এ সম্পর্কে ধারণা নেই।’

ব্যারিস্টার তানিয়া আমির বলেন, ‘প্রথমে আইসিটি অ্যাক্ট পরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হলো৷ আরো একটা আইন করা হবে। একের পর এক আইন করা হচ্ছে। কিন্তু আইনের মূল বিষয় পরিবর্তন হচ্ছে না। আইনে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে আঘাত করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভাবমূ্র্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। এখানে রাষ্ট্রীয় ভাবমূ্র্তি ও সরকারকে এক করে ফেলা হয়েছে। এ দুটির মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা গভীরভাবে দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতির আঘাত এখানে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। কার ধর্ম, কার অনুভূতি, কেমন আঘাত- এ বিষয়গুলো দেখতে হবে। ইসলাম ধর্ম কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর মনোপলি না। এখানে দেখতে হবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করলে কত জনগোষ্ঠীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শুধু আইন করলেই হবে না, এসব বিষয় আগে পরিষ্কার হতে হবে।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি জনগণের স্বার্থে নয়, শাসকদের স্বার্থে করা হয়েছে। আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনে ফাঁকফোকর রাখা হয়েছে অপব্যবহার করার জন্য। এই আইনের মতো আরও কিছু আইন স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করছে।’

ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার জনগণের জন্য এক অন্তহীন দুঃস্বপ্ন তৈরি করেছে। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে এই আইনে মামলা দায়েরের বিষয়ে স্বচ্ছতা নেই। গণমাধ্যমে সব মামলার খবর প্রকাশিত হয় না। এমনকি পুলিশও সহায়তা করে না। তথ্য অধিকার আইনের সাহায্য নিয়েও এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় না।’

এসএ/

Header Ad
Header Ad

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  

ছবিঃ সংগৃহীত

একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি। এ ছাড়া বাংলাদেশে আর শান্তির দল আছে বলে আমার জানা নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া।

তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাদের হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন সামনে আমাদের কঠিন দিন আসতে পারে। অনেক কুচক্রী মহল আমাদের দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের ডাসার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার সরকার গঠন করব না, জাতি সরকার গঠন করবে। আমরা চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারতাম, কিন্তু সেটা করি নাই। আমরা উদারপন্থী রাজনীতি করি।

শাহাজাদা মিয়া বলেন, জনগণ চায় তাড়াতাড়ি নির্বাচন। ভোটের অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। জনগণ যাকে ভোট দিবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে।

তিনি আরও বলেন, দুইবারের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ইচ্ছা করলে যতদিন বাঁচবে ততদিন তারা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে। কিন্তু তারা সেই আশা করেন না। এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। জনগণ হলো মূলশক্তি। এজন্য এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।

এসময়, সব ভুলভ্রান্তি ভুলে দলের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান শাহাজাদা মিয়া।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, সাইফুল ইসলাম পটু, শফিকুর রহমান কিরণ, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি

ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদর দপ্তর থেকে শুরু করে যে জায়গায় হত্যা হলো, সব জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পর কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটও হত্যা ঘটাতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যা-ই হোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।

এপর আর একটি (হত্যা) যদি হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে আছেন। আহত রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা যে ওই জায়গারই, তার প্রমাণ কী।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির ডিজি বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ না করলে (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা বিজিবি তৈরি আছি।

Header Ad
Header Ad

রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় করা হবে। সুলভমূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিল্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বস্তি এলাকায় প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে ‘রমজানে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির এলাকাগুলো হচ্ছে-সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি-বনানী, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিং দক্ষিণে), নাখালপাড়া (লুকাস মোড়), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল।

তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে যারা অহেতুক, অন্যায়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারাও সোচ্চার হবেন। তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। এবার রমজান ভিন্নতর হবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাধীন দেশে নতুন করে পবিত্র রমজান পালন করব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসাবে শুধু কিছু সংস্কার করব তা নয়, আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পাচ্ছিল, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা। এখন দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে হলেও অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুলভমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমে ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এতে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন এবং প্রান্তিক খামারিরা।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান কমান্ডার জাহিরুল আলিম, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  
ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার