শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর: ভালো নেই তারা

আজ থেকে ৯ বছর আগে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শ্রমিক ট্র্যাজেডির সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। ২৪ এপ্রিল ২০১৩, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। ওই ঘটনায় হতাহত হন কয়েক হাজার শ্রমিক। সেদিন কেউ মা-বাবা, কেউ ভাই-বোন, কেউ স্ত্রী-সন্তান-স্বামী হারিয়েছেন। কেউ হয়ে গেছেন চিরতরে নিঃস্ব। এখনো কেউ কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকে সঙ্গী করে চলছেন। আজও আহত ও নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয়নি ক্ষতিপূরণ। হতাহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার বিচারও এগিয়েছে খুব সামান্যই। সবমিলিয়ে এটুকু বলা যায়–ভালো নেই তারা।

কী ছিল রানা প্লাজায়

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজার ভবনটি ছিল নয়তলা। ভবনের প্রথম তলায় ছিল বিভিন্ন দোকান। দোতলায় ছিল দোকান আর ব্যাংক। তিনতলায় নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চার ও পাঁচতলায় নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেডে এবং ফ্যানটম লিমিটেড, ছয় ও সাততলায় ছিল ইথারটেক্স লিমিটেড গার্মেন্টস। আট ও নয়তলায়ও ছিল পোশাক কারখানা। শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভবনের তিনতলা থেকে নয়তলা পর্যন্ত ছিল পাঁচটি পোশাক কারখানা।

এতে প্রায় চার হাজার পোশাকশ্রমিক কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো ওই দিন সকাল ৮টায় হাজির হন কর্মস্থলে। উৎপাদনও শুরু করেন নির্ধারিত সময়ে। হঠাৎ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিকট শব্দ। আশপাশে উড়তে থাকে ধুলাবালু। ধসে পড়ে রানা প্লাজা। শুরু হয় শ্রমিকদের আহাজারি। উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। চলে বিরতিহীন উদ্ধার অভিযান। ভবন ধসের সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে চাপা পড়েন চার হাজার পোশাকশ্রমিক। বাঁচাও, পানি দাও, আমার হাতটি কেটে বের করো; এমন নানা আহাজারিতে ভারী হয়ে ‍উঠে চারপাশ।

আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে মহাসড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স। তাদের হাসপাতালে পাঠানো, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ছুটে আসেন হাজারো স্বেচ্ছাসেবী। একে একে বের করা হয় আহত ও নিহতদের।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাশের সংখ্যা বেড়ে যায়। হাসপাতালের মর্গ ভর্তি হয়ে যায়। পরে লাশগুলো নিয়ে যাওয়া সাভারের অধরচন্দ্র স্কুলের মাঠে। স্কুল বারান্দায় সারিবদ্ধভাবে লাশ রেখে দেওয়া হয়।

হতাহতের সংখ্যা

রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৬ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। দুই হাজার ৪৩৮ শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। অনেকে আবার মানসিক রোগী হয়ে আছেন।

আহাজারির সাক্ষী অধরচন্দ্র স্কুল মাঠ

বেদনার সাক্ষী হয়ে আছে সাভারের অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। ঘটনার দিন থেকে টানা ১৭ দিন ওই বিদ্যালয়ের মাঠে নিহতদের নিয়ে রাখা হতো। আর সেখান থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হতো। প্রিয় মানুষটির সন্ধান পেতে সেসময় স্বজনরা চারদিকে ছোটাছুটি করেছেন। রানা প্লাজা থেকে বিদ্যালয়ের মাঠ দেড় কিলোমিটারজুড়ে সেসময় অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ সবাইকে জাগিয়ে তুলতো। অপেক্ষারত স্বজনরা হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। এই বুঝি এলো নিখোঁজ মানুষটি। আজও সেই মাঠটি আছে, তবে নেই সেই চিত্র। তবে মাঠটি যেন আগের মতো আর হাসে না। প্রাণচঞ্চলতা হারিয়ে গেছে।

অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ফরিদ জানান, আগে সকাল-দুপুর-রাত এমন কোনো সময় নেই যে মাঠে না আসতাম, কোনো ভয় ছিল না। তবে রানা প্লাজার ধসে পড়ার পর মৃত লাশগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছিল। এরপর থেকে আর সাহস পাই না।

উদ্ধারকাজের ৫ম দিনে (২৮ এপ্রিল) ভবনের ভেতরে একজনের প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যায়। কাছে গিয়ে উদ্ধারকর্মীরা জানতে পারেন তার নাম শাহীনা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কায়কোবাদ নামে এক উদ্ধারকর্মী গুরুতর আহত হন। টানা সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ৫ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান শাহীনা।

ভবন ধসের ১৭তম দিনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করার আগ মুহূর্তে ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে পাওয়া যায় আরেকজনের প্রাণের স্পন্দন। অলৌকিকভাবে চারটি বিস্কুট ও এক বোতল পানি খেয়ে বেঁচে ছিল রেশমা। ১৭তম দিন বিকাল ৩টার দিকে ভেতর থেকে তাকে কাঠি নাড়াতে দেখেন উদ্ধারকর্মীরা। পরে রেশমাকে জীবিত দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে সাভারের সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া রেশমাকে দেখতে হাসপাতালে হেলিকপ্টারযোগে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের ব্যক্তিবর্গ।

২০তম দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রানা প্লাজার উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেন উদ্ধারকাজে গঠিত সমন্বয় কমিটির প্রধান নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী। তিনি উদ্ধারকাজ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু ও দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানান। পরদিন জায়গাটি ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার বিকালে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন শ্রমিকনেতা, রানা প্লাজার আহত ও নিহতদের স্বজনরা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, নয় বছর হলো, অথচ এই ঘটনার মূলহোতা সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। এখন পর্যন্ত হতাহত শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি ক্ষতিপূরণ। করা হয়নি চিকিৎসার ব্যবস্থা। এজন্য আজও এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছি আমরা। রানা প্লাজার জায়গা অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও পরিবারের পুনর্বাসন এবং ২৪ এপ্রিলকে শোক দিবস ঘোষণা করার দাবি জানাই।’

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শুধুমাত্র রানা প্লাজা নয়, তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ড, স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ভবন ধসসহ এ পর্যন্ত দেশের যেসব গার্মেন্টেসে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। তাই সোহেল রানাসহ সব অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাই।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, রানা প্লাজার ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এখন পর্যন্ত বিচারের আওতায় আনা হয়নি। যখনই ২৪ এপ্রিল আসে বিচার নিয়ে কথা ওঠে। কিন্তু বছরের বাকি ১১ মাস এ নিয়ে কোনও কথা হয় না। শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে কারখানাগুলো নিরাপদ করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছিল। এরপর অ্যাকোর্ড, অ্যালায়েন্স এসেছে। কিন্তু কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। এখনও বিভিন্ন কারখানায় ঘটছে দুর্ঘটনা। শ্রমিকরা জীবন দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এখনও রানা প্লাজার যেসব শ্রমিক জীবিত আছেন তারা এই দিনে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আসতে চাইলে কারখানার মালিকরা ছুটি দেন না। সরকার ও কারখানার মালিকরা এই দিন ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমরা এ ঘটনার বিচার চাই এবং চাইবো।

রানা প্লাজার আহত শ্রমিক নিলুফা আক্তার বলেন, আমি ক্ষতিপূরণ চাই। আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। পাশাপাশি রানার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন।

রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিক রাব্বির মা রাহেলা খাতুন বলেন, ছেলে হারানোর নয় বছর হলো। কিন্তু আমরা বিচার পেলাম না। দোষীদের বিচার এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার।

রাজা প্লাজা ধসে চার মামলা

রাজা প্লাজা ধসের ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে হত্যা, ইমারত নির্মাণ আইন ভঙ্গসহ তিনটি মামলার বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি। শুধু ভবন ধসের ঘটনার পর সম্পদের হিসাব চেয়ে রানা প্লাজার সোহেল রানাকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু হিসাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় সোহেল রানাকে তিন বছরের সাজা দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় পরদিন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় অভিযোগপত্রে ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। আসামি ৪১ জনের মধ্যে তিন আসামি মারা যান। বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৩৮ জন। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার তত্কালীন জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। কিন্তু ঐ অভিযোগ গঠন আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান আট আসামি। স্থগিত হয় বিচার কাজ। ফলে গত ছয় বছরে ২৫ বার পেছায় সাক্ষ্যগ্রহণ। অবশেষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত সেই সাক্ষ্যগ্রহণ।

আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় প্রায় ৬০০ জনকে সাক্ষী করেছে। দীর্ঘ এই তালিকার সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ করে বিচার শেষ করতে আরো কয়েক বছর লাগবে।

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি হত্যা মামলা প্রমাণে সকল সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের প্রয়োজন নাই। যেসব সাক্ষী গুরুত্বপূর্ণ তাদের সাক্ষ্য নিয়ে বিচার শেষ করার সুযোগ রয়েছে। এতে বিচার বিলম্বের যে নজির রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে।

আইন না মেনে রানা প্লাজা নির্মাণ করায় ইমারত নির্মাণ আইনে সাভার থানায় আরেকটি মামলা করে রাজউক। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডি ভবনের মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৩০ জনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৪ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় এ মামলার বিচার কাজ এখন বন্ধ রয়েছে।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  

ছবিঃ সংগৃহীত

একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি। এ ছাড়া বাংলাদেশে আর শান্তির দল আছে বলে আমার জানা নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া।

তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাদের হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন সামনে আমাদের কঠিন দিন আসতে পারে। অনেক কুচক্রী মহল আমাদের দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের ডাসার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার সরকার গঠন করব না, জাতি সরকার গঠন করবে। আমরা চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারতাম, কিন্তু সেটা করি নাই। আমরা উদারপন্থী রাজনীতি করি।

শাহাজাদা মিয়া বলেন, জনগণ চায় তাড়াতাড়ি নির্বাচন। ভোটের অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। জনগণ যাকে ভোট দিবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে।

তিনি আরও বলেন, দুইবারের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ইচ্ছা করলে যতদিন বাঁচবে ততদিন তারা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে। কিন্তু তারা সেই আশা করেন না। এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। জনগণ হলো মূলশক্তি। এজন্য এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।

এসময়, সব ভুলভ্রান্তি ভুলে দলের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান শাহাজাদা মিয়া।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, সাইফুল ইসলাম পটু, শফিকুর রহমান কিরণ, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি

ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদর দপ্তর থেকে শুরু করে যে জায়গায় হত্যা হলো, সব জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পর কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটও হত্যা ঘটাতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যা-ই হোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।

এপর আর একটি (হত্যা) যদি হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে আছেন। আহত রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা যে ওই জায়গারই, তার প্রমাণ কী।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির ডিজি বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ না করলে (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা বিজিবি তৈরি আছি।

Header Ad
Header Ad

রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় করা হবে। সুলভমূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিল্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বস্তি এলাকায় প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে ‘রমজানে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির এলাকাগুলো হচ্ছে-সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি-বনানী, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিং দক্ষিণে), নাখালপাড়া (লুকাস মোড়), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল।

তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে যারা অহেতুক, অন্যায়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারাও সোচ্চার হবেন। তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। এবার রমজান ভিন্নতর হবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাধীন দেশে নতুন করে পবিত্র রমজান পালন করব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসাবে শুধু কিছু সংস্কার করব তা নয়, আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পাচ্ছিল, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা। এখন দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে হলেও অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুলভমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমে ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এতে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন এবং প্রান্তিক খামারিরা।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান কমান্ডার জাহিরুল আলিম, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  
ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার