স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪ হাজার কনস্টেবল
স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশে কনস্টেবল পদে ৪ হাজার প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়, অনেক প্রান্তিক পরিবারের সদস্যই নিজের মেধা ও যোগ্যতা বলে কোনো ধরনের অর্থ বা তদবির ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পাওয়ার আনন্দে আবেগাপ্লুত অনেক প্রার্থী এবং তাদের পিতামাতা খুশিতে অশ্রুসজল হয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ৪ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি। আবেদনের শেষ দিন ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। মোট আবেদনকারী ছিলেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭২১ জন। হয় এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৪০ জন, নারী ১৫ হাজার ৯৮১ জন।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) কামরুজ্জামান বলছেন, ওয়েববেইজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ, কাগজপত্র বাছাই ও ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে কনস্টেবল পদে ৪ হাজার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ওয়েববেইজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ও উচ্চতার ভিত্তিতে শূন্যপদের বিপরীতে ১:৩৫ অনুপাতে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৩৭ জন এবং নারী ১৪ হাজার ৬৬৬ জন।ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্টে উত্তীর্ণ হয় ৩১ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩১ হাজার ২৫৪ জন। এদের মধ্য থেকে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে ৪ হাজার প্রার্থী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশে স্বচ্ছ ও আধুনিক প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে প্রার্থী নিয়োগ ইতোমধ্যে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
নতুন নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সেরা প্রার্থীদের পুলিশে নিয়োগ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা জব মার্কেট থেকে 'বেস্ট অব দি বেস্ট' প্রার্থী বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। যারা মেধা ও শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্য। তারা জনগণকে আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবেন।
কেএম/এসএন