শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধোবাউড়া রক্ষায় সাদামাটি আহরণ বন্ধের দাবি নাগরিক প্রতিনিধিদের

রাষ্ট্রীয় আইন, বিধিবিধান ও প্রটোকল অগ্রাহ্য করে ধোবাউড়ায় টিলা কেটে চলছে সাদামাটি আহরণ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বহু গুণ বেশি মাটি উত্তোলন করে সময়মতো তা অপসারণ না করতে পেরে উত্তোলনস্থলে মাসের পর মাস স্তূপ করে ফেলে রাখা হচ্ছে। আবার উত্তোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে তোলা মাটি ফেলে রাখা হয়েছে কৃষিজমিতে। এসব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মূল্যবান সাদামাটি উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, উত্তোলনের যে নানামুখী প্রভাব রয়েছে সেসব একেবারেই আমলে নেওয়া হচ্ছে না। অথচ আহরণস্থলে সরকারি কোনো তদারকি নেই।

ধোবাউড়ার সাদামাটি এলাকা পরিদর্শন করে এসে শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এসব তথ্য তুলে ধরেন। পরিদর্শন দলের বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন সংস্কৃতি কর্মী ও আদিবাসী নেতা মতিলাল হাজং, আইনজীবি ও সাংবাদিক প্রকাশ বিশ্বাস, লেখক ও সাংবাদিক নজরুল কবির, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য মেইনথিন প্রমীলা প্রমুখ।

সভায় আদিবাসী নেতা মতিলাল হাজং বলেন, দূর্গাপুরে সাদামাটির উত্তোলনের ফলে অনেক আদিবাসী গারো,হাজং ও হাদি জনগোষ্ঠীর লোকজন উচ্ছেদের শিকার হয়েছে। আদিবাসীদের জমির কাগজ পত্র নাই এই হইল দোষ, টিলায় থাকে কিন্তু কাগজপত্র নাই।

আদিবাসি নেতা নু মং বলেন, ন্যায্য দাবি সরকারের আমলে নেয়া উচিত। নীতি নির্ধারকদের কাজ করা উচিত অবৈধভাবে সাদামাটির পাহাড় খননের বিরুদ্ধে।

প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, আগে সোমেশ্বরীর পানি পরিষ্কার ছিলো। কিন্তু এবার গিয়ে দেখলাম তা ঘোলা হয়ে গেছে। এমন ভাবে সেখানে বালু উত্তোলন হয় ,মনে হয় নদীর বুক-পিঠ মাংস খুবলে খুবলে খেয়ে নিচ্ছে যেনো। এরকম চলতে থাকলে আগামীতে নদীর তীরে যাদের বিশেষত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িঘর নাই হয়ে যাবে।

জাকির হোসেন বলেন, আমরা দেখছি যে দূর্গাপুরের যে সৌন্দর্য ছিলো তা আজ আর নেই। সাদামাটির পাহাড় আমাদের জাতীয় সম্পদ। জাতীয় সম্পদ হলেও স্থানীয়দের জীবন জীবিকা বসবাস ইত্যাদি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন একটা কমিটি করতে হবে যারা বালু উত্তোলন কিংবা সাদামাটির পাহাড় খননের কাজের মনিটরিং করবেন। সে কমিটিতে স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের রাখতে হবে যাতে ভারসাম্য থাকবে। যাতে করে কেউ আলাদা করে দূর্নীতি করতে না পারে।

উল্লেখ্য, গত ৮-১০ এপ্রিল ১০ সদস্যের এক নাগরিক প্রতিনিধিদল নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুরে ও ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়ায় কয়েকটি সাদামাটি আহরণস্থল পরিদর্শন এবং স্থানীয় জনজীবন ও প্রতিবেশে এর প্রভাব অবলোকন করেন। উক্ত দুটি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে স্থানীয় হাজং, মান্দি ও বাঙালি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পাশাপাশি দূর্গাপুর প্রেসক্লাবে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবনিমিয় এবং নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের সাথেও সাক্ষাৎ করেন ।

নাগরিক প্রতিনিধি দলে ছিলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, আইনজীবী ও সাংবাদিক প্রকাশ বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, সাংবাদিক নজরুল কবীর, সাংবাদিক ও গল্পকার রাজীব নূর, অনুবাদক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ হাবীব, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা আহমেদ ও নাগরিক উদ্যোগের প্রতিনিধি ফারহান হোসেন জয়।

সভায় পরিদর্শনকারি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, দূর্গাপুরের তিনটি মৌজায় যেভাবে সাদামাটি আহরণ কাজ পরিচালিত হতো তার থেকে ধোবাউড়ায় খননকাজে বস্তত কোনো পার্থক্য নেই।

সাদা মাটি উত্তোলনের জন্য ধোবাউড়া উপজেলায় আরো কয়েকটি টিলা কিনে ফেলা হয়েছে, যদিও এখনও খনন শুরু হয়নি। ইতিমধ্যে সেখানকার প্রতিবেশ ও জনজীবনও একই রকম বিপন্নতার মুখোমুখি। ধোবাউড়ার ভেদীকুড়া মৌজায় সাদামাটি আহরণের ফলে, স্থানীয় আদিবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং পাহাড় ও পাহাড়ী বনের উপর নির্ভরশীল হাজং, মান্দি ও অন্যান্য আদিবাসীদের জীবন ও জীবিকা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বন ও গাছপালা ধ্বংসপ্রাপ্ত, বহু বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত, জীববৈচিত্র্য বিপন্ন, পানি দূষণ, খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। কিছুদিন আগেও যেখানে খরগোশ পাওয়া যেত সেখানে আর খরগোশ নেই; খননের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় কৃষিকাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে; ভারি যানবাহনের কারণে শব্দ দূষণ ও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে পড়ার মতো ঘটনা ঘটছে। যে পাহাড় ও বন এই অঞ্চলের জানা ইতিহাসের পুরোটা সময় হাজং, গারো ও অন্যান্য আদিবাসীদের জন্য ছিল বাসযোগ্য নিজস্ব আবাসভূমি সেটাই এখন অপরিকল্পিত ও নির্বিচার সাদামাটি আহরণের ফলে ক্রমশ অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে।

প্রতিনিধিদল সরকারের কাছে ধোবাউড়াকে রক্ষায় বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে পরিবেশগত সুরক্ষার প্রশ্ন বিবেচনায় না নিয়ে অপরিকল্পিত ও ধ্বংসাত্মক উপায়ে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ বন্ধ করতে হবে। দূর্গাপুরের তিনটি মৌজায় বন্ধ হলেও পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়ায় তা অবাধে চলছে।

আমরা মনে করি, পুরো অঞ্চলেই এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে। সাদামাটি উত্তোলনের ফলে যেসব আদিবাসী ও বাঙালি পরিবার বাস্তচ্যুত হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যক্তিবর্গের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশ-প্রতিবেশগত ভারসাম্য ধ্বংসের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করতে হবে এবং দায়িদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র্যের সঙ্গে ভারসাম্যহীন উপায়ে যেভাবে খননকাজ করা হয়েছে এবং খননের পর বিদ্যমান কোনো প্রটোকল না মেনে সংশ্লিষ্ট জায়গা যেভাবে ফেলে রাখা হয়েছে, সেটা পুনরায় জীববৈচিত্র্যের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে এবং এর আর্থিক দায়ভার খননকারী প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

খননের ফলে সৃষ্ট খাদ বা খাদের পানিতে পরে বিভিন্ন সময় শিশুসহ বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, অবিলম্বে সেখানে এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা যায় এবং এই পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন সেই সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সোমেশ্বরী নদী হতে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেটাও পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রেও বিদ্যমান আইন, বিধিবিধান ও প্রটোকল মেনে চলা উচিত। বালুর ট্রাক চলাচলের ফলে দূর্গাপুরবাসী প্রতিদিন যে দুর্ভোগ ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হন তা লাঘব করার জন্য একটা বাইপাস সড়ক নির্মাণ খুব জরুরি। প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনজীবন ও প্রতিবেশের উপর যেন প্রতিকূল প্রভাব না পড়ে তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিদিন দলের সদস্যরা জানান, খনন কাজের সময় স্থানীয় পর্যায়ে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো মনিটরিং থাকে না। মনিটরিং থাকা অত্যন্ত জরুরি। পর্যটন ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকাও খুব দরকার। মাটি উত্তোলনে নিয়োজিত শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি প্রাপ্তি এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য বিদ্যমান আইএলও কনভেনশন মানারও দাবি জানান তারা।

এনএইচবি/এএস

Header Ad
Header Ad

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  

ছবিঃ সংগৃহীত

একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি। এ ছাড়া বাংলাদেশে আর শান্তির দল আছে বলে আমার জানা নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া।

তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাদের হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন সামনে আমাদের কঠিন দিন আসতে পারে। অনেক কুচক্রী মহল আমাদের দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের ডাসার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার সরকার গঠন করব না, জাতি সরকার গঠন করবে। আমরা চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারতাম, কিন্তু সেটা করি নাই। আমরা উদারপন্থী রাজনীতি করি।

শাহাজাদা মিয়া বলেন, জনগণ চায় তাড়াতাড়ি নির্বাচন। ভোটের অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। জনগণ যাকে ভোট দিবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে।

তিনি আরও বলেন, দুইবারের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ইচ্ছা করলে যতদিন বাঁচবে ততদিন তারা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে। কিন্তু তারা সেই আশা করেন না। এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। জনগণ হলো মূলশক্তি। এজন্য এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।

এসময়, সব ভুলভ্রান্তি ভুলে দলের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান শাহাজাদা মিয়া।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, সাইফুল ইসলাম পটু, শফিকুর রহমান কিরণ, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি

ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদর দপ্তর থেকে শুরু করে যে জায়গায় হত্যা হলো, সব জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পর কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটও হত্যা ঘটাতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যা-ই হোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।

এপর আর একটি (হত্যা) যদি হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে আছেন। আহত রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা যে ওই জায়গারই, তার প্রমাণ কী।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির ডিজি বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ না করলে (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা বিজিবি তৈরি আছি।

Header Ad
Header Ad

রমজানে ঢাকায় ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় করা হবে। সুলভমূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিল্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বস্তি এলাকায় প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে ‘রমজানে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির এলাকাগুলো হচ্ছে-সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি-বনানী, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিং দক্ষিণে), নাখালপাড়া (লুকাস মোড়), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল।

তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে যারা অহেতুক, অন্যায়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারাও সোচ্চার হবেন। তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। এবার রমজান ভিন্নতর হবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাধীন দেশে নতুন করে পবিত্র রমজান পালন করব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসাবে শুধু কিছু সংস্কার করব তা নয়, আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পাচ্ছিল, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা। এখন দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে হলেও অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুলভমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমে ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এতে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন এবং প্রান্তিক খামারিরা।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান কমান্ডার জাহিরুল আলিম, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  
ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজানে ঢাকায় ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার