যুক্তরাষ্ট্র এলজিবিটির অধিকার চায় বাংলাদেশে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ধর্মের উপর আঘাত করতে চায়। তারা মানবাধিকারের কথা বলে এলজিবিটির মতো বিষয়গুলো আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সিঙ্গাপুর সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
এলজিবিটি অধিকার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি তাদের কোনো কোনো রাজ্যে স্বীকৃত। কিন্তু দেশে স্বীকৃত নয়। অথচ তারা জোর করে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি আমাদের প্রায়োরিটি হিউম্যান রাইটস হলো কীভাবে মানুষকে দুবেলা খাবার দিতে পারব, বাসস্থান দিতে পারব এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারব। এগুলোই আমাদের দেশের মানবাধিকার।
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে কি না জানি না। তবে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) পত্রিকা পড়ে ও এনজিওদের কাছ থেকে তথ্য নেয়। আর এরা যা খুশি তাই বলে। আর এক দল আছে যারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। তারাও উল্টাপাল্টা বলে।
মার্কিন দূতাবাসে চাকরি করা বাঙাালিদের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক বাঙালিই আমেরিকান দূতাাবাসে চাকরি করেন যারা এসব প্রতিবেদনের ইনিনশিয়াল ড্রফট তৈরি করেন। উনারাও উল্টাপাল্টা করেন। বাঙালির কাজই হলো শুধু দোষ ধরা।
আমেরিকার বাকস্বাধীনতা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কোথাও কথা বলার অধিকার খর্ব করা হয় নাা। তোমার দেশে কথা বলার অধিকার খর্ব করা হয়। তোমাদের দেশের প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট অনেক কঠিন আইন।
আরইউ/এমএমএ/
