ইলিয়াস আলীকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় কাজ করা হচ্ছে: র্যাব

ফাইল ফটো
নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে এখনো খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, র্যাব মনে করে নেত্র নিউজে যেভাবে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং আমরা বলব, ইলিয়াস আলীকে যখন থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না, তার স্ত্রী আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা তার স্ত্রীকে সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা দিয়েছি।
তিনি বলেন, উনি যেখানে যেখানে সন্দেহ পোষণ করেছেন যে, উনার স্বামীর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বা উনি যখনই আমাদের কোনো তথ্য দিয়েছেন র্যাবের টিম উনার সহযোগিতায় গেছে এবং আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।
একটি বিষয় অবশ্যই বলা বাহুল্য, র্যাব একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আমাদের যত অভিযান আমরা আইন মেনে পরিচালনা করি। যেসব তথ্য-উপাত্ত নেত্র নিউজে দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যেভাবে তারা ডকুমেন্টেশন দেখিয়েছে, ব্যাপারটা সে রকম না। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী যখনই এসেছেন আমরা তাকে সহযোগিতা দিয়েছি। কারণ এটা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। আমরাও চেষ্টা করেছি খুঁজে বের করার, বলেন মঈন।
বুধবার ডাকাত দলের এক সদস্য ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, গতকাল রাতে র্যাবের একটি মাইক্রোবাস সাভার থেকে মানিকগঞ্জে যাচ্ছিল, তখন সেখানে অতর্কিত গুলি চালানো হয়। যতটুকু আমি জেনেছি গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, পেছনে আমাদের টহল পিকআপ ভ্যান ছিল। ওই সড়কটি ছিনতাই প্রবণ। গাড়ি না থামানোর কারণে গুলি চালানো হয়। আমাদের গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে, গাড়িতে কয়েক জায়গায় গুলি লাগে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমাদের ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। পেছনের ব্যাকআপ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং সেখানে উভয়পক্ষ গুলি চালায়। যারা আমাদের গাড়িতে গুলি চালিয়েছিল, এক পর্যায়ে তারা সবাই চলে যায়। আমাদের ফরেনসিক টিম পর্যালোচনা করছিল, আরেকটি টিম অস্ত্র সার্চ করছিল।
তিনি বলেন, প্রায় ২ ঘণ্টা পরে আমরা বেশ কিছু দেশি-বিদেশি অস্ত্র পাই। সেখানে একজন পড়ে ছিলেন। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং ওয়াইভিএস-এর মাধ্যমে আঙুলের ছাপ নিয়ে নিশ্চিত হই তার নাম কাউসার। পরে জানতে পারি কাউসার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য।
কেএম/আরএ/
