শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে সরব হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট সঙ্গে বাসদসহ কিছু বাম দল। তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রায়ই দেখি আমাদের দেশে কিছু নেতা আছে তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত। কী তাদের আন্দোলন এই সরকারকে হঠাতে হবে। কোন সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার।

এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব তার সঙ্গে ড. কামাল হোসেন সাহেবের একটা অংশ আর সে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাম দল-বাসদ আরও কারা কারা, তারা প্রায়ই বলে তারা নাকি সবাই এক হয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠাবে। ‘আমার প্রশ্ন অপরাধটা কী আওয়ামী লীগের’?

বুধবার (২০ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি প্রায়ই শুনি বক্তৃতায় আমাদের দেশের কিছু নেতারা আছে দুঃসময়ে মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছে সেটা আমি জানি না। করোনাকালীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছে কি না সেটার কিন্তু কোনো লক্ষণ আমরা দেখি নাই, তবে তারা আন্দোলনের জন্য খুব ব্যস্ত।

তিনি বলেন, আমরা যে সরকারে এসেছি ২০০৮ সালের নির্বাচনে। নির্বাচনে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম সেই নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য আমরা স্থির করেছিলাম ২০২১ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তারা আমাদেরকে বার বার ভোট দিয়েছে, ভোটে নির্বাচিত সরকার হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার যা আমাদের লক্ষ্য আমরা সেটা অর্জন করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এই সময় আমরা কি অর্জন করেছি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি? সে কারণেই তারা এই সরকারকে হঠাতে চায়? বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা প্রাপ্ত। আমরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি, কৃষকরা ভর্তুকির টাকাটা ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি পাচ্ছে। সারের দাম চার দফা কমিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি।‌ যেখানে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল। এই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির পরিবর্তন করে দিয়েছে। ‌জাতির পিতা ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়া রাখতে পারে নাই। ‌ পদ্মা সেতু নিয়ে যখন মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম কারও টাকা লাগবে না, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাব, আজ সেটা আমরা তৈরি করে ফেলেছি। আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক মানুষ ঘরে বসে বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে, আর্থিক সচ্ছলতা পাচ্ছে। স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট প্রস্তুত করে যাচ্ছি, নিউক্লিয়ার প্লান্টের যুগে প্রবেশ করেছে। পায়রাতে ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করলাম। সেখানে ৮ মাস আগেই কাজ শেষ হয়েছে, তাতে প্রায় দেড়শ মিলিয়ন ইউএস ডলার সাশ্রয় করেছি অর্থাৎ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছি। সময়ের আগেই আমরা শেষ করে ফেলেছি।’

অনেকে প্রশ্ন করেন এত বড় বড় প্রজেক্টের প্রয়োজনটা কী? শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে গেলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতেই হবে। আমরা যে ৯০০ কোটি টাকার মতো বাঁচাতে পারলাম এ কথাটা কেউ বলে না। ‌ এটা বলতে বোধ হয় তাদের একটু কষ্টই হয়। একটা প্রজেক্টের টাকা বেশি লাগে, সেখানে টাকা সাশ্রয় হলো সময় কম লাগল এতে বোধ হয় আমাদের সমালোচকদের পছন্দ হয় না। সেটাই তারা চাচ্ছে, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন,‌ ‘আমরা গ্রামপর্যায়ে রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট করে দিয়েছি। এখন আর গ্রামে কাঁদা পায়ে হাটতে হয় না। রাস্তা ঘাট তৈরি করে দিয়েছি, বোধ হয় এটাও তাদের কাছে অপরাধ। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে যুবকরা বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা নিয়ে কোনো একটা কর্মসংস্থান করতে পারে। যুবকরা যেন উদ্যাক্তা হতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। বেকারত্ব থেকে যুব সমাজকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। ২ কোটির মতো বৃত্তি, উপ-বৃত্তি দিচ্ছি। সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির টাকাও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে চিকিৎসা সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে সারাদেশে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ মানুষকে দিচ্ছি। উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে চিকিৎসা বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এদেশের কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য যাতে পরিবর্তন হয় তার ব্যবস্থা করেছি। আজকে দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে। করোনাকালীন দারিদ্রের হার হ্রাস পেয়েছে। এই যে বহু কাজ আমরা করেছি আমার প্রশ্নটা হচ্ছে এই যে কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তৃণমূলের মানুষ, গ্রামের মানুষ উপকার পাচ্ছে, তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যটা কী? এই মানুষগুলোকে এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে দেওয়া। এটাই তো তাদের লক্ষ্য? এটাই তাদের উদ্দেশ্য? সেজন্যই তাদের শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে হবে? আমার প্রশ্ন তাদের কাছে অপরাধটা কী করেছি আমরা?’

সরকার প্রধান বলেন, ‘তারা লুটপাট করে খেয়েছে। মানুষ খুন করেছে। তাদের হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে, চোখ হারিয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষগুলোকে হত্যা করেছে। সেই ২০১৩ সালের কথা সকলের মনে আছে। ২০১৫ সালে কীভাবে মানুষ হত্যা করেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকে যে অত্যাচার সারা দেশে করেছিল বিএনপি জামায়াত জোট পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যাচার করেছিল ঠিক একইভাবে মেয়ের ধর্ষণ করা থেকে ‍শুরু করে গণধর্ষণ থেকে মুক্তি পায় নাই। পুর্ণিমা ফাহিমাদে কত নাম সেই সমস্ত দিনের কথা মানুষ ভুলে যায় কীভাবে? সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশের কাছে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ব্যস্ত। সরকার উৎখাতে ব্যস্ত। তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরুক। তারা দেশের মানুষের জন্য কী করবে? আমরা দেশের মানুষের জন্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে গড়ে উঠবে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তারেই ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করে সেটিও বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ শতবর্ষে কীভাবে উন্নত থাকে উন্নতির পথে এগিয়ে যায় সেই পরিকল্পনাও আমরা তৈরি করে দিয়েছি। এটা অনুসরণ করে চললে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করেছি আরও করব।’

এসএম/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  

ছবিঃ সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জন্য জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে বেলেছেন শীর্ষ

মার্কিন কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। 

ওভাল অফিসের আলোচনা তর্ক-বিতর্কের পর সিএনএনকে রুবিও বলেন, ‘জেলেনস্কির উচিত আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাওয়া’।

রুবিও প্রশ্ন তুলেছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর তিন বছর কেটে গেছে, বেশি সময় ধরে যুদ্ধ সহ্য করে এখন কি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসান চান না?

তিনি বলেন, ‘তার এগুলোর মধ্যে এসে দ্বন্দ্বে জড়ানোর দরকার নেই। আপনি যখন আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলতে শুরু করবেন—এবং প্রেসিডেন্ট হলেন মধ্যস্থতাকারী, তিনি সারাজীবন এটা করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘হয়তো জেলেনস্কি শান্তি চুক্তি চান না, এটাই বোঝা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তিনি চানও আবার সম্ভবত তিনি চান না।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ওই বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যখন জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট- ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার অর্থবহ মিটিং করেছি।

এত চাপ ও উত্তেজনার মধ্যে এমন কিছু শেখা গেছে, যা কথা না বললে কখনো বোঝা যেত না। আবেগের মধ্য দিয়ে যা বেরিয়ে আসে তা আশ্চর্যজনক, আমি স্থির হয়েছি যে জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত না। এতে যদি আমেরিকা যুক্ত থাকে, কারণ তিনি মনে করেন আমাদের যুক্ত থাকার ফলে আলোচনায় তার একটা বড় সুবিধা হবে। আমি সুবিধা চাই না, শান্তি চাই।

ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি (জেলেনস্কি) যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি আসতে পারেন। তিনি প্রিয় ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন।

বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। যখন তাদের বাদানুবাদ চলছিল, তখন বৈঠকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে মাথায় হাত অবস্থায় দেখা গেছে। এই বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের খনিজসম্পদ নিয়ে শুক্রবার তার সঙ্গে জেলেনস্কির চুক্তি সই হবে। গতকাল শুক্রবার রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধের পুরো পরিস্থিতি যেন উল্টে যেতে বসেছে।

এর আগে, বৈঠকে জেলেনস্কি প্রকাশ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নরম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস হওয়া উচিত নয়।

ওদিকে ট্রাম্প বলেন, পুতিন একটি চুক্তি করতে চান। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চাইলে ইউক্রেনকে কিছু ছাড় দিতে হবে। একপর্যায়ে গর্জে উঠে জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেন, আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন।

ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জেলেনস্কিকে আরো বলেন, আপনি বড় সংকটে রয়েছেন। আপনি এটা (যুদ্ধ) জিততে পারবেন না। একটি চুক্তি করুন, নইলে আমরা বেরিয়ে যাই। এসময় জেলেনস্কিকে আরো কৃতজ্ঞ হতেও বলেন তিনি। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে ‘অভদ্র’ও বলে বসেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতারা এ বৈঠককে উত্তেজনার এক নজিরবিহীন মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার এমন আচরণে, বিশেষত রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে যাবতীয় কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে জলাঞ্জলি দেওয়ার এই ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে বলা যায়।

Header Ad
Header Ad

ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  

ছবিঃ সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলা জেলার ১০ গ্রামে রোজা রেখেছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থাকা সুরেশ্বরী দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা রোজা রাখেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তারাবি নামাজ আদায় করে আজ শনিবার ০১ মার্চ থেকে তাদের প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে সুরেশ্বরী ও মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সবচেয়ে বেশি। জেলায় তাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার হলেও টবগী ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় তিন হাজারের মতো।

মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ি দরজা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিবার তাদের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। এ জন্য শুক্রবার ওই মসজিদে তিনি রাত ৯টায় প্রথম তারাবির নামাজ শুরু করেছেন। একদিন আগেই রোজা শুরু ভোলার ১০ গ্রামে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ রহিম জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। শুক্রবার থেকে তাদের প্রথম তারাবি ও শনিবার থেকে প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ১০টি গ্রামে সুরেশ্বরী দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে তাদের টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে।

Header Ad
Header Ad

কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিহত যুবক হলেন কসবার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩২)।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েকজন যুবককে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিএসএফ। এতে আল আমীন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টায় মারা যান তিনি। মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদির ও কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা আল আমীন নামের ওই যুবকের বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির সুলতানপুর ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর
ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয়, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে: জামায়াতের সেক্রেটারি
ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু
খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!