বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে সরব হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট সঙ্গে বাসদসহ কিছু বাম দল। তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রায়ই দেখি আমাদের দেশে কিছু নেতা আছে তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত। কী তাদের আন্দোলন এই সরকারকে হঠাতে হবে। কোন সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার।

এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব তার সঙ্গে ড. কামাল হোসেন সাহেবের একটা অংশ আর সে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাম দল-বাসদ আরও কারা কারা, তারা প্রায়ই বলে তারা নাকি সবাই এক হয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠাবে। ‘আমার প্রশ্ন অপরাধটা কী আওয়ামী লীগের’?

বুধবার (২০ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি প্রায়ই শুনি বক্তৃতায় আমাদের দেশের কিছু নেতারা আছে দুঃসময়ে মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছে সেটা আমি জানি না। করোনাকালীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছে কি না সেটার কিন্তু কোনো লক্ষণ আমরা দেখি নাই, তবে তারা আন্দোলনের জন্য খুব ব্যস্ত।

তিনি বলেন, আমরা যে সরকারে এসেছি ২০০৮ সালের নির্বাচনে। নির্বাচনে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম সেই নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য আমরা স্থির করেছিলাম ২০২১ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তারা আমাদেরকে বার বার ভোট দিয়েছে, ভোটে নির্বাচিত সরকার হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার যা আমাদের লক্ষ্য আমরা সেটা অর্জন করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এই সময় আমরা কি অর্জন করেছি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি? সে কারণেই তারা এই সরকারকে হঠাতে চায়? বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা প্রাপ্ত। আমরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি, কৃষকরা ভর্তুকির টাকাটা ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি পাচ্ছে। সারের দাম চার দফা কমিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি।‌ যেখানে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল। এই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির পরিবর্তন করে দিয়েছে। ‌জাতির পিতা ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়া রাখতে পারে নাই। ‌ পদ্মা সেতু নিয়ে যখন মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম কারও টাকা লাগবে না, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাব, আজ সেটা আমরা তৈরি করে ফেলেছি। আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক মানুষ ঘরে বসে বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে, আর্থিক সচ্ছলতা পাচ্ছে। স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট প্রস্তুত করে যাচ্ছি, নিউক্লিয়ার প্লান্টের যুগে প্রবেশ করেছে। পায়রাতে ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করলাম। সেখানে ৮ মাস আগেই কাজ শেষ হয়েছে, তাতে প্রায় দেড়শ মিলিয়ন ইউএস ডলার সাশ্রয় করেছি অর্থাৎ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছি। সময়ের আগেই আমরা শেষ করে ফেলেছি।’

অনেকে প্রশ্ন করেন এত বড় বড় প্রজেক্টের প্রয়োজনটা কী? শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে গেলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতেই হবে। আমরা যে ৯০০ কোটি টাকার মতো বাঁচাতে পারলাম এ কথাটা কেউ বলে না। ‌ এটা বলতে বোধ হয় তাদের একটু কষ্টই হয়। একটা প্রজেক্টের টাকা বেশি লাগে, সেখানে টাকা সাশ্রয় হলো সময় কম লাগল এতে বোধ হয় আমাদের সমালোচকদের পছন্দ হয় না। সেটাই তারা চাচ্ছে, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন,‌ ‘আমরা গ্রামপর্যায়ে রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট করে দিয়েছি। এখন আর গ্রামে কাঁদা পায়ে হাটতে হয় না। রাস্তা ঘাট তৈরি করে দিয়েছি, বোধ হয় এটাও তাদের কাছে অপরাধ। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে যুবকরা বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা নিয়ে কোনো একটা কর্মসংস্থান করতে পারে। যুবকরা যেন উদ্যাক্তা হতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। বেকারত্ব থেকে যুব সমাজকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। ২ কোটির মতো বৃত্তি, উপ-বৃত্তি দিচ্ছি। সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির টাকাও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে চিকিৎসা সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে সারাদেশে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ মানুষকে দিচ্ছি। উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে চিকিৎসা বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এদেশের কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য যাতে পরিবর্তন হয় তার ব্যবস্থা করেছি। আজকে দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে। করোনাকালীন দারিদ্রের হার হ্রাস পেয়েছে। এই যে বহু কাজ আমরা করেছি আমার প্রশ্নটা হচ্ছে এই যে কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তৃণমূলের মানুষ, গ্রামের মানুষ উপকার পাচ্ছে, তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যটা কী? এই মানুষগুলোকে এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে দেওয়া। এটাই তো তাদের লক্ষ্য? এটাই তাদের উদ্দেশ্য? সেজন্যই তাদের শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে হবে? আমার প্রশ্ন তাদের কাছে অপরাধটা কী করেছি আমরা?’

সরকার প্রধান বলেন, ‘তারা লুটপাট করে খেয়েছে। মানুষ খুন করেছে। তাদের হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে, চোখ হারিয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষগুলোকে হত্যা করেছে। সেই ২০১৩ সালের কথা সকলের মনে আছে। ২০১৫ সালে কীভাবে মানুষ হত্যা করেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকে যে অত্যাচার সারা দেশে করেছিল বিএনপি জামায়াত জোট পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যাচার করেছিল ঠিক একইভাবে মেয়ের ধর্ষণ করা থেকে ‍শুরু করে গণধর্ষণ থেকে মুক্তি পায় নাই। পুর্ণিমা ফাহিমাদে কত নাম সেই সমস্ত দিনের কথা মানুষ ভুলে যায় কীভাবে? সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশের কাছে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ব্যস্ত। সরকার উৎখাতে ব্যস্ত। তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরুক। তারা দেশের মানুষের জন্য কী করবে? আমরা দেশের মানুষের জন্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে গড়ে উঠবে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তারেই ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করে সেটিও বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ শতবর্ষে কীভাবে উন্নত থাকে উন্নতির পথে এগিয়ে যায় সেই পরিকল্পনাও আমরা তৈরি করে দিয়েছি। এটা অনুসরণ করে চললে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করেছি আরও করব।’

এসএম/এমএমএ/

 

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়