শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নির্বাচনের সড়কটা মসৃণ নয়: সিইসি

দেশে নির্বাচনের সড়কটা খুব মসৃণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সড়কটা খুব মসৃণ নয়। এটা সুইডেন বা নরওয়ের মত ওই ধরনের মসৃণ নয় বা নিউ জিল্যান্ডের মতো নয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের নির্বাচনের সেই সড়কটা অনেকটা বন্ধুর। সেখানে সকলকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য।’

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/ বার্তা প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রায় ২৭ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের কথা শোনার পর বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা অহেতুক সংলাপ করছি না বা আপনাদের ডেকে অহেতুক কষ্ট দিচ্ছি না। সংলাপ ফলপ্রসূ হবে। আগেও কয়েকটা সংলাপ করেছে সবগুলোর সারসংক্ষেপ আমরা জানাব।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে এর মধ্যেই অনেক কথা উঠেছে। আমরাও চার-পাঁচটা সভা করেছি, আরও করব। অনেকে ইভিএমে পক্ষে বলেছেন। ইভিএম এর সুবিধা হচ্ছে এখানে পেশী শক্তির ব্যবহার কিছুটা হ্রাস করতে পারে। যেখানে ছিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করা যায় কিন্তু ইভিএমে আমি যদি টিপ না দেই তাহলে কিন্তু ওপেন হবে না। ভালো সুবিধা আছে তার পরেও বিভিন্ন অসুবিধার কথা বলেছেন। আমরা বিষয়গুলো স্টাডি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওপেন হতে চাই। কেউ কেউ ইভিএম এর বিপক্ষে বলেছেন, একেবারে বিপক্ষে বলেন নাই। তবে কেউ কেউ বলেছেন যে ত্রুটি আছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আমরাও সেটা চেষ্টা করব।’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে সকলের অভিমতের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সকলেই বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক হওয়া উচিত। অধিকাংশই বলেছেন। তবে আবার কেউ কেউ বলেছেন যে কোন দল নির্বাচনে আসল কি আসল না সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব না‌। এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। আমরা জাস্ট ভোট আয়োজন করব। নির্বাচনে পক্ষ প্রতিপক্ষ মাঠে গিয়ে একটা ব্যালেন্স তৈরি করে। ব্যালেন্স ভারসাম্য যদি না থাকে তাহলে নির্বাচনটা সহজ হয় না। আমরাও মনে করি নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া উচিত। এখানে দুটো পক্ষ থাকে দুই পক্ষকে মাঠে খেলতে হয়। তাহলে নির্বাচনটা ওই দিক থেকে সহজ হয়।’

সিইসি বলেন, নির্বাচনে ট্রান্সপারেন্সি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের সময় ভেতরে ক্যামেরা দিয়ে বাইরে মনিটর দিয়ে যদি লাইভ সম্প্রচার করা যায় সেটা নিয়েও আমরা নিজেরা আলোচনা করেছি।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষক অত্যাবশকীয় বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, নির্বাচন অবজার্ভ করতে হয়। জাতীয় পর্যবেক্ষক আপনারা আছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক যারা আছেন তাদের যদি একটা বিচরণ থাকে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে তাহলে তারা রিপোর্ট করতে পারেন। একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকে সার্টিফাইড করার জন্য ওই ধরনের পর্যবেক্ষক প্রয়োজন আছে।

নির্বাচন কমিশন তথ্য দিতে প্রস্তুত জানিয়ে বলেন, আমাদের তথ্য দিতে হবে, আপনাদেরকে তথ্য আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা শক্তি সৃষ্টি করতে পারেন। আপনারা জবাবদিহিতা সৃষ্টি করতে পারেন। মিডিয়াকে বেশি ভয় পাই। কি সব আপনারা লেখে আমার জীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলতে পারেন, সেটা তো আর আমি জানি না। কাজেই কিছুটা ভিতি তো থাকবেই।

সততা ও কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব স্পৃহা এবং কমিটমেন্ট, প্রতিশ্রুতি আমাদের আছে, থাকবে। যদি নির্বাচন সম্পর্কে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে আসে, আপনারাও দিতে পারেন। সেখানে শুধু সাহস না আমাদের দায়িত্ব হয়ে যাবে তখন সেই কেন্দ্র বা পুরো সংসদীয় আসনের নির্বাচন নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্বের অংশ। আপনাদেরও দায়িত্ব হবে সেই জিনিসটাকে সঠিকভাবে তুলে ধরা, বিকৃতভাবে নয়।

আইনে অনেকগুলো বিধান থাকলে যেগুলো আমাদের প্রায়োগিক সামর্থ্য বাড়াতে হবে। আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকবে নির্বাচনটা অবাধ করা। ওটা যেন হয় সেদিকে আমাদের একটা লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেটা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সেটা আমাদের করতে হবে।

আপনারা বলেছেন খাদের কিনারে আশার আলো দেখছেন। আমরাও আপনাদের কাছ থেকে প্রেরণার শক্তি পাচ্ছি। যদি আপনারা প্রেরণা প্রদান এবং শক্তি প্রদান বন্ধ করে দেন তাহলে আপনাদের আশার আলো দেখার অবস্থানটা ক্ষীণ হয়ে আসবে।

ভোটাধিকার প্রয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যেন মানুষ ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারে, সেটা আমরা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারব সেদিকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে। আপনাদেরও দৃষ্টিটা সেদিকে থাকা প্রয়োজন।

ভোটে অনেক সময় কারচুপি উৎকোচ প্রদান ইত্যাদি নানা কথা আমরা শুনে থাকি। টাকা দিয়ে আগের রাতে ভোট কিনে নেওয়া হয়েছে, কোরআন শরীফের উপর হাত রেখে টাকা নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম অভিযোগ আসে, এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি বিধান আছে কিন্তু সেই বিধানগুলো প্রয়োগ করা কঠিন। কে কাকে টাকা দিল কে ভোট কিনল এগুলো আসলে সেনসিটাইজ করা।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, মিউনিসিপাল নির্বাচন হবে। সকল ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করব সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে, দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ হয় সেটিকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। আমাদের এই চলার পথে আপনাদেরও সারথী হতে হবে।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যম ব্যক্তিদের মধ্যে সংলাপে অংশগ্রহণ করেন বাসস এর প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মনজুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল বাবু, বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ, রাশেদ চৌধুরী, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ, জাহিদ নেওয়াজ, জহিরুল আলম, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, জ ই মামুন, তালাত মাহমুদ, রেজওয়ানুল হক, এস কে নজমুল হক সৈকত, কে এম জিয়াউল হক, আশিস সৈকত, সৈয়দ আশিক খান, রাহুল রাহা, তুষার আব্দুল্লাহ, ড. আব্দুল হাই সিদ্দিক, মুস্তবা দানিশ, মাসুদ কামাল, বোরহানুল হক সম্রাট, মানশ ঘোষ, ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  

ছবিঃ সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জন্য জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে বেলেছেন শীর্ষ

মার্কিন কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। 

ওভাল অফিসের আলোচনা তর্ক-বিতর্কের পর সিএনএনকে রুবিও বলেন, ‘জেলেনস্কির উচিত আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাওয়া’।

রুবিও প্রশ্ন তুলেছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর তিন বছর কেটে গেছে, বেশি সময় ধরে যুদ্ধ সহ্য করে এখন কি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসান চান না?

তিনি বলেন, ‘তার এগুলোর মধ্যে এসে দ্বন্দ্বে জড়ানোর দরকার নেই। আপনি যখন আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলতে শুরু করবেন—এবং প্রেসিডেন্ট হলেন মধ্যস্থতাকারী, তিনি সারাজীবন এটা করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘হয়তো জেলেনস্কি শান্তি চুক্তি চান না, এটাই বোঝা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তিনি চানও আবার সম্ভবত তিনি চান না।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ওই বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যখন জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট- ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার অর্থবহ মিটিং করেছি।

এত চাপ ও উত্তেজনার মধ্যে এমন কিছু শেখা গেছে, যা কথা না বললে কখনো বোঝা যেত না। আবেগের মধ্য দিয়ে যা বেরিয়ে আসে তা আশ্চর্যজনক, আমি স্থির হয়েছি যে জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত না। এতে যদি আমেরিকা যুক্ত থাকে, কারণ তিনি মনে করেন আমাদের যুক্ত থাকার ফলে আলোচনায় তার একটা বড় সুবিধা হবে। আমি সুবিধা চাই না, শান্তি চাই।

ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি (জেলেনস্কি) যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি আসতে পারেন। তিনি প্রিয় ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন।

বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। যখন তাদের বাদানুবাদ চলছিল, তখন বৈঠকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে মাথায় হাত অবস্থায় দেখা গেছে। এই বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের খনিজসম্পদ নিয়ে শুক্রবার তার সঙ্গে জেলেনস্কির চুক্তি সই হবে। গতকাল শুক্রবার রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধের পুরো পরিস্থিতি যেন উল্টে যেতে বসেছে।

এর আগে, বৈঠকে জেলেনস্কি প্রকাশ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নরম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস হওয়া উচিত নয়।

ওদিকে ট্রাম্প বলেন, পুতিন একটি চুক্তি করতে চান। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চাইলে ইউক্রেনকে কিছু ছাড় দিতে হবে। একপর্যায়ে গর্জে উঠে জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেন, আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন।

ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জেলেনস্কিকে আরো বলেন, আপনি বড় সংকটে রয়েছেন। আপনি এটা (যুদ্ধ) জিততে পারবেন না। একটি চুক্তি করুন, নইলে আমরা বেরিয়ে যাই। এসময় জেলেনস্কিকে আরো কৃতজ্ঞ হতেও বলেন তিনি। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে ‘অভদ্র’ও বলে বসেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতারা এ বৈঠককে উত্তেজনার এক নজিরবিহীন মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার এমন আচরণে, বিশেষত রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে যাবতীয় কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে জলাঞ্জলি দেওয়ার এই ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে বলা যায়।

Header Ad
Header Ad

ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  

ছবিঃ সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলা জেলার ১০ গ্রামে রোজা রেখেছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থাকা সুরেশ্বরী দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা রোজা রাখেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তারাবি নামাজ আদায় করে আজ শনিবার ০১ মার্চ থেকে তাদের প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে সুরেশ্বরী ও মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সবচেয়ে বেশি। জেলায় তাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার হলেও টবগী ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় তিন হাজারের মতো।

মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ি দরজা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিবার তাদের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। এ জন্য শুক্রবার ওই মসজিদে তিনি রাত ৯টায় প্রথম তারাবির নামাজ শুরু করেছেন। একদিন আগেই রোজা শুরু ভোলার ১০ গ্রামে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ রহিম জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। শুক্রবার থেকে তাদের প্রথম তারাবি ও শনিবার থেকে প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ১০টি গ্রামে সুরেশ্বরী দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে তাদের টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে।

Header Ad
Header Ad

কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিহত যুবক হলেন কসবার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩২)।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েকজন যুবককে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিএসএফ। এতে আল আমীন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টায় মারা যান তিনি। মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদির ও কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা আল আমীন নামের ওই যুবকের বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির সুলতানপুর ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর
ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয়, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে: জামায়াতের সেক্রেটারি
ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু
খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!