বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর টার্গেট তালিকায় রয়েছেন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা। সম্মেলনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যবসায়িক টাইকুন ইলন মাস্কের। আসতে পারেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও।
দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই বিনিয়োগ সম্মেলনে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত আশাবাদী। ইতিমধ্যেই তার জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঢাকা সফর করেছেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, সম্প্রতি ইলন মাস্ক ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অর্জন করেছেন। তার কোম্পানিগুলোর দ্রুত বৃদ্ধির কারণে তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই মেগা ইভেন্টের আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এপ্রিলে ৩ দিনের সূচি নির্ধারণ করে প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্তের পাশাপাশি অতিথি তালিকায় বিশ্বের অন্যান্য ধনী ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের নামও তালিকায় রয়েছে।
এ সম্মেলনে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিডা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা নেয়ার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই তার কাছে এই আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, ইলন মাস্কের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়েও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। ডনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচনী প্রচারণায় তার ভূমিকা এবং এআই নীতি নির্ধারণী কমিটিতে তার সহযোগী শ্রীরাম কৃষ্ণাণের অন্তর্ভুক্তি সেই প্রভাবেরই প্রতিফলন।
এর আগে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করা হলেও প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জিত হয়নি। তবে এবারের আয়োজন ৫৩ বছরের ইতিহাসে সেরা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা যায়। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্য-সচিব হবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়)।
সদস্য হিসেবে থাকবেন- জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারো ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না তা উদ্ঘাটন, এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে সুপারিশ প্রেরণ। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
সচিবালয়ে লাগা আগুনে জরুরি নথি পুড়ে যাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয় উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার শেখ হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই তা গায়েব করতে আগুন দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় তদন্তের দাবি জানাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারা নির্বাচিত হবে রাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি তা নির্ধারণ করে দেয় তাহলে এ আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে।
তিনি বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় কীভাবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তিত দেশকে শুধু মাত্র ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার কালা কানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। বিএনপিকে ভাঙার জন্য এই সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি-না তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি আইনের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনো পার্থক্য নেই। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যে রুটটি দেখছি তাতে ভালো কিছু নেই। সরকার গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরে সচিবালয়ে আগুন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।