বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন: প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে।
 
তিনি বলেন, ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দিবো- বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’ খবর বাসসের।
 
প্রধানমন্ত্রী মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। 
 
প্রধানমন্ত্রী  গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। 
 
তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেইসব দেশ ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন।  
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি হলো। আজ বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব অনুষ্ঠানমালা উদ্যাপন করা হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে গেলাম ‘মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ শুভক্ষণে। স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে । 
 
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬’র ছয়-দফা, ’৬৯’র এগার-দফা ও গণঅভুত্থ্যানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ’৭১-এর ২৫ মার্চ কালোরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। আমরা পাই লাল-সবুজের পতাকা। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেন। ধ্বংস প্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেন। মাত্র ১০ মাসে তাঁর নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৭৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু ‘স্বল্পোন্নত’ দেশের কাতারে নিয়ে যান। 
 
শেখ হাসিনা বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাঁকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। ঘাতক এবং তাদের দোসররা ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে জারি করে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’। 
 
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়। আমরা দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে গরিব, প্রান্তিক মানুষদের সরকারি ভাতার আওতায় আনা হয়। কৃষি উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। পানির হিস্যা আদায়ে ১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন করি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু করি। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে গত ১৩ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বিশাল এলাকার ওপর আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনের অবসান হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি গ্লানিমুক্ত হয়েছে। জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রয়েছে এবং বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘আমরা ২০২১-২০৪১ মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুবিধা আজ শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সকল গৃহহীন-ভূমিহীনের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না।
 
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে আমরা ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। ৯৯.৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২৫৫৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আমরা দেশের প্রতিটি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।
 
Header Ad
Header Ad

বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক

ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর টার্গেট তালিকায় রয়েছেন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা। সম্মেলনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যবসায়িক টাইকুন ইলন মাস্কের। আসতে পারেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই বিনিয়োগ সম্মেলনে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত আশাবাদী। ইতিমধ্যেই তার জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঢাকা সফর করেছেন।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, সম্প্রতি ইলন মাস্ক ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অর্জন করেছেন। তার কোম্পানিগুলোর দ্রুত বৃদ্ধির কারণে তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই মেগা ইভেন্টের আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এপ্রিলে ৩ দিনের সূচি নির্ধারণ করে প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্তের পাশাপাশি অতিথি তালিকায় বিশ্বের অন্যান্য ধনী ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের নামও তালিকায় রয়েছে।

এ সম্মেলনে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিডা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা নেয়ার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই তার কাছে এই আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে, ইলন মাস্কের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়েও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। ডনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচনী প্রচারণায় তার ভূমিকা এবং এআই নীতি নির্ধারণী কমিটিতে তার সহযোগী শ্রীরাম কৃষ্ণাণের অন্তর্ভুক্তি সেই প্রভাবেরই প্রতিফলন।

এর আগে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করা হলেও প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জিত হয়নি। তবে এবারের আয়োজন ৫৩ বছরের ইতিহাসে সেরা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা যায়। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্য-সচিব হবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়)।

সদস্য হিসেবে থাকবেন- জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারো ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না তা উদ্‌ঘাটন, এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে সুপারিশ প্রেরণ। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে লাগা আগুনে জরুরি নথি পুড়ে যাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয় উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার শেখ হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই তা গায়েব করতে আগুন দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় তদন্তের দাবি জানাই।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারা নির্বাচিত হবে রাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি তা নির্ধারণ করে দেয় তাহলে এ আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে।

তিনি বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় কীভাবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তিত দেশকে শুধু মাত্র ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার কালা কানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। বিএনপিকে ভাঙার জন্য এই সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি-না তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি আইনের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনো পার্থক্য নেই। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যে রুটটি দেখছি তাতে ভালো কিছু নেই। সরকার গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরে সচিবালয়ে আগুন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা
সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা
বগুড়া কারাগারে সাবেক এমপি রিপুর ‘হার্ট অ্যাটাক’, আনা হয়েছে ঢাকায়
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সচিবালয়ে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে যা জানালেন ফায়ারের ডিজি
শেখ হাসিনাকে ভারত কি ফেরত পাঠাবে? আল–জাজিরার প্রতিবেদন
সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত
৬ ঘণ্টা পর সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সচিবালয়ের আগুন লাগা ভবনে রয়েছে যেসব মন্ত্রণালয়