দেশীয় শিল্পকে পেশা হিসেবে নেওয়ার আহ্বান স্পিকারের
ঐতিহ্যবাহী দেশীয় শিল্পকে পেশা হিসেবে নিতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি গ্রামীণ পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পারিবারিক পেশা থেকে নবপ্রজন্মরা যেন বিমুখ না হয় সেজন্য সামাজিক অনুপ্রেরণা ও সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
শুক্রবার (০১ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ে (উত্তর) পরিবেশ সচেতন উদ্যোক্তাদের আয়োজিত ‘বাহারি চারু ও কারুশিল্পের প্রদর্শনী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার এ আহ্বান জানান।
উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি ও ফারহিন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিবি প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা বিবি রাসেল, স্থপতি মোস্তফা খালিদ পলাশ ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনোমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।
প্রদর্শনীটির আয়োজক ও পরিকল্পনাকারীদের পক্ষ থেকে সাফিয়া শামা আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশীয় শিল্পের ধারণ, সংরক্ষণ ও বিকাশে নারীদের সফল ও সরব উপস্থিতি রয়েছে। করোনাকালীন পারিপার্শ্বিকতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন হারিয়ে না যায় সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্পিকার স্বল্পমূল্যের ভেজাল দ্রব্যাদি উৎপাদন ও বিপণনকে অনুৎসাহিত করে ন্যায্যমূল্যে পরিবেশবান্ধব পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
চারু ও কারুশিল্পের নাজুক অবস্থা উন্নয়নে সচেষ্ট থাকার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় পণ্যের সফলতা প্রাপ্তিগুলোকে সেলিব্রেট করতে হবে এবং ঈদ ও পূজার মত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিবসে মেলা আয়োজিত হলে সে আয়োজন ফলপ্রসূ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
জননন্দিত বাচিক শিল্পী শিমুল মুস্তাফার কবিতা ও গানের ফিউশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে চারু ও কারু শিল্পের বিশটি স্টল, আমন্ত্রিত অতিথি, দর্শনার্থীসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/আরএ/