শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘যত বাধাই আসুক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাব’

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জীবনটা দিতেও কুণ্ঠিত নন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন,‌ ‘বাবা মা ভাইকে হারিয়ে দেশের মানুষের মাঝে অকুন্ঠ স্নেহ ভালবাসা সমর্থন পেয়েছি। ‌আপনাদের জন্য জীবনটা দিতেও আমি এতটুকু কুণ্ঠিত না। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যত বাধাই আসুক, তা করে যাবই। সবাই সুন্দর জীবন পাবে। উন্নত জীবন পাবেন, সুন্দর থাকবেন। যতক্ষণ আমার শ্বাস আছে ততক্ষণ আপনাদের পাশে আপনাদের উন্নয়নের কাজ করে যাব।’

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ: উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার শীর্ষক জমকালো উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে দেশের বিশেষ কয়েকটি স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপনের অংশ হিসেবে কক্সাবাজারে অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ‘ও জোনাকি’ গানের ভিডিওচিত্র চিত্রায়নে কক্সবাজারের সাফল্য তুলে ধরে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এ উৎসব হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল। সৈকত প্রান্তে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার আগে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

মন্ত্রীদের বক্তব্য পর্বটি পরিচালনা করেন মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে ‘জোরশে চলো বাংলাদেশ’ বাংলাদেশ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। শতভাগ বিদ্যুাতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে ‘ও জোনাকি’ ভিডিওচিত্র পরিবেশন করা হয়।

টানা মেয়াদে প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিবারেই নতুন নতুন একটা থিম নিয়ে আসার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেই, সেটা আমরা ভুলে যাই না। ইশতেহার সামনে রেখেই আমরা উন্নয়ন প্রকল্প নেই। কাজেই এবারও আমাদের যেটা ছিল তরুণ সমাজকে একটা উন্নত জীবন দেওয়া। শিক্ষায় দীক্ষায় আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় যেন তারা গড়ে উঠতে পারে। তাই আমাদের মূল লক্ষ্যটা ছিল এবং থিমটা ছিল তারুণের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।

এই তারুণ্য আমাদের বিরাট সম্পদ। তাদের কর্মসংস্থান তাদের শিক্ষা দীক্ষা তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং সেইভাবে আমরা ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছি। কক্সবাজারের কোন অংশ বাদ যাবে না। সব এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে আরও উন্নয়ন হবে বলে অবহিত করেন তিনি।

সকলের সহযোগিতায় এই উন্নয়নের কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসন করে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর‌্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহারা থাকবে না।

এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার বাবা তার সারাটা জীবন এদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা সন্তান হিসেবে খুব অল্প সময় তাকে পেয়েছি।

বাংলাদেশের জনগণকে সবথেকে বেশি ভালবাসি ডেভিড ফ্রস্টের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সেই সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে মানুষগুলোকে তিনি এত গভীরভাবে ভালোবাসতেন সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করা এটাই তো আমার একমাত্র লক্ষ্য। নিজের জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া নাই। শুধু একটা কথাই চিন্তা করি দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম। কতটুকু দিতে পারলাম।বাংলাদেশের মানুষ যখন ভালো থাকে, মানুষের মুখে হাসি ফোটে এটাই তো সবথেকে জীবনের বড় পাওয়া। এর থেকে বড় পাওয়া তো আর কিছু নেই।

অনেক বাধা অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাকে চলতে হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আমার উপর আঘাত এসেছে। আমি কিন্তু পিছিয়ে যাইনি। আমি চেষ্টা করে গেছি এদেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে।

জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাচ্ছি বলেই দেশবাসী আজ তার শুভফল পাচ্ছে বলেও মনে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেন আমরা উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ করতে পারি। যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।

তিনি বলেন, তবে হয়ত আমারও বয়স হয়েছে, কিন্তু নিশ্চয়ই একবার আসব কক্সবাজার। সকলের সঙ্গে আবার দেখা হবে।

জীবন-জীবিকার সুযোগ আজকে যে অপ্রতিরোধ্য গতি এগিয়ে যাচ্ছে, এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। সেই প্ল্যানও আমি করে দিয়েছি। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ করে দিয়েছি।

দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধ না থাকলে, দেশের মানুষের উপর বিশ্বাস-আস্থা না থাকলে কখনো কাজ করা যায় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই আস্থা বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমাদের সবথেকে বড় শক্তি। মানুষের বিশ্বাস এবং মানুষের আস্থা এবং মানুষের ভালোবাসাই আমাদের প্রেরণা।

তিনি বলেন, বাবা-মা ভাই সব হারিয়েছিলাম আমরা দুই বোন। যেদিন ঢাকায় ফিরে আসি ১৯৮১ সালে। যখন যাই সেই ৭৫’র ৩০ জুলাই। ঢাকা তেজগাঁও এয়ারপোর্ট থেকে প্লেনে উঠি। কামাল, জামাল ও রাসেল সবাই ছিল এয়ারপোর্টে। কিন্তু যখন ফিরে আসি বাবা মা ভাই কাউকেই পাইনি। কিন্তু পেয়েছিলাম এদেশের লাখো মানুষ। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা ছুটে গিয়েছিল। কাজেই তারাই সেদিন থেকে আমার আপনজন এই বাংলাদেশের মানুষ। তারাই আমার পরিবার। তারাই আমার সব। তাদের জন্যই আমি কাজ করি এবং আপনারা বাংলাদেশের মানুষই আমার সবথেকে আপনজন এবং আমার পরিবার হিসাবে মনে করি।

কক্সবাজারবাসীর সঙ্গে ভবিষ্যতে দেখা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা যে মর্যাদা পেয়েছি। দেশে-বিদেশে আজকে সেই মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঙালি উঁচু করে চলতে পারে। কাজেই এ চলা যেন থেমে না যায়। এইটুকুই শুধু আমার চাওয়া।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা

যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর তরুণদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে দুটি সংগঠন গঠিত হয়। সেই দুই সংগঠনের সমন্বয়েই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (National Citizens Party - NCP)। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন মো. নাহিদ ইসলাম, যিনি সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলের সদস্যসচিব হচ্ছেন আখতার হোসেন।

নতুন দলে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত। এছাড়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার (নিভা), মনিরা শারমিন ও নুসরাত তাবাসসুম।

Header Ad
Header Ad

সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রত্যেক শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে। এছাড়া শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তিরা তিন শ্রেণিতে আর্থিক, চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এ লক্ষ্যে তাদের নামের তালিকাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ৮৩৪ জন জুলাই শহীদের তালিকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া শহীদ পরিবারকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আহতরা তিনটি মেডিকেল ক্যাটাগরি—এ, ক্যাটাগরি বি ও ক্যাটাগরি সি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন। তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এ ক্যাটাগরিতে (অতি-গুরুতর আহত) ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে; যারা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপনে অক্ষম। তাদের এককালীন পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন তারা। উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বি ক্যাটাগরিতে (গুরুতর আহত) ৯০৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম হবেন বলে প্রতীয়মান। গুরুতর আহত জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) এক লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি কর্মসংস্থান পাবেন।

তিনি আরও বলেন, সি ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ৬৪৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন। তাদের এককালীন এক লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা ও পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কেউ জমা দিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন। পড়া শেষে বাসার সেলফে পড়ে থাকা বই দিয়েও নিচ্ছেন আরেকটি পছন্দের বই। সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। সঙ্গে আছে একাডেমিক ও ম্যাগাজিন সেকশন থেকে অফুরন্ত বই বিনিময়ের সুযোগ। কেবল বই দিয়েই বই বিনিময়, পুরো দিনটিই ছিল বই বিনিময়ের।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে টাঙ্গাইলে এই প্রথমবারের মতো ‘বই বিনিময়’ উৎসবের আয়োজন করে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উৎসব শুরুর পর থেকেই ব্যতিক্রমী এ বই বিনিময়ে বইপ্রেমী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

এতে অতিথি ছিলেন- লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বাদল মাহমুদ, লেখক ও গবেষক ড. আলী রেজা, অধ্যাপক আলীম আল রাজী ও প্রাবন্ধিক জহুরুল হক বুলবুল প্রমুখ।

‘বই হোক বিনিময়, বই জীবনের কথা কয়' - জানা যায়, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বইকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তোলা ও বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই বিনিময় উৎসবটি। উৎসবে ছিল বইয়ের ৬টি স্টল এবং ২টি রেজিস্ট্রেশন বুথ। ছয়টি স্টলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই বিনামূল্যে বিনিময় করা হয়েছে। জানা যায়, উৎসবের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয় এক হাজারের বেশি বই। সারা দিন প্রায় তিন হাজার বই বিনিময় হয়। 

এছাড়াও উৎসবে উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্পগ্রন্থসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় সহস্রাধিক বই টেবিলে সাজিয়ে রেখেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বইগুলোর পরিবর্তে পাঠকরা তাদের ঘরে পড়ে থাকা বা সাজিয়ে রাখা বইটি বদলে অপঠিত বই নিয়েছেন, এটাই হচ্ছে বই বিনিময়। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন বইয়ের খোঁজও করেছেন অনেকে। হাজারো বইয়ের ভিড়ে পছন্দের বইটি খুঁজে পেতে একজন বইপ্রেমীর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখকসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবা রহমান বই বিনিময় করতে এসে বলেন, ‘ছোট থেকেই বই পড়তে ভালো লাগে। তাই আমার কাছে থাকা বই পড়া শেষে নতুন বই পড়ার আগ্রহ থেকে বই বিনিময় করতে এসেছি। এই উদ্যোগটা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আমাদের মতো পাঠকেরা খুব উপকৃত হয়।’

সরকারি সা’দত কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন ‘আমার বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বই বিনিময় উৎসবে। তাই ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠান দেখতে। এটা ব্যতিক্রম আয়োজন, খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ’।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ‘পড়া বই ঘরে না রেখে নতুন কিছু জানার আশায় বই বিনিময় করতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ এতে নতুন বই পড়তে টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে না। এরকম আয়োজন আরো হওয়া প্রয়োজন’।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও বই বিনিময় উৎসবের আয়োজক কামরুজ্জামান বলেন, বইকে পাঠকের কাছে সহজ করতে আমাদের এই উদ্যোগ যা থেকে নতুন প্রজন্মের পাঠক তৈরি হবে। এতে তরুণ ও কিশোররা স্মার্টফোন বিমুখ হয়ে বই পড়ার দিকে ধাবিত হবে। তাছাড়া অর্থ ব্যয় করে নতুন বই কেনার চেয়ে পুরোনো বই বিনিময়ের এই উৎসব পাঠের অভ্যাস বাড়াবে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজনরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা
সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা
টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার
মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই সব দোকান
‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ আত্মপ্রকাশ আজ, ৩ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা
মিয়ানমারে আটক ২৯ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট