শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ঢাকা-ওয়াশিংটনের লক্ষ্য অভিন্ন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ভিন্ন হলেও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য দু’দেশের রূপকল্প অভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে ‘মুভি ফরোয়ার্ড ইন দ্যা ইন্দো-প্যাসিফিক: বাংলাদেশ’স রোল ইন ফস্টারিং অ্যান ওপেন, রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড ইন্টারকানেক্টেড বে অব বেঙ্গল অ্যান্ড বিইয়ন্ড’ শীর্ষক একাডেমিক কনফারেন্সে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সি বাংলাদেশর সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজ যৌথভাবে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যেসব ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন হয়, সেগুলো নিয়েই আমরা অগ্রসর হই, একসঙ্গে কাজ করতে পারি এবং করি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের প্যারিস শান্তি ফোরামে এই অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের রূপকল্প বর্ণনা করেছেন। সেই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একমত।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলপত্রে পাঁচটি মূল উপাদান রয়েছে যা এ অঞ্চলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পৃক্ততার পথনির্দেশ করবে। যুক্তরাষ্ট্র এমন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বপ্ন দেখে যা হবে অবাধ ও উন্মুক্ত, আন্তঃসংযুক্ত, সমৃদ্ধশালী, নিরাপদ এবং ঝুঁকি-সহিষ্ণু।

আজকের সম্মেলনটি উক্ত প্রতিটি স্তম্ভ, সেগুলো অর্জনে বাংলাদেশের অবদান এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের সাথে অংশীদার হতে পারে সেসব বিষয়ে আলোকপাত করার সুযোগ এনে দিয়েছে মন্তব্য করে পিটার হাস বলেন, প্রথমত যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনের বিষয়টিকে এগিয়ে নেবে। এর অর্থ এমন একটি অঞ্চল যেখানে স্বচ্ছভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে ।

নিয়মনীতি প্রণীত এবং প্রয়োগ করা হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে। প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব পথ ও তাদের নিজস্ব অংশীদার বেছে নিতে সক্ষম হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস ও বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন বিশ্বের জন্য একটি সতর্কবাণী। আমাদের নীতি-আদর্শগুলো অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। একটি বিষয় আমি সুস্পষ্ট করতে চাই, এই নীতি-আদর্শগুলো সুরক্ষার লক্ষ্য কোনো দেশকে দাবিয়ে রাখা নয়। বরং সব দেশের জন্য তাদের নিজ নিজ পথ বেছে নেওয়ার অধিকার সুরক্ষা করা, যা হবে জবরদস্তি ও ভয়ভীতিমুক্ত।

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ তাদের স্থল ও সমুদ্র-সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বঙ্গোপসাগরকে বিশ্বের কাছে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত করে তুলেছে। তা ছাড়া অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল হবে এমন একটি এলাকা যেখানে মালামাল, ধারণা ও মানুষ অবাধে স্থল, সাইবার পরিসর ও উন্মুক্ত সমুদ্রে চলাচল করবে।

ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল কোন সামরিক জোট নয়। এর উদ্দেশ্যও সেটা নয়। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রপন্থী অঞ্চল বা চীনপন্থী অঞ্চলের মধ্যেকার প্রতিযোগিতাও নয়। প্রকৃতপক্ষে, আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে স্বাতন্ত্র্য অঞ্চল হিসেবেই দেখি।

ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলটি কোন দেশকে বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোনটিকে বেছে নেওয়ার উদ্দেশেও প্রণয়ন করা হয়নি উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, কৌশলটির অন্যতম মূলনীতি হলো, প্রতিটি দেশই চাপ বা জবরদস্তি ছাড়াই নিজস্ব পথ বেছে নিতে সক্ষম হবে।

সংক্ষেপে, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলটি এমন একটি অঞ্চল তৈরির এক ইতিবাচক ও সম্মিলিত রূপকল্প যার আওতায় সমস্ত দেশ তথা বাংলাদেশ, চীন, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও এ অঞ্চলের দেশেগুলোর প্রতিটি জেলাই উন্নতি লাভ করতে পারবে।

২১ শতকের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যেমন জলবায়ু সংকট, বিশ্ব স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ এবং দেশগুলো স্বাধীনভাবে তাদের নিজস্ব পথ বেছে নিতে পারবে কিনা তার সবই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত এমনটা জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলের সম্ভাব্য ঘটনাগুলো একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক গতিপথ রূপায়ণে সবচেয়ে সক্রিয় ভুমিকা রাখবে।

তাই এই যৌথ রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশীদার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের এক সঙ্গে কাজ করা জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কেউ জমা দিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন। পড়া শেষে বাসার সেলফে পড়ে থাকা বই দিয়েও নিচ্ছেন আরেকটি পছন্দের বই। সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। সঙ্গে আছে একাডেমিক ও ম্যাগাজিন সেকশন থেকে অফুরন্ত বই বিনিময়ের সুযোগ। কেবল বই দিয়েই বই বিনিময়, পুরো দিনটিই ছিল বই বিনিময়ের।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে টাঙ্গাইলে এই প্রথমবারের মতো ‘বই বিনিময়’ উৎসবের আয়োজন করে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উৎসব শুরুর পর থেকেই ব্যতিক্রমী এ বই বিনিময়ে বইপ্রেমী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

এতে অতিথি ছিলেন- লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বাদল মাহমুদ, লেখক ও গবেষক ড. আলী রেজা, অধ্যাপক আলীম আল রাজী ও প্রাবন্ধিক জহুরুল হক বুলবুল প্রমুখ।

‘বই হোক বিনিময়, বই জীবনের কথা কয়' - জানা যায়, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বইকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তোলা ও বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই বিনিময় উৎসবটি। উৎসবে ছিল বইয়ের ৬টি স্টল এবং ২টি রেজিস্ট্রেশন বুথ। ছয়টি স্টলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই বিনামূল্যে বিনিময় করা হয়েছে। জানা যায়, উৎসবের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয় এক হাজারের বেশি বই। সারা দিন প্রায় তিন হাজার বই বিনিময় হয়। 

এছাড়াও উৎসবে উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্পগ্রন্থসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় সহস্রাধিক বই টেবিলে সাজিয়ে রেখেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বইগুলোর পরিবর্তে পাঠকরা তাদের ঘরে পড়ে থাকা বা সাজিয়ে রাখা বইটি বদলে অপঠিত বই নিয়েছেন, এটাই হচ্ছে বই বিনিময়। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন বইয়ের খোঁজও করেছেন অনেকে। হাজারো বইয়ের ভিড়ে পছন্দের বইটি খুঁজে পেতে একজন বইপ্রেমীর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখকসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবা রহমান বই বিনিময় করতে এসে বলেন, ‘ছোট থেকেই বই পড়তে ভালো লাগে। তাই আমার কাছে থাকা বই পড়া শেষে নতুন বই পড়ার আগ্রহ থেকে বই বিনিময় করতে এসেছি। এই উদ্যোগটা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আমাদের মতো পাঠকেরা খুব উপকৃত হয়।’

সরকারি সা’দত কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন ‘আমার বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বই বিনিময় উৎসবে। তাই ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠান দেখতে। এটা ব্যতিক্রম আয়োজন, খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ’।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ‘পড়া বই ঘরে না রেখে নতুন কিছু জানার আশায় বই বিনিময় করতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ এতে নতুন বই পড়তে টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে না। এরকম আয়োজন আরো হওয়া প্রয়োজন’।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও বই বিনিময় উৎসবের আয়োজক কামরুজ্জামান বলেন, বইকে পাঠকের কাছে সহজ করতে আমাদের এই উদ্যোগ যা থেকে নতুন প্রজন্মের পাঠক তৈরি হবে। এতে তরুণ ও কিশোররা স্মার্টফোন বিমুখ হয়ে বই পড়ার দিকে ধাবিত হবে। তাছাড়া অর্থ ব্যয় করে নতুন বই কেনার চেয়ে পুরোনো বই বিনিময়ের এই উৎসব পাঠের অভ্যাস বাড়াবে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজনরা।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ড. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এত দিন এই সংবিধানের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে। জনগণ মেনে নিয়েছে। এখন সেটা ফেলে দিয়ে নতুন একটা সংবিধান করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়, গ্রহণযোগ্য নয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানকে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান করা—এটা সংস্কার নয়, এটা সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা পথ।

সংবিধান পুনর্লিখন একটা ভুল ধারণা মন্তব্য করে এ সময় তিনি আরও বলেন, সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়।

আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য দেওয়ার আগে তার একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

সেই লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জাতির সংগ্রামের ফসল। এটি কেবল আইনের একটি দলিল নয়, বরং আমাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। গত ৫ আগস্টের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা কখনোই উপেক্ষা করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সংবিধানের যেকোনো পরিবর্তন ও সংশোধনে যেন দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঠিক প্রতিফলন হয় এবং নিশ্চিত করতে হবে যেন সংবিধানকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে।

সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা বলেন, ব্যাপক পরামর্শ ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি এগিয়ে নিতে হবে। তা না হলে সংবিধানের কোনো পরিবর্তন ও সংশোধন জাতীয় কল্যাণ বয়ে আনবে না।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফাওজিয়া মোসলেম, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, আইনজীবী এস এম এ সবুর, আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদে মনোনীত নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

আত্মপ্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় তরুণদের রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় দলে দলে আসছেন ছাত্র-জনতা। এরই মধ্যে জানা গেছে, দলটির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত হয়েছে। সেখানে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন দুজন করে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির ঘোষণা দেয়া হবে। প্রকাশ করা হতে পারে দলের লোগো-মনোগ্রাম-পতাকাও।

দলটির শীর্ষ দশ পদে রয়েছেন- আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিবা, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল), মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (উত্তরাঞ্চল), মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে সরকারপ্রধানের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন নতুন দলের উদ্যোক্তারা। নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরাও।

এদিকে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শরিক ৩৬ রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত ৫১ দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার
মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই সব দোকান
‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ আত্মপ্রকাশ আজ, ৩ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা
মিয়ানমারে আটক ২৯ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট
দেশের বাজারে ফের কমলো সোনার দাম
চুয়াডাঙ্গায় গুণগতমানসম্পন্ন বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও ব্যবহারবিষয়ক দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত