প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে আইনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা
সংসদ অধিবেশনে চলছিল আইন প্রণয়ন কার্যাবলী। সেখানে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য আইনের বিরোধীতা করে যে কথাগুলো বললেন তার জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হারুনসহ অন্য এমপিরা। তাদের সেই জবাবে মন্ত্রী সিদ্ধান্তটি বাস্তবসম্মত বললেও তার সঠিক ব্যাখা না দেওয়ায় হারুনুর রশীদ ওয়াকআউট করেন।
পরে হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাব দিতে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে সংসদে ফ্লোর নেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি এ কারণে উঠে দাঁড়িয়েছি যে তিনি (হারুনুর রশীদ) একটা মিস কনসেপশন এবং একটা ভুলবোঝাবুঝির ওপর ওয়াকআউট করলেন। পরে দেখা যাবে তিনি যা বললেন সেটাই সঠিক। আমরা যদি একটা জবাব দিতে না পারি।’
আইনের ব্যাখায় মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পৌরসভা সংশোধন আইন-২০২২ এর যে ধারাটাতে পরিবর্তন করার জন্য সংশোধনী আনা হয়েছে সেটা হচ্ছে ৪২ (১) ধারা। হারুনুর রশীদের মতো এত বুদ্ধি আমার নেই। তিনি অ্যাডমিনেস্ট্রটর (প্রশাসক) নিয়োগের বিধানের কথা বলেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হারুনুর রশীদ বলতে চাইছেন যে সব সময়ই নির্বাচনের মাধ্যমে এখানে (পৌরসভায়) নিয়োগ দেওয়া উচিত। এই ব্যাপারে কোনো আপত্তি আমাদের নেই। আমরা হচ্ছি জনগণের সরকার। আমরা জনগণের ভোটাধিকারে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকুক সেটা স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত সেটাই আমাদের লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে সেটাই বলে গেছেন। প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে তার আপত্তি। অনেক সময় বাস্তবতার খাতিরে সুপ্রিম কোর্ট ও ডিস্ট্রিক কোর্ট নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা হয়। নির্বাচনের মামলা অনেক দিন চলে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছেন ১৫ থেকে বছর ১৮ বছর। আমি নিজে জানি দোহার উপজেলায় স্থানীয় সরকারের একজন চেয়ারম্যান ১৮ বছর ধরে পদে আছেন। তিনি মামলা করে সেখানে বসে আছেন। সেই ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের জন্য আইনে প্রভিশনে রাখা হয়েছে। আইনের পুরোটা পড়েন নাই তিনি। পৌর প্রশাসক একের অধিক বা ১৮০ দিনের অধিক দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। এমনকি মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। ওয়াকআইট করলেন স্ট্যানবাজি করে দিলেন। এটা তো সঠিক হলো না। তিনি নির্বাচতি হয়ে এসেছেন আমরা সম্মান করি। কিন্তু ওনাকে যারা নির্বাচতি করেছেন তাদের দেওয়া সেই দায়িত্ব পালনে অনুরোধ করব।
এসএম/এমএমএ/