সংসদে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী
বিআরটিসি বাস চালকদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করার কথা ভাবছে সরকার
দুর্ঘটনা রোধে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস চালক, কন্ডাক্টর ও কারিগরদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ডোপ টেস্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাছাড়া পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে প্রার্থীর আবেদনপত্রের সঙ্গে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বা সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাস্তবায়নকল্পে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে প্রার্থীর আবেদনপত্রের সঙ্গে ডোপটেসট রিপোর্ট/সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডোপ টেস্ট রিপোর্ট/ সনদ পজিটিভ হলে (মাদক সেবনের আলামত পাওয়া গেলে) বা এতে কোনো বিরুপ মন্তব্য থাকলে সে ক্ষেত্রে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু/ নবায়ন করা হয় না।
তিনি বলেন, বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত টিমের মাধ্যমে টার্মিনালগুলোতে র্যানডমলি মোটরযান চালকদের ব্রেফ এনালাইজার বা কিট ব্যবহারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক টেস্ট করার পরিকল্পণা রয়েছে। এছাড়া চালকের সহকারি/ সুপারভাইসরদের লাইসেন্স ইস্যু/ নবায়নকালে ডোপটেস্ট করার পরিকল্পণা রয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৮ সাল হতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫৯৭ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মোট ৭৬ হাজার ৮৮ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পেশাজীবী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ এর লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার জন। চলতি অর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোট ৩৯ হাজার ৯২৬ জন গাড়ি চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এমপি শরিফুর ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী আরও জানান, গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণে ট্রাফিক পুলিশ, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি (ডাক্তার) মোটর যান পরিদর্শক এআরআই (বুয়েট) এর প্রতিনিধি এবং সড়ক সিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। প্রত্যেক পশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ৩০০ টাকা সম্মানী ভাতাসহ খাবার দেয়া হয়। এ প্রশিক্ষণ ট্রাফিক আইন, সড়ক নিরাপত্তা, সড়ক পরিবহন আইন, বিধি নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সাথে আচরণ, শব্দ দূষণ এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি আরো বলেন, পেশাজীবী চালকদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণটি ২০০৮ সালে থেকে শুরু হয় এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাধ্যতামূলক করা হয়।
এসএম/