শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সংসদে বিল গ্রহণ

কৃষি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করলে ৩ বছর কারাদণ্ড

কৃষি জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করলে ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে একটি বেসরকারি বিল সংসদ গ্রহণ করেছে। এই আইন কার্যকর হলে কেউ কৃষি জমি অকৃষি কাজে ব্যবহার করলে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই বিলটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান।

বৃহস্পতিবার বেসরকারি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অনেক বছর পর বেসরকারি সদস্যদের একটি বিল সংসদ গ্রহণ করল। সংসদে কোনো আইন করতে হলে সাধারণত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বিল উত্থাপন করেন। যখন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর বাইরে কোনো সংসদ সদস্য বিল আনেন সেটিকে বেসরকারি বিল বলা হয়। বিলটি উত্থাপনের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

উত্থাপিত আইনটি কৃষি জমি (যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ) আইন-২০২২ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

এই আইনে একটি তদারকি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। সরকার সরকারি গেজেট, প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রত্যেক উপজেলায় নিম্নবর্ণিত সদস্যের সমন্বয়ে একটি তদারকি কমিটি গঠন করবে। তদারক কমিটির চেয়ারম্যান হবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া তদারক কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এই তদারক কমিটি মাসে একটি সভা করবেন।

কৃষি জমি ব্যবহরে বাধা নিষেধ: এই আইন কার্যকর হওয়ার পর হতে দেশের সকল কৃষি জমি কৃষি কাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না। তবে শর্ত থাকে যে ব্যক্তিগত বসবাসের উদ্দেশ্যে গৃহ নির্মাণ কবরস্থান শ্মাশান, অন্যান্য ধর্মী সৎকারের স্থান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে না।

অপরাধ ও দণ্ড: কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এই আইনের ধারা ৪ বিধান লঙ্ঘন করে কেনো কৃষি জমিতে যদি কোনো শিল্প কারখানা স্থাপন রাস্তাঘাট নির্মাণ, আবাসন ও অন্যান্য স্থাপন নির্মাণ করা হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট তদারক কমিটি নোটিশ দ্বারা জমির মালিককে অথবা বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লেখিত কৃষি জমিতে অননুমোদিত নির্মাণকার্য ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিতে পারবে এবং অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন উক্তরূপ ভাঙার জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।

এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোনো নির্মাণকার্য সম্পাদিত বা অবকাঠামো তৈরি হয়ে থাকে সেই সকল অবকাঠামো আদালতের আদেশের সংশ্লিষ্ট তদারক কমিটি বরাবরে বাজেয়াপ্ত হবে।

কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন এ আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয় তাহলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধান লংঙ্ঘন করেছেন বলে গণ্য হবে, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে উক্ত লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হয়েছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, তাহলে একই শাস্তি ভোগ করতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে বলা হয়েছে- অপরিকল্পিত আবাসন, শিল্প কারখানা, রাস্তাসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিদিন কমে যাচ্ছে প্রায় ২১০ হেক্টর জমি। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু জমির জমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। অপরিকল্পিত ব্যবহার অব্যাহত থাকলে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ২০৪১ সাল নাগাদ ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চাষের জমির এই ক্রমহ্রাসমান প্রক্রিয়াকে বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে অস্বাভাবিক বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

কৃষি ভূমি জোনিং প্রকল্পের সূত্র থেকে জানা গেছে কৃষি জমির অপরিকল্পিত ব্যবহার অব্যাহত থাকলে এক পর্যায়ে মানুষের চাষের জমি বলতে কিছু থাকবে না। তাতে সকলকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। কৃষি জমি কমতে থাকায় একদিকে কৃষি পণ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে। দেশ ও দেশের জনগণকে টিকিয়ে রাখতে কৃষিজমি রক্ষা বিকল্প নাই। কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা না ঠেকাতে পারলে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। দেখা দেবে জাতীয় বিপর্যয়। এ বিপদ ঠেকাতে সরকার কৃষি সংরক্ষণে নতুন নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।

এসএম/কেএফ/

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর তরুণদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে দুটি সংগঠন গঠিত হয়। সেই দুই সংগঠনের সমন্বয়েই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (National Citizens Party - NCP)। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন মো. নাহিদ ইসলাম, যিনি সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলের সদস্যসচিব হচ্ছেন আখতার হোসেন।

নতুন দলে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত। এছাড়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার (নিভা), মনিরা শারমিন ও নুসরাত তাবাসসুম।

Header Ad
Header Ad

সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রত্যেক শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে। এছাড়া শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তিরা তিন শ্রেণিতে আর্থিক, চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এ লক্ষ্যে তাদের নামের তালিকাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ৮৩৪ জন জুলাই শহীদের তালিকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া শহীদ পরিবারকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আহতরা তিনটি মেডিকেল ক্যাটাগরি—এ, ক্যাটাগরি বি ও ক্যাটাগরি সি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন। তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এ ক্যাটাগরিতে (অতি-গুরুতর আহত) ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে; যারা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপনে অক্ষম। তাদের এককালীন পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন তারা। উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বি ক্যাটাগরিতে (গুরুতর আহত) ৯০৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম হবেন বলে প্রতীয়মান। গুরুতর আহত জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) এক লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি কর্মসংস্থান পাবেন।

তিনি আরও বলেন, সি ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ৬৪৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন। তাদের এককালীন এক লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা ও পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কেউ জমা দিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন। পড়া শেষে বাসার সেলফে পড়ে থাকা বই দিয়েও নিচ্ছেন আরেকটি পছন্দের বই। সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। সঙ্গে আছে একাডেমিক ও ম্যাগাজিন সেকশন থেকে অফুরন্ত বই বিনিময়ের সুযোগ। কেবল বই দিয়েই বই বিনিময়, পুরো দিনটিই ছিল বই বিনিময়ের।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে টাঙ্গাইলে এই প্রথমবারের মতো ‘বই বিনিময়’ উৎসবের আয়োজন করে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উৎসব শুরুর পর থেকেই ব্যতিক্রমী এ বই বিনিময়ে বইপ্রেমী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

এতে অতিথি ছিলেন- লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বাদল মাহমুদ, লেখক ও গবেষক ড. আলী রেজা, অধ্যাপক আলীম আল রাজী ও প্রাবন্ধিক জহুরুল হক বুলবুল প্রমুখ।

‘বই হোক বিনিময়, বই জীবনের কথা কয়' - জানা যায়, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বইকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তোলা ও বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই বিনিময় উৎসবটি। উৎসবে ছিল বইয়ের ৬টি স্টল এবং ২টি রেজিস্ট্রেশন বুথ। ছয়টি স্টলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই বিনামূল্যে বিনিময় করা হয়েছে। জানা যায়, উৎসবের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয় এক হাজারের বেশি বই। সারা দিন প্রায় তিন হাজার বই বিনিময় হয়। 

এছাড়াও উৎসবে উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্পগ্রন্থসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় সহস্রাধিক বই টেবিলে সাজিয়ে রেখেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বইগুলোর পরিবর্তে পাঠকরা তাদের ঘরে পড়ে থাকা বা সাজিয়ে রাখা বইটি বদলে অপঠিত বই নিয়েছেন, এটাই হচ্ছে বই বিনিময়। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন বইয়ের খোঁজও করেছেন অনেকে। হাজারো বইয়ের ভিড়ে পছন্দের বইটি খুঁজে পেতে একজন বইপ্রেমীর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখকসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবা রহমান বই বিনিময় করতে এসে বলেন, ‘ছোট থেকেই বই পড়তে ভালো লাগে। তাই আমার কাছে থাকা বই পড়া শেষে নতুন বই পড়ার আগ্রহ থেকে বই বিনিময় করতে এসেছি। এই উদ্যোগটা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আমাদের মতো পাঠকেরা খুব উপকৃত হয়।’

সরকারি সা’দত কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন ‘আমার বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বই বিনিময় উৎসবে। তাই ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠান দেখতে। এটা ব্যতিক্রম আয়োজন, খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ’।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ‘পড়া বই ঘরে না রেখে নতুন কিছু জানার আশায় বই বিনিময় করতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ এতে নতুন বই পড়তে টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে না। এরকম আয়োজন আরো হওয়া প্রয়োজন’।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও বই বিনিময় উৎসবের আয়োজক কামরুজ্জামান বলেন, বইকে পাঠকের কাছে সহজ করতে আমাদের এই উদ্যোগ যা থেকে নতুন প্রজন্মের পাঠক তৈরি হবে। এতে তরুণ ও কিশোররা স্মার্টফোন বিমুখ হয়ে বই পড়ার দিকে ধাবিত হবে। তাছাড়া অর্থ ব্যয় করে নতুন বই কেনার চেয়ে পুরোনো বই বিনিময়ের এই উৎসব পাঠের অভ্যাস বাড়াবে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজনরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা
সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা
টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার
মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই সব দোকান
‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ আত্মপ্রকাশ আজ, ৩ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা
মিয়ানমারে আটক ২৯ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট