শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

যোগাযোগ ক্ষেত্রে চেহারা পাল্টে যাচ্ছে কক্সবাজারের

সড়ক, রেল ও আকাশ পথে আমূল বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। গত কয়েক বছরে এই পর্যটন শহরের উন্নয়নে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনার কিছুটা বাস্তবায়ন হয়েছে। কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন করে আরও কিছু প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে কক্সবাজারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হবে জমকালো অনুষ্ঠান। ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে তুলে ধরা হবে কক্সবাজারকে ঘিরে নেওয়া সরকারর নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন শহর ক্সবাজারকে ঘিরে সেড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকার ব্যপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়েছে কক্সবাজারে। শুধু তাই নয়, কক্সবাজারের সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের উন্নয়নে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে যে কয়টি বাস্তবায়ন হয়েছে সেগুলোর মধ্যে, কক্সবাজারের কলাতলি পয়েন্ট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ। ৯৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরিন ড্রাইভটি নির্মাণ করা হয়েছে ২০১৮ সালে। ২০ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনাফ-শাহপরীর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থকরণ ও দ্বীপ শক্তিশালী করার কাজ হয়েছে। চৌফলদন্ডী সেতুসহ চৌফলদন্ডী-খুরসখুল সড়কের ১০ কিলোমিটার জেলা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বালুখালি-ঘুনধুম বর্ডার সড়কের নির্মাণকাজ। বিসিআইএম করিডোরভূক্ত ১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

কক্সবাজারে বর্তমানে সড়ক-মহাসড়ক বিভাগের আওতায় উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ। মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাসিয়াখালি পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় ৮ হাজার ৮২১কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যারমধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সড়ক ও সেতুর নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দরপত্র ডকুমেন্ট তৈরি করে সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ৫২৫ দশমিক ১৮৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজও চলমান রয়েছে।

মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কোহেলিয়া সেতু নির্মাণ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মহাসড়কের সংযোগ সড়ক নির্মাণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জুন মাসে। কিন্তু নানান জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এডিবির অর্থায়নে বিদ্যমান কক্সকবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উন্নয়ন। ৪৫৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কাজের মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত। টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কের হাড়িয়াখালি থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্ন্ত সড়ক পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরা। কক্সবাজার লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নিত করা, রামু-ফতেখাঁরকুল-মারচ্যা জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম-কক্সাবাজার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পপ, সীতাকুন্ড-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প সহ আরও বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

একইভাবে কক্সবাজারের উন্নয়নে আরও অন্তত পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

রেলপথ উন্নয়নেও দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কক্সবাজারে ঝিনুক আকৃতির আধুনিক রেল স্টেশন নির্মাণের কাজও চলছে সমানতালে।

আকাশপথেও কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরের উন্নয়নে কাজ চলছে। সাগরের উপরে নির্মাণ করা হচ্ছে রানওয়ে। কক্সবাজারে অবতরণের সময়ই যাত্রীরা সমুদ্রের ছোয়া পাবেন।

সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরে যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে চেহারা পাল্টে যাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের।

/এএস

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর তরুণদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে দুটি সংগঠন গঠিত হয়। সেই দুই সংগঠনের সমন্বয়েই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (National Citizens Party - NCP)। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন মো. নাহিদ ইসলাম, যিনি সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলের সদস্যসচিব হচ্ছেন আখতার হোসেন।

নতুন দলে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত। এছাড়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার (নিভা), মনিরা শারমিন ও নুসরাত তাবাসসুম।

Header Ad
Header Ad

সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রত্যেক শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে। এছাড়া শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তিরা তিন শ্রেণিতে আর্থিক, চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এ লক্ষ্যে তাদের নামের তালিকাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ৮৩৪ জন জুলাই শহীদের তালিকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া শহীদ পরিবারকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আহতরা তিনটি মেডিকেল ক্যাটাগরি—এ, ক্যাটাগরি বি ও ক্যাটাগরি সি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন। তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এ ক্যাটাগরিতে (অতি-গুরুতর আহত) ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে; যারা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপনে অক্ষম। তাদের এককালীন পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন তারা। উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বি ক্যাটাগরিতে (গুরুতর আহত) ৯০৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম হবেন বলে প্রতীয়মান। গুরুতর আহত জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) এক লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি কর্মসংস্থান পাবেন।

তিনি আরও বলেন, সি ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ৬৪৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন। তাদের এককালীন এক লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা ও পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কেউ জমা দিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন। পড়া শেষে বাসার সেলফে পড়ে থাকা বই দিয়েও নিচ্ছেন আরেকটি পছন্দের বই। সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। সঙ্গে আছে একাডেমিক ও ম্যাগাজিন সেকশন থেকে অফুরন্ত বই বিনিময়ের সুযোগ। কেবল বই দিয়েই বই বিনিময়, পুরো দিনটিই ছিল বই বিনিময়ের।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে টাঙ্গাইলে এই প্রথমবারের মতো ‘বই বিনিময়’ উৎসবের আয়োজন করে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উৎসব শুরুর পর থেকেই ব্যতিক্রমী এ বই বিনিময়ে বইপ্রেমী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

এতে অতিথি ছিলেন- লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বাদল মাহমুদ, লেখক ও গবেষক ড. আলী রেজা, অধ্যাপক আলীম আল রাজী ও প্রাবন্ধিক জহুরুল হক বুলবুল প্রমুখ।

‘বই হোক বিনিময়, বই জীবনের কথা কয়' - জানা যায়, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বইকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তোলা ও বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই বিনিময় উৎসবটি। উৎসবে ছিল বইয়ের ৬টি স্টল এবং ২টি রেজিস্ট্রেশন বুথ। ছয়টি স্টলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই বিনামূল্যে বিনিময় করা হয়েছে। জানা যায়, উৎসবের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয় এক হাজারের বেশি বই। সারা দিন প্রায় তিন হাজার বই বিনিময় হয়। 

এছাড়াও উৎসবে উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্পগ্রন্থসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় সহস্রাধিক বই টেবিলে সাজিয়ে রেখেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বইগুলোর পরিবর্তে পাঠকরা তাদের ঘরে পড়ে থাকা বা সাজিয়ে রাখা বইটি বদলে অপঠিত বই নিয়েছেন, এটাই হচ্ছে বই বিনিময়। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন বইয়ের খোঁজও করেছেন অনেকে। হাজারো বইয়ের ভিড়ে পছন্দের বইটি খুঁজে পেতে একজন বইপ্রেমীর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখকসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবা রহমান বই বিনিময় করতে এসে বলেন, ‘ছোট থেকেই বই পড়তে ভালো লাগে। তাই আমার কাছে থাকা বই পড়া শেষে নতুন বই পড়ার আগ্রহ থেকে বই বিনিময় করতে এসেছি। এই উদ্যোগটা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আমাদের মতো পাঠকেরা খুব উপকৃত হয়।’

সরকারি সা’দত কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন ‘আমার বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বই বিনিময় উৎসবে। তাই ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠান দেখতে। এটা ব্যতিক্রম আয়োজন, খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ’।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ‘পড়া বই ঘরে না রেখে নতুন কিছু জানার আশায় বই বিনিময় করতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ এতে নতুন বই পড়তে টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে না। এরকম আয়োজন আরো হওয়া প্রয়োজন’।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও বই বিনিময় উৎসবের আয়োজক কামরুজ্জামান বলেন, বইকে পাঠকের কাছে সহজ করতে আমাদের এই উদ্যোগ যা থেকে নতুন প্রজন্মের পাঠক তৈরি হবে। এতে তরুণ ও কিশোররা স্মার্টফোন বিমুখ হয়ে বই পড়ার দিকে ধাবিত হবে। তাছাড়া অর্থ ব্যয় করে নতুন বই কেনার চেয়ে পুরোনো বই বিনিময়ের এই উৎসব পাঠের অভ্যাস বাড়াবে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজনরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা
সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা
টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার
মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই সব দোকান
‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ আত্মপ্রকাশ আজ, ৩ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা
মিয়ানমারে আটক ২৯ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট