চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর হচ্ছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক মানে রুপান্তর করা হচ্ছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ সংক্রান্ত কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণই আমাদের প্রত্যাশা। এ লক্ষ্যেই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। যাতে আমাদের দেশের ও দেশের বাইরের মানুষ চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে এসে নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এ জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান ও অত্যন্ত অভিজ্ঞ পরামর্শক গ্রুপ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক গ্রুপের সাথে আমরা একসাথে কাজ করতে পারব।’
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রাণীর অঞ্চল নির্ধারণ, অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনাসহ অন্যান্য বিষয়াদি প্রয়োজনে পুনরায় পরিকল্পনা করা হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশের বিষয়টি যাতে অক্ষুন্ন থাকে মহাপরিকল্পনায় সে বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।’
প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতীফ।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনার রূপরেখা এবং এ সংক্রান্ত ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন উপস্থাপন করেন সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বার্নার্ড হ্যারিসন এন্ড ফ্রেন্ডস লিমিটেডের টিম লিডার ও আন্তর্জাতিক চিড়িয়াখানা বিশেষজ্ঞ বার্নার্ড হ্যারিসন।
উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলম, আন্তর্জাতিক চিড়িয়াখানা বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এনএইচবি/এমএমএ/