মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিশ্চিত বিপদ জেনেও ছাত্রদের ফেলে যাননি জ্যোতির্ময়

বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যে কয়েকটি উদ্দেশ্য ছিল তার মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশ কে পঙ্গু করে দেওয়া। যাতে এ জাতি স্বাধীনতা লাভ করলেও কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। সেই উদ্দেশে তারা গণহত্যার শুরু থেকেই বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি জান্তাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধে যে কয়েকজন বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তাদের মধ্যে জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা অন্যতম।

জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার জন্ম ১৯২০ সালের ১০ জুলাই, তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের (বর্তমান বাংলাদেশ) ময়মনসিংহ জেলায়। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বানারী পাড়ায়। তার বাবার নাম কুমুদচন্দ্র গুহঠাকুরতা এবং তিনি পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। অধ্যাপক জ্যোতির্ময়কে পাকিস্তান সরকার বরাবরই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতো। একে হিন্দু পরিবারে জন্ম নিয়েছেন, তার ওপর ছিলেন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পত্রিকায় কলাম লেখা বা রেডিওর অনুষ্ঠানে যাওয়া তার জন্য এক প্রকার নিষিদ্ধই ছিল।

২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরের যেসব জায়গায় পাকিস্তানি বাহিনী তাদের নৃশংস হামলা চালানোর মূল নকশা করেছিল, তার একটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক জ্যোতির্ময় ছিলেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ। তিনি নিজের পরিচিতজন, বিশেষ করে ছাত্রদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছিলেন।

আক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে তাকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা বলা হলে স্ত্রী বাসন্তী গুহঠাকুরতাকে জ্যোতির্ময় বলেন, ‘সবাই আমাকে সাত দিন দূরে থাকতে বলছে। আমি হলের প্রভোস্ট। আমি কী করে ছাত্রদের ফেলে যাব? ওদের জন্যই তো এ কোয়ার্টার আমাকে দেওয়া হয়েছে, ফোন দেওয়া হয়েছে। আমি জানি, কিছু হলে আমাকেই আগে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাবে।’ নিশ্চিত প্রতিকূলতা জেনেও জ্যোতির্ময় ছাত্রদের ছেড়ে যাননি।

শহীদ অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা তার স্ত্রী বাসন্তী গুহঠাকুরতা এবং কন্যা মেঘনাগুহঠাকুরতার সঙ্গে।

স্ত্রী ও কণ্যাসহ অধ্যাপক জ্যোতির্ময় থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার আবাসিক এলাকায় ৩৪ নম্বর ভবনের নিচতলায়। ২৫ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক নয়টার দিকে সবাই রেডিও খুলে বুঝতে চাইছিল দেশের পরিস্থিতি। তেমন কিছুই জানতে না পেরে অধ্যাপক সাহেব পরীক্ষার খাতা দেখতে বসে যান। হঠাৎ ধুপধাপ শব্দ শুনে অধ্যাপক গুহঠাকুরতা ও তার স্ত্রী বাইরে গিয়ে দেখেন, মানুষজন গাছ, পানির ট্যাঙ্ক আর ইটপাটকেল দিয়ে যেভাবে পারছে সেভাবেই প্রতিরোধ সৃষ্টির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে অধ্যাপক গুহঠাকুরতা ফ্ল্যাটের প্রবেশপথ আটকে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আবারও খাতা দেখতে বসে যান।

রাত দুইটার দিকে রান্নাঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে এক পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। শোবার ঘরে গিয়ে জ্যোতির্ময়কে অফিসার বলে, ‘আপ প্রফেসর সাহাব হ্যায়?’ জ্যোতির্ময় দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, ‘ইয়েস’। অফিসার বলে, ‘আপকো লে যায়েগা।’ একইভাবে জ্যোতির্ময় জিজ্ঞেস করেন, ‘হোয়াই?’ উত্তর না দিয়ে জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাকে হিড়হিড় করে টেনে বাইরে নিয়ে যায় সেই ঘাতক সেনা। একই ভবনের তিনতলা থেকে বের করে আনা হয় পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক এ এন এম মুনীরউজ্জামানকেও।

একটু পরপর আটটা গুলির শব্দ হয়। অধ্যাপক মুনীরউজ্জামানের স্ত্রী সৈয়দা মাহমুদা জামান নিচে নেমে দেখেন, জ্যোতির্ময় তখনও বেঁচে আছেন। তার ডান ঘাড়ে ও কোমরে গুলি লেগেছে। শরীর অবশ।

মাহমুদা জামান বাসন্তীকে ডেকে আনেন। কাছেই ঢাকা মেডিকেল। কিন্তু কারফিউর কারণে তখন নেওয়া গেল না। অনেক কৌশল করে ২৭ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অধ্যাপক জ্যোতির্ময়কে। কিন্তু ঘাড় থেকে বুলেট বের করা যায়নি। চারদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ মৃত্যুর কাছে পরাজয় বরণ করেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ এ শিক্ষক।

পরিবারের মানুষেরা মৃতদেহ সৎকার করার সুযোগও পায়নি। কারণ, অধ্যাপক গুহঠাকুরতার মৃত্যুর পরপরই পাকিস্তানি সেনারা হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। ফলে লাশ রেখেই চলে আসতে হয় তাদের। চারদিন পর পর্যন্ত লাশটি হাসপাতালেই পড়ে ছিলো। এপ্রিলের ৩ তারিখেও তাদের গাড়ি চালক ওয়ার্ডের বারান্দায় অধ্যাপক জ্যোতির্ময়ের নিথর দেহকে পড়ে থাকতে দেখেছে। এরপর অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার মৃতদেহের কী হয়েছিলো তা আর কেউই বলতে পারেনি। তবে এক সূত্রে জানা গেছে তার মরদেহ নিয়ে যায় পাকিস্তানি আর্মিরা।

সম্প্রতি কথাসাহিত্যিক ও জনস্বাস্থ্যবিদ শাহাদুজ্জামান এবং ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে শহীদ অধ্যাপক জ্যোতির্ময়ের স্ত্রী বাসন্তী গুহঠাকুরতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানাবিধ আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ভুক্তভোগী হন।

তার মেয়ে মেঘনা গুহঠাকুরতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তবে শিক্ষকতা ছেড়ে এখন পুরোপুরি গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন। তার আগ্রহের বিষয় নারীবাদ ও সংখ্যালঘুদের অধিকার। বর্তমানে তিনি 'রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ' নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তথ্যসূত্র: ইউপিএল থেকে প্রকাশিত বাসন্তী গুহঠাকুরতা রচিত 'একাত্তরের স্মৃতি'

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান। তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা এ আন্দোলনে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া য়ায়। নিহতদের মধ্যে চারজন দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্য এবং অন্য দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া উত্তাল পাকিস্তানে আহত হয়েছেন আরও শতাধিক পুলিশ সদস্য। বিক্ষোভ ও মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশটির রাজধানী। এমন অবস্থায় রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে দেশটির শেহবাজ সরকার।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানী ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েন করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সামরিক বাহিনীকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দুর্বৃত্তদের কঠোরভাবে মোকাবিলায় সহায়তা করার অনুমতি দিয়েছে।

তবে সব বাধা উপেক্ষা করে গতকাল সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছে পিটিআই নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে চলমান বিক্ষোভের জেরে দুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে পাকিস্তানজুড়ে। বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়ার লক্ষ্যে ইসলামাবাদের আশপাশের সব মহাসড়কে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। এরই মধ্যে পিটিআইয়ের পাঁচ এমপিসহ চার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইসলামাবাদে পার্লামেন্ট অভিমুখে পিটিআইয়ের এবারের পদযাত্রাকে “চূড়ান্ত আহ্বান” বলে অভিহিত করেছেন ইমরান খান। গত বছরের আগস্টে পিটিআইয়ের এই প্রতিষ্ঠাতাকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দলটি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান