দেশের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদের পয়সার জোগাড় হয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন তাদের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে তারা একটু বুদ্ধিজীবী, তারা নানা ধরনের সংগঠন করেন। আর এই সংগঠনের মাধ্যমে তাদের পয়সা জোগাড় হয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলেই তারা পয়সা জোগাতে পারে। আমাদের র্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম এদেশের মানুষই করেছে। অন্যদের দোষ দিয়ে কী হবে?
তিনি বলেন, আমাদের একজন মন্ত্রীর মেয়ের জামাই আর্মি অফিসার ছিলেন। সে একটা অপরাধ করেছিল। মন্ত্রীর জামাই হিসেবে কিন্তু আমরা তাকে ক্ষমা করিনি। তাকে ঠিকই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, সে যেই হোক।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।
র্যাবের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, র্যাব সৃষ্টি হয়েছিল আমেরিকায় যখন ৯/১১ হলো। তারপরে তারা সন্ত্রাস দমনে বিভিন্ন দেশকে পরামর্শ দিয়েছিল, আর সেই পরামর্শে তখন বাংলাদেশ বিএনপি ক্ষমতায়। তখন তারা এই র্যাব সৃষ্টি করেছিল। অবশ্য র্যাব সৃষ্টি করে তারা র্যাবকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃতপক্ষে এ দেশে জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন অথবা নারী নির্যাতন বা যেকোনো একটা হত্যাকাণ্ড হলে তদন্ত করা এ ধরনের মানবিক কাজই করেছে র্যাপিড অ্যাকশ ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মানবাধিকার লংঘন না, মানবাধিকার সংরক্ষণে তারা কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মানুষের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশ যখন কোনো একটা অস্বাভাবিক সরকার থাকে অর্থাৎ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী কেউ ক্ষমতায় থাকলে তখন তারা খুব ভালো থাকে। কারণ তাদের খুব গুরুত্ব থাকে। কিন্তু যখন একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকে তখন বোধ হয় তারা ভালো থাকে না। তাই সব সময় তারা গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে লেগেই থাকে; এটা হলো বাস্তব। যত ভালো কাজই আপনি করেন তারা কোনো কিছু ভালো দেখতে জানে না।
তিনি বলেন, এরা সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই নানা ধরনের অপপ্রচার তারাই বেশি বিদেশে বলেছে। ওখানকার যারা কংগ্রেসম্যান, সিনেটর তাদের কাছে বারবার তথ্য পাঠানো, চিঠি পাঠানো, একটা ঘটনা ঘটলেই পাঠানো এভাবে নানাভাবে অপপ্রচার করেছে। আমাদের অ্যাম্বাসি সবসময় সক্রিয় ছিল। কিন্তু যখন এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছে তখন কিন্তু অ্যাম্বাসির কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এটা ২/৩ বছর আগের কথা। আমরা বারবার তাদের জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশে একমাত্র দেশ এখানে র্যাবের কোনো সদস্য যখনই অন্যায় করেছে সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
র্যাবের বিরুদ্ধে এই বদনাম বা অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। আমার দেশের মানুষরাই যদি বদনামটা করে, তাহলে এখানে তো বলার কিছু নেই। সেইভাবেই এই নিষেধাজ্ঞাটা এসেছে। এই নিষেধজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার কাজ করছে।
এসএম/টিটি