রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভোট দেওয়া না দেওয়ার ব্যাখায় যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পক্ষে বিপক্ষে ভোট দেওয়া না দেওয়ার ব্যাখা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে যখন প্রথম প্রস্তাবটা আসল, তখন দেখলাম সেই প্রস্তাবে কোন মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নাই। সেখানে এরকম কোন বিষয়ই নাই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট, সেটা হল রাশিয়া তখন আমি বললাম যে না এখানে তো আমি ভোট দেব না। এরপর দ্বিতীয় প্রস্তাব যখন আসল তখন দেখলাম ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে সেখানে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টা ছিল, তাই আমরা ভোট দিয়েছি।
বুধবার (৩০ মার্চ) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘে যখন প্রস্তাবটা আসলো। তখন দেখলাম সেই প্রস্তাবে মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নাই। শুধু একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট। সেটা হল রাশিয়া, তখন আমি বললাম যেটা এখানে তো আমি ভোট দেব না। কারণ যুদ্ধ তো একা একা বাধে না। উস্কানি তো কেউ না কেউ দিচ্ছে। উস্কানি দিয়েই তো বাঁধানো হল যুদ্ধটা। তাহলে একটা দেশকে কন্দেমড করা হবে? সেজন্য আমরা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলাম। কারণ রাশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা যখন পাকিস্তানের পক্ষে নিয়েছিল রাশিয়া তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। যারা আমাদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকবো। কিন্তু তারা যদি কোন অন্যায় করে সেটা আমরা মানব না। কারণ আমরা যুদ্ধ চাইনা, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু যুদ্ধটা বাঁধাল কারা? উস্কানিটা কারা দিল? সেটাও খুঁজে দেখতে হবে। সেজন্য আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যদি একটা দেশের বিরুদ্ধে তাই ভোট দেব না। দ্বিতীয় প্রস্তাবটা যখন আসল তখন দেখলাম ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে সেখানে মানুষের কষ্ট হচ্ছে ছোট বাচ্চা থেকে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টা ছিল। যেহেতু মানবাধিকারের বিষয়টা সেজন্য বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। এখানে একেবারে স্পষ্ট এটা নিয়ে আর কারো কোন প্রশ্ন থাকা উচিত না, দিধা থাকা উচিত নয়।
এসএম/