‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপিত ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা এবং শেখ রাসেল সেনানিবাসের সব পদবীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে আরও যুগোপযোগী, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য যাতে উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেয়াদে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর আস্থা ছিল যে এই জাতিকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর সেই আস্থা প্রমাণ করতে পেরেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাস স্থাপন করা হয়েছে। শেখ রাসেল সেনানিবাস পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেনানিবাসের আশেপাশের এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে এই সেনানিবাসের নামকরণের মাধ্যমে তার নাম সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সেনাপ্রধানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
জাতির পিতার স্বপ্নকে সামনে রেখে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে স্থল ও নৌপথে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনাসহ আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
এছাড়াও ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি/বিদেশি ব্যক্তির নিরাপত্তা প্রদান, নদী পথের নিরাপত্তা বিধান, সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে আসছে।
কেএম/আরএ/