দাহ্য পদার্থ ও সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশের ষষ্ঠ আর্ন্তজাতিক সম্মেলন ‘প্লাস্টিকন-২০২২’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি। সম্মেলনে বার্ণ ইনস্টিটিউটে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামসহ ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জন ও কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরাই চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। বিভিন্ন দুর্ঘটনা, আগুনে বা জন্মলগ্ন থেকে যারা ত্রুটিপূর্ণ হয় তাদের চিকিৎসার কোনো সুযোগ ছিল না। সে সময় আমরা ঢাকা মেডিকেলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ণ ইউনিট চালু করি। যাতে মানুষ চিকিৎসা পেতে পারে। ৫০ বেড থেকে সেটি পরবর্তিতে ৩০০ বেডে উন্নীত করা হয়। এরপরে ৫০০ বেডের ইনস্টিটিউট করা হয়। এটি এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করা হয়েছে। সেগুলোর বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দাহ্য পদার্থ ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। সব ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস প্রমাণ করে তারা জনকল্যাণে রাজনীতি করে না। সেই সময় যারা আগুনে পুড়ে বেঁচে আছে তারা এখনও ভুক্তভোগী, এখনও চিকিৎসা নিচ্ছে।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বার্ণ ইনস্টিটিউট গ্যাসের আগুনে পোড়া, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দগ্ধ, এসিডে দগ্ধদের চিকিৎসায় কাজ করে। এখানে চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমও চলমান। পোড়া রোগীর চাপ বাড়ায় এটি স্থাপন করা হয়েছিল। দেশের আটটি বিভাগে বার্ন ইনস্টিটিউট করার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো চালু হলে এটির ওপর চাপ কমে আসবে। দেশের সব মানুষ সহজে চিকিৎসা সেবা পাবে।
তিনি বলেন, আমাদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ আগুনে পোড়া ও অন্যান্য ভাবে পোড়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
বার্ণ ইনস্টিটিউটের সেবার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত এক লাখ রোগী এখানকার বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে। ১০ হাজার রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে আর ইমার্জেন্সিতে সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ সেবা নিয়েছে।
করোনা টিকার বিষয়ে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে সাড়ে ২৯ কোটি টিকা এসেছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৩ কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। দেশের শতকরা ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। ৯৭-৯৮ শতাংশ ফ্রন্টলাইনাররা টিকা পেয়েছেন। যে কারণে করোনা মৃত্যুর সংখ্যা এখন শূন্যের কোঠায়। আক্রান্ত এক শতাংশেরও নিচে।
অনুষ্ঠান শেষে ইনস্টিটিউটে মুজিব কর্ণার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এএইচ/এএস