নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে তেলের দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত বলে ঘোষণা দেন স্পিকার।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইতিমধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, চাহিদা নির্ণয়, মজুদ পরিস্থিতি, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ এটা মনিটরিং করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২৮টি মনিটরিং টিম বাজার দাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। টিসিবির পক্ষ থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে ৩ হাজার ডিলারের মাধ্যমে নায্যমূল্যে ট্রাক সেল চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, রমজান উপলক্ষে সারা দেশের ১ কোটি নিম্ম আয়ের মানুষকে রমজান শুরুর আগে গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ এপ্রিল থেকে আবারও নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে।
সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে ভারতে রপ্তানীর পরিমান ছিল ৫১২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেটি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বাণিজ্য সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও অগ্রাধীকার বাণিজ্য স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৮ হজার ২৫৬ টি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধীকার সুবিধা পাওয়া যাবে।
গণফোরামের দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বের ২০টি দেশে বাংলাদেশের ২৩টি বাণিজ্য মিশন রয়েছে। সেগুলো হলো–অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চীন (বেইজিং), চীন (কুনমিং), ফ্রান্স, জার্মানী, ভারত (দিল্লি ও কলকাতা), ইরান, জাপান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র(ওয়াশিংটন ও লসএঞ্জেলস), যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। তবে এ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটির পরিমাণ ৭ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এসএম/এসএ/