প্রাথমিক চিকিৎসাও পেলেন না ‘গরীবের ডাক্তার’ বুলবুল
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মারা যাওয়া গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পাননি। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পেলে হয়ত বেঁচে যেতেন তরুণ এই চিকিৎসক।
বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার জানান, রবিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে নিজের ঠিকাদারি ব্যবসার কাজে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বুলবুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসা থেকে বের হয়ে শেওড়াপাড়া বেগম রোকেয়া সরণি হয়ে তিনি কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। দুর্বৃত্তদের সঙ্গে বুলবুলের ধস্তাধস্তি ও হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। রাস্তায় আহত অবস্থায় দেখে বিহঙ্গ পরিবহনের চালক রাসেল ও হেলপার সোহাগ আহত বুলবুলকে ধরে কাজীপাড়ায় আল-হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান। একই সঙ্গে তারা বুলবুলের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন কিন্তু সেখানে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বরং কাফরুল থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল তাদের থানায় এলাকায় নয় বলে বুলবুলকে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে দিয়ে আগারগাঁওয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়।
সকাল সোয়া ৬টায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষনা করেন।
আরও পড়ুন: ‘আমার আর কান্না আসছে না’
অবশ্য মিরপুর আল-হেলাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবু শামীম রবিবার রাতে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমি হাসপাতালের সমস্ত সিসি ক্যামেরা দেখেছি। তাতে দেখলাম আমাদের সমস্ত চিকিৎসক ও সিস্টার, ব্রাদাররা নিচে গিয়ে রোগীকে দেখেছেন। তাতে তারা দেখতে পান, রোগী প্রাথমিক চিকিৎসার অবস্থায় ছিলেন না। আগেই তিনি মারা গেছেন। অনেক ব্লিডিং হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আইনি একটা বিষয় আছে। আমাদের কাছে নির্দেশনা আছে, এ ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর। সেটাই করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রথমে স্থানীয়রা তাকে ধরে আল-হেলাল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর পুলিশের সহায়তায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আমরা জানতে পারি ঘটনাস্থল মিরপুর মডেল থানা এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে মিরপুর মডেল থানাকে জানানো হয়। মিরপুর থানা পুলিশ তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এনএইচবি/এমএমএ/