ঢাকায় এফএও’র আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি-৩৬) মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ঢাকায় শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য চারটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ত্ব দেওয়া হবে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া এ সম্মেলনের প্রথম দুদিনের সেশন উদ্বোধন করেছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
এই সেশনের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন কৃষিসচিব। এ সেশনে সিনিয়র অফিসিয়াল, কৃষি সচিব ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এফএও-এর ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম, কনফারেন্স সেক্রেটারি শ্রীধর ধর্মপুরীসহ অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কৃষিসচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের কৃষিতেও এর বিরাট প্রভাব পড়বে। এ অবস্থায় এ সম্মেলন সদস্য দেশসমূহের মধ্যে জ্ঞান, প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রসারিত করবে ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজন দেশের কৃষি উন্নয়নের সাফল্যে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম তার বক্তব্যে বলেন, এবারের সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য চারটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ ও উন্নত জীবনের জন্য কৃষিখাদ্য ব্যবস্থাকে টেকসই করা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও জলবায়ুসহনশীল কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে আগামী শুক্রবার (১১ মার্চ)। এ সম্মেলনে ৪৩টি দেশ (৮টি সরাসরি ও ৩৫টি ভার্চুয়ালি) ও এসব দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
এ ছাড়া, সদস্য রাষ্ট্র, এফএও’র মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রায় ৯০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন, যা এপিআরসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
সম্মেলনের মূল অধিবেশন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হচ্ছে। চারদিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দুইদিন (৮-৯ মার্চ) সিনিয়র অফিসিয়াল, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের মিটিং এবং শেষ দুই দিন (১০-১১ মার্চ) মন্ত্রিপর্যায়ে ও কৃষিমন্ত্রীদের মিটিং হবে।
মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিং বা সম্মেলনের উদ্বোধন হবে আগামী বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থাকবেন।
মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কান্ট্রি শোকেসিং চলছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণে ১৭টি প্রদর্শনী স্টল রয়েছে।
আগামীকাল (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এনএইচবি/এমএমএ/