সাংবাদিক কাজলের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে আগামী ১২ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
রবিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এজন্য কাজল আদালতে উপস্থিত হন। তবে সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
গত ৮ নভেম্বর শেরেবাংলা নগর, কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় আসামি কাজলের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
গত ৮ সেপ্টেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র আমলে নেন আদালত।
এর আগে ২০২০ সালের ১১ মার্চ সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৪ মার্চ আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা এ অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এর আগের দিন ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন কাজল। পরদিন কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী চকবাজার থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। একই বছরের ১৮ মার্চ কাজলের সন্ধান চেয়ে চেয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন তাদের ছেলে মনোরম পলক।
প্রায় দুই মাস পর ওই বছরের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর কাজলকে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় ভিডিও কনফারেন্সে দেখানো হয়। পরে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার মামলাতেও কাজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এমএ/এমএমএ/