সাগর-রুনীর মামলা বিশ্লেষণ করছে র্যাব: মঈন
সাগর-রুনীর হত্যার মামলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ মামলা র্যাব বিশ্লেষণ করে দেখছে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সাগর-রুনী হত্যা মামলাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই ঘটনাকে আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার প্রাথমিকভাবে পাওয়া আলমতগুলোকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আমেরিকায় পাঠিয়েছে, সেখান থেকেও আমরা বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। এখনও আমরা এই তদন্ত চলমান রেখেছি এবং আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারব।’
এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, সাগর-রুনী হত্যার দুই মাস পর র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। র্যাব এই মামলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ মামলার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যারা কাজ করেছে সিআইডি, ডিবি এবং সাংবাদিকদের কাছে যা তথ্য ছিল, তা সংগ্রহ করে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সাগর-রুনী হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬০ জনের সাক্ষ্য আমরা নিয়েছি। তাদের থেকে বিভিন্ন তথ্য আমরা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমরা অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি, রিমান্ডে নিয়ে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।’
সাগর রুনীর হত্যা মামলাকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব মামলা দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হয় না। আমরা এই মামলার বেশ কিছু আলামত দেশের বাইরেও পাঠিয়েছি তদন্তের জন্য। সেই রিপোর্ট আসতেও অনেক সময় লেগেছে। আমরা এটার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক।’
দশ বছর পার হলেও এ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তেমন নয়, এটা একটি ইনজেনারেল কথা। সাগর-রুনীর মামলার পাশাপাশি আরও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা র্যাবকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাদকের তদন্তসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত র্যাবকে দেওয়া হয়।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী। এ ঘটনায় রুনীর ছোট ভাই নওশের রোমান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১০ বছরে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের সময় ৮৫ বার পেছানো হয়েছে।
এমএইচ/এসএ/