শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশান্তরী হয়েও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তারা

ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন আমলে গুম, খুন, দমন-পীড়ন ছিলো স্বাভাবিক ঘটনা। স্বাধীন বাংলাদেশে যেন বাকস্বাধীনতাই হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলার জনগন। বিরোধী মতের কাউকেই গ্রাহ্য করতেন না। হাসিনার গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী সরকারের জমানায় চক্ষুশূল হয়েছিলেন অনেক সাংবাদিক-সমাজকর্মীও। জেল-জুলুম, মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে দেশান্তরী হয়েছেন অনেকে। সমাজ-সংসার ফেলে বিদেশ বিভুঁইয়ে কাটানো এসব মানুষ দেশ ছাড়লেও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদে মুখর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার ও সরকারি দলের লোকজনের নানা অপরাধ, দুর্নীতি, গুম, খুন ও নিপীড়নের খবর তথ্যসহ তুলে ধরতেন। কেউ কেউ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশে রাখতেন বড় ভূমিকা। নানা কারণে ‘চুপ’ থাকা দেশীয় মিডিয়া যেখানে সরকারের গুণকীর্তন করত, তার বিপরীতে এসব মানুষ সত্য প্রকাশে নিয়েছেন সাহসী তৎপরতা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত এ সচেতন মানুষদের ভূমিকা গণতন্ত্রকামী মানুষকে দিয়েছিল আন্দোলনের ভিন্ন এক রসদ।

মুশফিকুল ফজল আনসারী

দৈনিক ইত্তেফাক, ইউএনবিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কূটনৈতিক রিপোর্টার হিসেবে বেশ উজ্জ্বল মুখ ছিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর জাস্ট নিউজ বিডির প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সরকারের রোষানলে দেশ ছাড়েন এই সাংবাদিক। দেশ ছাড়লেও সরকারের অন্যায়, অনিয়ম আর কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন আন্তর্জাতিক মহলে। বিশ্বের বড় বড় মিডিয়ায় নিজের লেখনীতে তুলে ধরেন এক স্বৈরাচারী সরকারের গল্প। জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংগুলোতে প্রশ্ন করে আন্তর্জাতিক ফোরামে সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। এ ছাড়া জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস এবং ওয়াশিংটনকেন্দ্রিক বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের নানা অনিয়ম আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরেন তিনি।

জুলকারনাইন সায়ের খান সামি

জনপ্রিয় বৈশ্বিক গণমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান সামি। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুর্নীতি এবং শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা অপরাধ সাম্রাজ্যে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সাংবাদিক। এরপর একের পর এক সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নথি ফাঁস করে গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে আস্থার নাম হয়ে ওঠেন জুলকারনাইন। লন্ডনে অবস্থানরত এ সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। নির্ভুল তথ্য সরবরাহ, নানা গোপন নথি প্রকাশ করে সরকারকে বিভিন্ন সময়েই প্রশ্নের মুখে ফেলেন এই সাংবাদিক। বর্তমানে বাংলা আউটলুকের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনীম খলিল

সুইডেনভিত্তিক গণমাধ্যম নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনীম খলিল। নির্বাসনে থাকা এই সাংবাদিক একের পর এক দুর্নীতি এবং অনিয়মের নিউজ প্রকাশ করে সারাবছরই আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের। সরকারও নেত্র নিউজ সাইট ব্লক করে রাখে বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ সেক্টর, ব্যাংক, পুলিশি হত্যাকাণ্ড, গুমসহ দেশের প্রায় সব অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তাসনীম খলিল এবং নেত্র নিউজ।

পিনাকী ভট্টাচার্য

ফ্রান্সে নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য। ব্যক্তিজীবনে চিকিৎসক হলেও তিনি সবসময় মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। যার ফলে দেশ ছাড়তে হয় তাকে। বিদেশে অবস্থানকালে তিনি যেন মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি এবং দলবাজির কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি ইউটিউবে তুলে ধরতেন বিশ্লেষণাত্মক মতামত। সাধারণ মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় শিক্ষক বাবার সন্তান পিনাকীর গ্রামের বাড়ি দেশের বগুড়া জেলায়।

লন্ডনে নির্বাসিত সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর

টুঁটি চেপে রাখা গণমাধ্যমের নানা অনিয়ম, সুবিধাবাদী সাংবাদিক এবং সরকারের দুর্নীতি, শোষণের নানা চিত্র তুলে ধরে সবসময় আলোচনা ছিলেন লন্ডনে নির্বাসিত সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলাও করেছেন সরকারের সুবিধাভোগীরা। গ্রামের বাড়িতে হামলা, বাবা-মাকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এরপরও গত প্রায় অর্ধডজন বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সোচ্চার ছিলেন জাওয়াদ নির্ঝর। স্বৈরাচারী সরকারের নানা অনিয়ম, নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই তুলে ধরতেন নানা তথ্য। সোচ্চার ছিলেন পুলিশি হত্যা, গুম-খুন নিয়েও। নানা চাপে দেশীয় গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশ হতো না, সেসব সংবাদ নিজের ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করতেন। এ ছাড়া করাপশন ইন মিডিয়া নামে একটি ফেসবুক পেজে তুলে ধরতেন গণমাধ্যম সংক্রান্ত নানা অনিয়মও।

সাংবাদিক মনির হায়দার

বাংলাদেশি সাংবাদিক মনির হায়দার। সরকারের রোষানলে দেশ ছেড়ে আবাস গড়েন মার্কিন মুল্লুকে। তবে সরকারের অন্যায় এবং অনিয়ম নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বরাবরই। নিজের ফেসবুক পেজে নিয়মিত অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উন্মোচনের পাশাপাশি ইউটিউবেও সমালোচনা করতেন সরকারের। স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশি নির্যাতন, গুম, খুনের বিষয়গুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে তুলে ধরতেন মনির হায়দার।

নাগরিক টিভি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান টিটো এবং নাজমুস সাকিব

যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নাগরিক টিভি। এটি পরিচালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান টিটো এবং নাজমুস সাকিব। প্রায় এক দশক ধরে সরকারের অনুগত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি এবং অনিয়ম তুলে ধরে আলোচনায় ছিল এ প্ল্যাটফর্মটি। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের শোষণমূলক নীতি, গুম, খুনের বিষয়েও সোচ্চার ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান টিটো এবং নাজমুস সাকিব।

মোস্তফা ফিরোজ

দেশীয় গণমাধ্যমের আলোচিত মুখ মোস্তফা ফিরোজ। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের হাতেখড়ি মোস্তফা ফিরোজের হাত ধরে। তবে স্বৈরাচারী সরকারের রোষাণলে পড়ে দেশ ছাড়তে হয় তাকে। দেশে হুমকির মুখে পড়লেই তিনি চলে যেতেন বিদেশে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বসে কাজ করতেন। সেখানে বসে সরকারের নানা অন্যায় আর অনিয়ম নিয়ে নিয়মিত লিখে গেছেন এই সাংবাদিক। ফেসবুক এবং ইউটিউবে নিয়মিত সমালোচনামূলক ভিডিও আপলোড করতেন মোস্তফা ফিরোজ। দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও তুলে ধরতেন আন্তর্জাতিক মহলে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালাম

চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালাম স্বৈরাচারী সরকারের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকুলার থেরাপিউটিক্স নিয়ে গবেষণা করে লাভ করেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে দক্ষতা থাকা ফাহাম আব্দুস সালাম নানা তথ্য এবং যুক্তিনির্ভর সমালোচনা করতেন সরকারের। শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় এ বিজ্ঞানী ফেসবুক সরকারের অনিয়ম এবং অনাচার নিয়ে নিয়মিত লিখতেন। এ ছাড়া ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমেও সরকারের নানা অনিয়মের উপাত্তনির্ভর সমালোচনা করতেন।

সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার

ক্ষুরধার যুক্তি এবং নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার। স্বৈরাচারী সরকারের গুম-খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠের কনক সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অনেক। এমনকি তার পরিবারকেও এর মূল্য দিতে হয়েছে। এরপরও থেমে যাননি তিনি। সরকারের নানা গোপন তথ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ করে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

একসময়ের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। সরকারের রোষাণলে পড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অনেক মামলাও রয়েছে। তবে বিদেশে অবস্থান করলেও ইলিয়াস হোসেন নানা তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করেন নিজের ফেসবুক আইডি এবং ইউটিউব চ্যানেলে। বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে আলোড়ন তোলেন দেশের মিডিয়া পাড়ায়।

টেলিভিশন সাংবাদিকতায় জনপ্রিয় মুখ শাহেদ আলম। সরকারের রোষাণলে পড়ে দেশ ছেড়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বসেও সরকারের নানা অনিয়ম নিয়ে ছিলেন সোচ্চার। ফেসবুক এবং ইউটিউবে তথ্যনির্ভর সমালোচনা দেশের তরুণদের মধ্যে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

সরকারের কঠোর সমালোচনা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে নানা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে সারা বছরই বেশ আলোচনায় ছিলেন জ্যাকব মিল্টন এবং শফিকুল আলম।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তাদির মুক্তকে শিক্ষার্থীরা ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মুক্তাদির মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে আসছিলেন।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই। সবাই এদেশের গর্বিত নাগরিক। সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকের ঘরে কি হয় আমরা জানতে চাই না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না।’‘আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকের ঘরে কি হয় আমরা জানতে চাই না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন, আপনাদের চেহারাটা আয়নায় দেখেন। আপনারা যাদের মাইনরিটি বলেন, তাদের সাথে কি আচরণ করেন? আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবক দিতে আসবেন না। যুগ যুগ ধরে এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর আরও বলেন, আমরা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সেই সঙ্গে বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেব। আমরা চাই না বারবার জাতি প্রতারিত হোক। আমরা চাই ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি বাংলাদেশ।

সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল এসে সম্মেলনেস্থল লোকে লোকারণ্য হয়। আয়োজকদের দাবি, ৩০ হাজার মানুষ এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মৌলভীবাজারে উন্মুক্ত স্থানে হাজারো কর্মী-সমর্থকের অংশগ্রহণে এ রকম কোনো সম্মেলন হয়নি। প্রথমবারের মতো খোলা মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

Header Ad
Header Ad

আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল

ফাইল ছবি

উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘতম রাত হিসেবে স্বীকৃত ২১ ডিসেম্বর। সেইসাথে আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর) পৃথিবীর এই অর্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিনও। ঠিক বিপরীত চিত্র অবশ্য বিরাজ করবে দক্ষিণ গোলার্ধে। বিষুবরেখার দুই পাশে সূর্যের আলো পড়ার প্রেক্ষাপটে বছরের ৪টি এমন তারিখ আসে। ‘দিবা-রাত্রি’র হিসেবে এগুলোর মধ্যে ২টি তারিখে সমান ও ২টি সময়ের পরিসরে সবচেয়ে ছোট-বড়।

২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয় আর রাত হয় দীর্ঘ। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এ সময় যে কোনো একদিকে একটু হেলে থাকে সূর্য। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ।

২১ জুন দিনটাতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই মনে হয় দিন শেষই হচ্ছে না। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলোতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এর পর থেকে দিন ছোট হয়ে শুরু করে।

ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। আর উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে। ফলে সেখানে তখন সৃষ্টি হয় শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল।

একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণ অয়নান্ত। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়। অর্থাৎ একই সময়ে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে থাকবে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত।

এদিকে আজ বছরের দীর্ঘতম রাত হলেও পূর্ণিমার কারণে আকাশে থাকবে চাঁদের উজ্জ্বল আলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিয়ন্ত্রণে বনানী বস্তির আগুন