মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৪ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশান্তরী হয়েও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তারা

ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন আমলে গুম, খুন, দমন-পীড়ন ছিলো স্বাভাবিক ঘটনা। স্বাধীন বাংলাদেশে যেন বাকস্বাধীনতাই হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলার জনগন। বিরোধী মতের কাউকেই গ্রাহ্য করতেন না। হাসিনার গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী সরকারের জমানায় চক্ষুশূল হয়েছিলেন অনেক সাংবাদিক-সমাজকর্মীও। জেল-জুলুম, মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে দেশান্তরী হয়েছেন অনেকে। সমাজ-সংসার ফেলে বিদেশ বিভুঁইয়ে কাটানো এসব মানুষ দেশ ছাড়লেও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদে মুখর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার ও সরকারি দলের লোকজনের নানা অপরাধ, দুর্নীতি, গুম, খুন ও নিপীড়নের খবর তথ্যসহ তুলে ধরতেন। কেউ কেউ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশে রাখতেন বড় ভূমিকা। নানা কারণে ‘চুপ’ থাকা দেশীয় মিডিয়া যেখানে সরকারের গুণকীর্তন করত, তার বিপরীতে এসব মানুষ সত্য প্রকাশে নিয়েছেন সাহসী তৎপরতা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত এ সচেতন মানুষদের ভূমিকা গণতন্ত্রকামী মানুষকে দিয়েছিল আন্দোলনের ভিন্ন এক রসদ।

মুশফিকুল ফজল আনসারী

দৈনিক ইত্তেফাক, ইউএনবিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কূটনৈতিক রিপোর্টার হিসেবে বেশ উজ্জ্বল মুখ ছিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর জাস্ট নিউজ বিডির প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সরকারের রোষানলে দেশ ছাড়েন এই সাংবাদিক। দেশ ছাড়লেও সরকারের অন্যায়, অনিয়ম আর কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন আন্তর্জাতিক মহলে। বিশ্বের বড় বড় মিডিয়ায় নিজের লেখনীতে তুলে ধরেন এক স্বৈরাচারী সরকারের গল্প। জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংগুলোতে প্রশ্ন করে আন্তর্জাতিক ফোরামে সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। এ ছাড়া জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস এবং ওয়াশিংটনকেন্দ্রিক বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের নানা অনিয়ম আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরেন তিনি।

জুলকারনাইন সায়ের খান সামি

জনপ্রিয় বৈশ্বিক গণমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান সামি। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুর্নীতি এবং শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা অপরাধ সাম্রাজ্যে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সাংবাদিক। এরপর একের পর এক সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নথি ফাঁস করে গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে আস্থার নাম হয়ে ওঠেন জুলকারনাইন। লন্ডনে অবস্থানরত এ সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। নির্ভুল তথ্য সরবরাহ, নানা গোপন নথি প্রকাশ করে সরকারকে বিভিন্ন সময়েই প্রশ্নের মুখে ফেলেন এই সাংবাদিক। বর্তমানে বাংলা আউটলুকের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনীম খলিল

সুইডেনভিত্তিক গণমাধ্যম নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনীম খলিল। নির্বাসনে থাকা এই সাংবাদিক একের পর এক দুর্নীতি এবং অনিয়মের নিউজ প্রকাশ করে সারাবছরই আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের। সরকারও নেত্র নিউজ সাইট ব্লক করে রাখে বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ সেক্টর, ব্যাংক, পুলিশি হত্যাকাণ্ড, গুমসহ দেশের প্রায় সব অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তাসনীম খলিল এবং নেত্র নিউজ।

পিনাকী ভট্টাচার্য

ফ্রান্সে নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য। ব্যক্তিজীবনে চিকিৎসক হলেও তিনি সবসময় মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। যার ফলে দেশ ছাড়তে হয় তাকে। বিদেশে অবস্থানকালে তিনি যেন মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি এবং দলবাজির কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি ইউটিউবে তুলে ধরতেন বিশ্লেষণাত্মক মতামত। সাধারণ মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় শিক্ষক বাবার সন্তান পিনাকীর গ্রামের বাড়ি দেশের বগুড়া জেলায়।

লন্ডনে নির্বাসিত সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর

টুঁটি চেপে রাখা গণমাধ্যমের নানা অনিয়ম, সুবিধাবাদী সাংবাদিক এবং সরকারের দুর্নীতি, শোষণের নানা চিত্র তুলে ধরে সবসময় আলোচনা ছিলেন লন্ডনে নির্বাসিত সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলাও করেছেন সরকারের সুবিধাভোগীরা। গ্রামের বাড়িতে হামলা, বাবা-মাকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এরপরও গত প্রায় অর্ধডজন বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সোচ্চার ছিলেন জাওয়াদ নির্ঝর। স্বৈরাচারী সরকারের নানা অনিয়ম, নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই তুলে ধরতেন নানা তথ্য। সোচ্চার ছিলেন পুলিশি হত্যা, গুম-খুন নিয়েও। নানা চাপে দেশীয় গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশ হতো না, সেসব সংবাদ নিজের ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করতেন। এ ছাড়া করাপশন ইন মিডিয়া নামে একটি ফেসবুক পেজে তুলে ধরতেন গণমাধ্যম সংক্রান্ত নানা অনিয়মও।

সাংবাদিক মনির হায়দার

বাংলাদেশি সাংবাদিক মনির হায়দার। সরকারের রোষানলে দেশ ছেড়ে আবাস গড়েন মার্কিন মুল্লুকে। তবে সরকারের অন্যায় এবং অনিয়ম নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বরাবরই। নিজের ফেসবুক পেজে নিয়মিত অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উন্মোচনের পাশাপাশি ইউটিউবেও সমালোচনা করতেন সরকারের। স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশি নির্যাতন, গুম, খুনের বিষয়গুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে তুলে ধরতেন মনির হায়দার।

নাগরিক টিভি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান টিটো এবং নাজমুস সাকিব

যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নাগরিক টিভি। এটি পরিচালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান টিটো এবং নাজমুস সাকিব। প্রায় এক দশক ধরে সরকারের অনুগত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি এবং অনিয়ম তুলে ধরে আলোচনায় ছিল এ প্ল্যাটফর্মটি। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের শোষণমূলক নীতি, গুম, খুনের বিষয়েও সোচ্চার ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান টিটো এবং নাজমুস সাকিব।

মোস্তফা ফিরোজ

দেশীয় গণমাধ্যমের আলোচিত মুখ মোস্তফা ফিরোজ। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের হাতেখড়ি মোস্তফা ফিরোজের হাত ধরে। তবে স্বৈরাচারী সরকারের রোষাণলে পড়ে দেশ ছাড়তে হয় তাকে। দেশে হুমকির মুখে পড়লেই তিনি চলে যেতেন বিদেশে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বসে কাজ করতেন। সেখানে বসে সরকারের নানা অন্যায় আর অনিয়ম নিয়ে নিয়মিত লিখে গেছেন এই সাংবাদিক। ফেসবুক এবং ইউটিউবে নিয়মিত সমালোচনামূলক ভিডিও আপলোড করতেন মোস্তফা ফিরোজ। দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও তুলে ধরতেন আন্তর্জাতিক মহলে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালাম

চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালাম স্বৈরাচারী সরকারের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকুলার থেরাপিউটিক্স নিয়ে গবেষণা করে লাভ করেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে দক্ষতা থাকা ফাহাম আব্দুস সালাম নানা তথ্য এবং যুক্তিনির্ভর সমালোচনা করতেন সরকারের। শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় এ বিজ্ঞানী ফেসবুক সরকারের অনিয়ম এবং অনাচার নিয়ে নিয়মিত লিখতেন। এ ছাড়া ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমেও সরকারের নানা অনিয়মের উপাত্তনির্ভর সমালোচনা করতেন।

সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার

ক্ষুরধার যুক্তি এবং নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার। স্বৈরাচারী সরকারের গুম-খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠের কনক সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অনেক। এমনকি তার পরিবারকেও এর মূল্য দিতে হয়েছে। এরপরও থেমে যাননি তিনি। সরকারের নানা গোপন তথ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ করে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

একসময়ের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। সরকারের রোষাণলে পড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অনেক মামলাও রয়েছে। তবে বিদেশে অবস্থান করলেও ইলিয়াস হোসেন নানা তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করেন নিজের ফেসবুক আইডি এবং ইউটিউব চ্যানেলে। বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে আলোড়ন তোলেন দেশের মিডিয়া পাড়ায়।

টেলিভিশন সাংবাদিকতায় জনপ্রিয় মুখ শাহেদ আলম। সরকারের রোষাণলে পড়ে দেশ ছেড়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বসেও সরকারের নানা অনিয়ম নিয়ে ছিলেন সোচ্চার। ফেসবুক এবং ইউটিউবে তথ্যনির্ভর সমালোচনা দেশের তরুণদের মধ্যে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

সরকারের কঠোর সমালোচনা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে নানা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে সারা বছরই বেশ আলোচনায় ছিলেন জ্যাকব মিল্টন এবং শফিকুল আলম।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়া নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু

ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেরাকের বান্দার মেরু রায়া এলাকার একটি নির্মাণস্থলে আট মিটার উচ্চতার লোহার কাঠামো থেকে পড়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পেরাক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের (জেবিপিএম) অপারেশন শাখার সহকারী পরিচালক সাবারোজি নোর আহমদ জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর মেরু রায়া ফায়ার স্টেশনের সাত সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তি ৪৩ বছর বয়সী এবং ঘটনার সময় তিনি নির্মাণস্থলে কাজ করছিলেন।

তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। অন্য শ্রমিকরা তাকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে এবং সাহায্যের চেষ্টা করে। অপারেশন দলের প্রধান আহত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রদান করেন। পরে চিকিৎসকরা আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির জাতীয়তা বাংলাদেশি ও বয়স ৪৩ বছর বলা হলেও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ নিয়ে আজহারীর প্রতিক্রিয়া    

ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, শকুনদের টার্গেট শিক্ষার্থীদের ঐক্য নষ্ট করা। ঐক্য নষ্ট করার মতো নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ কোনো কাজ আর হতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি ‘দুর্ব্যবহার’করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমন অভিযোগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরটরি মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তাতে সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগে থেকে নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।

রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

দুপক্ষের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরে পুলিশের সহায়তায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইল নেটজারিম করিডোর খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজায় ফিরেছেন প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তারা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে এবং কোলে সন্তানদের নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে হাঁটছেন। তবে যারা যানবাহনে করে যাচ্ছেন তাদের চেকপয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

গাজার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করিডোর খোলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই হেঁটে অন্তত ২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। তবে তাদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। তবুও তাদের চোখেমুখে ছিল ফিরে আসার আনন্দ।

কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ফিরতে থাকা ১৯ বছর বয়সী আহমেদ জানান, তিনি ১৫ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা ক্লান্ত, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেতে চাই। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

ফিলিস্তিনিরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উত্তর গাজায় ফিরতে প্রস্তুত থাকলেও ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের কারণে তারা আটকে পড়েন। অবশেষে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে এবং সকাল ৯টায় যানবাহনে করে তাদের পার হতে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়া নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু
ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ নিয়ে আজহারীর প্রতিক্রিয়া    
দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  
ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
এবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্লে অফে এক পা রাজশাহীর  
সীমান্তের ওপারে মাদকের বাঙ্কার: বাংলাদেশে পাচারের আগেই ধরা পড়লো বিশাল চালান
ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি  
সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির বাস চলতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি
টাঙ্গাইলে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সীসা তৈরি কারখানা
কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির