সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইউনূস ইস্যুতে খোলা চিঠির প্রতিবাদে বাংলাদেশের ৫০ সম্পাদকের বিবৃতি

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের খোলা চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ সম্পাদক।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে সম্পাদকরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। এ ধরনের চিঠি প্রদানের মাধ্যমে তারা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন বলে আমরা মনে করি। এ ধরনের বিবৃতি বা খোলা চিঠি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলীর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

তারা আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এবং নোবেল বিজয়ীগণের এ ধরনের বিবৃতি এবং চিঠি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনৈতিক। একজন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না এবং বিচার করা যাবে না এমন দাবি ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী। আমরা মনে করি তারা মামলা সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে এমন দাবি করেছেন। তাই আমরা তাঁদেরকে অথবা তাঁদের প্রতিনিধি এসে মামলায় ড. ইউনূসকে আদৌ হয়রানি করা হচ্ছে কিনা, তা তাঁরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের এই আহ্বান জানিয়েছেন আমরা তা সমর্থন করি। একই চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তা স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ যে কোনো মহলের এ ধরনের অবমাননাকর, অযাচিত ও বেআইনি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সম্মান প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতি দাতা সম্পাদকরা হলেন—
১। ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সম্পাদক, ডেইলি অবজারভার
২। গোলাম রহমান, সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
৩। তাসমিমা হোসেন, সম্পাদক, ইত্তেফাক
৪। আবুল কালাম আজাদ, প্রধান সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
৫। ইমদাদুল হক মিলন, প্রধান সম্পাদক, কালের কণ্ঠ
৬। আলমগীর হোসেন, সম্পাদক, সমকাল
৭। সাইফুল আলম, সম্পাদক, যুগান্তর
৮। নঈম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
৯। ফরিদ হোসেন, সম্পাদক, ইউএনবি
১০। শ্যামল দত্ত, সম্পাদক, ভোরের কাগজ
১১। নাঈমুল ইসলাম খান, ইমিরিটাস এডিটর
১২। আলতামাশ কবির, সম্পাদক, সংবাদ
১৩। আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সম্পাদক, পিপলস টাইম
১৪। রেজাউল করিম লোটাস, সম্পাদক, ডেইলি সান
১৫। শাহজাহান সরদার, সম্পাদক, বাংলাদেশ জার্নাল
১৬. নাসিমা খান মন্টি, সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়
১৭। রফিকুল ইসলাম রতন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বাংলাদেশ বুলেটিন
১৮। ফারুক আহমেদ তালুকদার, সম্পাদক, আজকালের খবর
১৯। সন্তোষ শর্মা, সম্পাদক, কালবেলা
২০। শরীফ শাহাবুদ্দিন, সম্পাদক, বাংলাদেশ পোস্ট
২১। শামীমা এ খান, সম্পাদক, জনকণ্ঠ
২২। কমলেশ রায়, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সময়ের আলো
২৩। মুস্তাফিজ শফি, সম্পাদক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ
২৪। মোস্তফা মামুন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দেশ রূপান্তর
২৫। বেলায়েত হোসেন, সম্পাদক, ভোরের ডাক
২৬। চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা
২৭। শামীম সিদ্দিকি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, আলোকিত বাংলাদেশ
২৮। আব্দুল মজিদ, সম্পাদক, সংবাদ সারাবেলা
২৯। রিমন মাহফুজ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সংবাদ প্রতিদিন
৩০। মফিজুর রহমান খান বাবু, সম্পাদক, বাংলাদেশের আলো
৩১। আরিফুর রহমান দোলন, সম্পাদক, ঢাকা টাইমস
৩২। নুর হাকিম, সম্পাদক, সকালের সময়
৩৩। মো: জসিম, সম্পাদক, আমার বার্তা
৩৪। আখলাকুল আম্বিয়া, সম্পাদক, স্বাধীন বাংলা
৩৫। এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী, সম্পাদক, আজকের দর্পণ
৩৬। ফরিদ বাঙ্গালী, সম্পাদক, লাখো কণ্ঠ
৩৭। ড. আসাদুজ্জামান, সম্পাদক, বাংলাদেশ সমাচার
৩৮। কিশোর আদিত্য, সম্পাদক, প্রথম কথা
৩৯। দীপক আচার্য্য, সম্পাদক, দ্যা সাউথ এশিয়ান টাইমস
৪০। আবু সাঈদ, সম্পাদক, আজকের সংবাদ
৪১। আতিকুর রহমান চৌধুরী, সম্পাদক, দর্পণ প্রতিদিন
৪২। রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক, আলোর বার্তা
৪৩। মো: সেলিম, সম্পাদক, ডেইলি ইভিনিং নিউজ
৪৪। মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, সম্পাদক, অগ্রসর
৪৫। নাজমুল হক সরকার, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বর্তমান
৪৬। শাহাদাত হোসেন শাহীন, সম্পাদক, গণমুক্তি
৪৭। মো. সাইদুল ইসলাম, সম্পাদক, প্রতিদিনের সংবাদ
৪৮। নাজমুল আলম তৌফিক, সম্পাদক, ডেইলি সিটিজেন টাইমস
৪৯। হেমায়েত হোসেন, সম্পাদক, কান্ট্রি টুডে
৫০। শেখ জামাল, সম্পাদক, মুখপাত্র

Header Ad

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৩মে) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক গণপূর্তমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ণ, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ প্রদান করেন।

প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে ১২৬০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্ত্রী রাজধানীর করাইল বস্তি ও টি এন্ড টি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। ৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেন।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জনান।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দের সাথে বসবাস করছে। এছারা সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সাথে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জমাকৃত টাকা পেতে গ্রাহকরা দিনের পর দিন ওই অফিসে ধর্না দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য জমাকৃত টাকা নিয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানটি উধাও হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় দিন পার করছেন গ্রাহকরা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জানা গেছে- ২০১৪ সাল থেকে নওগাঁ শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস। ভবিষ্যতের জন্য শত শত গ্রাহক এই প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা সঞ্চয় বা জমা করেছিল। অনেকের বাৎসরিক মেয়াদ পূরণ হয়েছে আবার অনেকের এখনও মেয়াদ পূরণ হয়নি। যাদের মেয়াদ পূরণ হয়েছে তারা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা নেয়ার জন্য অফিসে প্রতিদিনই গ্রাহকরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করা হচ্ছে। আজ নয় কাল বলে সময় পার করছে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে করে গ্রাহকরা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তীরা মধ্যে পড়তে হয়েছে।

জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে কৃষক সাজেদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য এ বীমাতে টাকা জমানো শুরু করেছিলেন। গত ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তার মেয়াদ পূর্ণ হয়। বীমাতে জমাকৃত টাকা পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলাম বলেন- বছরে ১০ হাজার ৩৭৩ টাকা হিসেবে ১২ বছর মেয়াদী বীমা করেছি। যেখানে আমার প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার মতো জমা হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে আরো প্রায় ১ বছর ৫ মাস আগে। মেয়াদ পূরন হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অফিসে আসতে বলা হয়। তারপর থেকে অফিসে এসে জমাকৃত টাকা পেতে ধর্না দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এসে অফিস বন্ধ থাকে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে আরো এক বছর পরে আসার জন্য। নিজের জমাকৃত টাকা পেতে এতো ঘুরতে হবে কেন। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য অনেক কষ্ট করে টাকাগুলো জমিয়েছি। এখন ভয় হচ্ছে যদি অফিস সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায় তাহলে কি হবে।

আরেক ভুক্তভোগী নওগাঁ শহরের চকদৌলত মধ্য সাহপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাহাজান বাদশা। তিনি বলেন- মা সাজেদা বেগমের নামে বছরে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা হিসেবে ১২ বছরের জন্য বীমা করা আছে। মেয়াদ পূরণ হয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসে। প্রায় ৫৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে। জমাকৃত টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকে হিসাব খুলতে বলা হয়েছিল। একটি ব্যাংকে হিসাব খুলে হিসাব নম্বরটি বীমা অফিসে দেয়া হয়। আজ নয় কাল বলে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে টাকা নাই এখন দেয়া যাবে না। আরো কিছুদিন পরে আসেন। আমাদের সাথে প্রতারণা করার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। আমার মতো অনেক গ্রাহক এসে হয়রানি হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রাহিদুল ইসলাম বলেন- ২০১৪ সাল থেকে শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় বীমার কার্যক্রম করা হচ্ছে। তবে তার আগে শহরের পাঁর-নওগাঁয় অফিস দিয়ে সেখানে কার্যক্রম করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের আগে গ্রাহকদের টাকা দিতে কোন সমস্যা হয়নি। তবে পরবর্তী সময় থেকে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা উত্তোরণে আমাদের সুযোগ দিতে হবে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁ সার্ভিসিং সেল এর সহকারি পরিচালক (এএমডি) রহিদুল ইসলাম বলেন- এ অফিসের অধীনে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি কোন ফান্ড (অর্থ) দিচ্ছে না। ফান্ড পেলে দ্রুত গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে অফিস পালিয়ে যাওয়ার কোন ভয় নেই। করোনা ভাইরাসের পর থেকে প্রতিষ্ঠান অর্থনেতিক ভাবে দুর্দিন যাচ্ছে এবং ভাল সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন- যেসব গ্রাহকদের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের বিষয় অফিসকে অবগত করা হয়েছে। ফান্ড না পাওয়া পর্যন্ত পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে ২ জ্যৈষ্ঠ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। সোমবার (১৩ মে) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে আম সংগ্রহের সময়কাল নির্ধারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সভায় জেলা প্রশাসন, কৃষি কর্মকর্তা ও আম বাগান মালিক এবং আম ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, আম ব্যবসায়ী কাজল, আয়ুব আলী, লাজুক, শামসুল মাষ্টার ও মিজানুর রহমান মিজান। জেলা বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছে। জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন। ১৬ মে ২ জ্যৈষ্ঠ থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪ মে ১০ জ্যৈষ্ঠ থেকে হিমসাগর, ৩০ মে ১৭ জ্যৈষ্ঠ থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন ২৭ জ্যৈষ্ঠ আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন ১ আষাঢ় থেকে ফজলি জাতের , ১ জুলাই ১৭ আষাঢ় থেকে আশ্বিনা / বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, কোন অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। এছাড়া আম পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, জেলাব্যাপী আম সংগ্রহের যে সূচি দেওয়া হয়েছে তার বাইরে কেউ অপরিপক্ক আম পাড়তে পারবে না। কেউ যদি এর ব্যত্যয় ঘটায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু
২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
ঢাকাসহ ৭ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিভাজন থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসা উচিত : মির্জা ফখরুল
ভোটারকে থাপ্পড় মারায় এমপির গালে ভোটারের পাল্টা থাপ্পড়, ভিডিও ভাইরাল
শিশু জায়েদকে মামার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কেউ পাস করেনি বিরামপুরের খয়েরবাড়ী মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসায়
বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার
প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা
এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল
১৩ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ১৪ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের
নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা
বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মা পেলেন জিপিএ ৪.৫৪, মেয়ে ২.৬৭
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত ১৫