তোয়াব খানের মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মরদেশে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে সেখানে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয় দেশ বরেণ্য প্রয়াত এ সাংবাদিককে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তোয়াব খানের মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হয়।
প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব মেজর লে. কর্নেল সৈয়দ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সহকারী সামরিক সচিব লে. কর্নেল জি. এম. রাজীব আহমেদ সম্মান প্রদর্শন করেন।
এ ছাড়াও তোয়াব খানের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তোয়াব খানের মৃত্যুতে সাংবাদ জগতের যে শূন্যতা তা কখনোই পূরণ হবার না। সবসময় নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন দেশের এ প্রতিথযশা সাংবাদিক। ভাষা সৈনিক, শব্দ সৈনিক ও সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এর আগে সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে নেওয়ার পর সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেওয়া হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে তাকে রাখা হবে বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। ওই সময় তার দ্বিতীয় জানাজা হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে তার নিজ বাসভবনে। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিককে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১ অক্টোবর) বার্ধক্যজনিত জটিলতায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের এই প্রথিতযশা সাংবাদিক।
আরএ/