ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক সংবর্ধনা
‘ঐক্য ও অগ্রগতির ২৭ বছর’ স্লোগানে উদযাপিত হল রাজধানীর পেশাদার রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় এ সময় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিকালে দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন ছিল সংগঠনের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকদের সংবর্ধনা। সরকারের সমন্বিত তালিকা অনুযায়ী ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন- মৃণাল কৃষ্ণ রায়, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, হারুন হাবীব, মোস্তাক আহমেদ মোবারকী, শফিকুল বাশার চপল, কার্তিক চ্যাটার্জী, আকরাম হোসেন খান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া,স্বপন দাশ গুপ্ত, শাহজাহান সরদার, তালুকদার হারুন, শংকর কুমার দে ও হালিম আজাদ।
নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাংবাদিকরা দেশে-বিদেশে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জাতি এ বীরদের আজীবন স্মরণ করবে। যারা কলম সৈনিক, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা চরমপত্র লিখেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। কারণ মুক্তিযোদ্ধা শুধু একদিক থেকে নয়, সার্বিক দিক থেকে সবকিছু মিলিয়েই মুক্তিযোদ্ধা।
স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে-বিদেশে যে সাংবাদিকতা হয়েছিল সে সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, দালিলিকভাবে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যারা জীবিত আছেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব প্রবাহিত হবে বলেও এ সময় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে অনেকেই সামনের সারিতে থেকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে ছিলেন। তাদের সম্মান করতে পেরে আমরা গর্বিত।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে ঘোড়ার গাড়ি ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ডিআরইউ চত্বর থেকে বের হয়ে বারডেম হাসপাতাল (মহিলা ও শিশু) ও শিল্পকলা একডেমি মোড় ঘুরে ডিআরইউ চত্বরে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে কেক কাটা হয়। এছাড়া ডিআরইউ সদস্য ও পরিবারের জন্য দিনব্যাপী বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প ও সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এপি/