মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না: মাহফুজ আনাম

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। গণতন্ত্রকে হত্যা করা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে মনে করি।’

‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শনিবার ১৪ মে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনের চামেলী হাউজে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

মাহফুজ আনাম বলেন, ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যম দমনে এত আইন কেন? আমরা এমন কি করি যার জন্য এত আইন দিয়ে আমাদের বেঁধে দিতে হবে ? চলমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতা পেশাকে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সাংবাদিক দমন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণে তৈরি আইন যদি সংশোধন না হয় তাহলে আমাদেরকে তা বাতিলের পথে যেতে হবে।’

‘আইন তৈরিতে যেমন স্বচ্ছতা নেই, সরকারেরও স্বচ্ছতা নেই’ দাবি করে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমরা এ দেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি চাই। এত প্রতিবন্ধকতার পরও আমরা সাংবাদিকতা করে যাচ্ছি। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা, সাংবাদিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় যথাযথ চেষ্টা অব্যাহত রাখবে সম্পাদক পরিষদ। অচিরেই আমরা এ বিষয়ে একটি কাঠামোর প্রস্তাব তৈরিতে উদ্যোগ নেব।’

সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি একে আজাদ বলেন, ‘সংবাদপত্র জগত এখন সংকুচিত। নজরদারি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আমি আইনি, বেআইনি- নতুন আইন তৈরিতে কোনো প্রকারভাবে সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করছে কিনা এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি কাঠামো দাঁড় করার জন্য সম্পাদক পরিষদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এই বিষয়ে আমাদের সম্মিলিতভাবে একটি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সাংবাদিকরা এককভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে না, সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা যদি নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে ভালো সাংবাদিকতা করি তাহলে নাগরিক সমাজও সম্পৃক্ত হবে বলে আশাবাদী।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ৫০ বছরে একজন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় নাই। আইনের প্রয়োজন আছে তবে বিচারিক প্রয়োগের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা দরকার আছে।’

‘টেলিভিশন সাংবাদিকতার জন্য কোন আইন নেই ফলে আইনগত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। যে আইন রয়েছে তার যখন প্রয়োজন পড়ে তখন ব্যবহার করা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘দেশে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা সমস্যা শতভাগ রাজনৈতিক সমস্যা, এটা সবার বোঝা দরকার যদি আমরা এর সমাধান করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারের আমলেই গণতন্ত্র নিরঙ্কুশভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। অবরুদ্ধ থেকে মুক্তির জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াই সংঘবদ্ধভাবে করা দরকার।’

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘লিখতে পারি কিন্তু যা লিখতে চাই তা পারছি কি না সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুক্ত সাংবাদিকতা করতে চাই, সাংবাদিক ইউনিয়ন বিভক্ত হলেও সবাইকেই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সরকার যতদিন খুশি থাকুক তাতে সমস্যা নাই। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সম্পাদক পরিষদের নেতাদের কাছে দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সরকার নজরদারি করে আর আমরা যদি নীতি নৈতিকতায় টিক না থাকি তাহলে সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে না। সাংবাদিকতা ও রাজনীতি পাশাপাশি জড়িত হওয়ার ফলে সমস্যার সম্মুখীন, যারা সংগঠনের কর্মীদের রুটি রোজগারে সোচ্চার সেই আমরাই বিভক্ত।’

 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আরেক অংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়েও মাঠের সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না বলেই এই দেশে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন ‘কণ্ঠরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮। এটি সাংবাদিকসহ দেশের মানুষকে ভয় দেখানোর ফাঁদ। সবচেয়ে বড় সংকটে বাক স্বাধীনতায়। এটাকে আমি আইন বলতে চাই না। সভ্য সমাজে এই কালো আইন ও অসভ্য আইন বাতিলের দাবি জানাই।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়ার পরও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮ আইন পাস করেছে। ফলে অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রয়োজন আছে তবে সেই আইন যুগ উপযোগী করতে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য করা হয়রানিমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করতে হবে।’

এমএইচ/এপি

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য