শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না: মাহফুজ আনাম

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। গণতন্ত্রকে হত্যা করা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে মনে করি।’

‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শনিবার ১৪ মে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনের চামেলী হাউজে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

মাহফুজ আনাম বলেন, ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যম দমনে এত আইন কেন? আমরা এমন কি করি যার জন্য এত আইন দিয়ে আমাদের বেঁধে দিতে হবে ? চলমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতা পেশাকে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সাংবাদিক দমন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণে তৈরি আইন যদি সংশোধন না হয় তাহলে আমাদেরকে তা বাতিলের পথে যেতে হবে।’

‘আইন তৈরিতে যেমন স্বচ্ছতা নেই, সরকারেরও স্বচ্ছতা নেই’ দাবি করে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমরা এ দেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি চাই। এত প্রতিবন্ধকতার পরও আমরা সাংবাদিকতা করে যাচ্ছি। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা, সাংবাদিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় যথাযথ চেষ্টা অব্যাহত রাখবে সম্পাদক পরিষদ। অচিরেই আমরা এ বিষয়ে একটি কাঠামোর প্রস্তাব তৈরিতে উদ্যোগ নেব।’

সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি একে আজাদ বলেন, ‘সংবাদপত্র জগত এখন সংকুচিত। নজরদারি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আমি আইনি, বেআইনি- নতুন আইন তৈরিতে কোনো প্রকারভাবে সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করছে কিনা এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি কাঠামো দাঁড় করার জন্য সম্পাদক পরিষদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এই বিষয়ে আমাদের সম্মিলিতভাবে একটি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সাংবাদিকরা এককভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে না, সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা যদি নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে ভালো সাংবাদিকতা করি তাহলে নাগরিক সমাজও সম্পৃক্ত হবে বলে আশাবাদী।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ৫০ বছরে একজন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় নাই। আইনের প্রয়োজন আছে তবে বিচারিক প্রয়োগের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা দরকার আছে।’

‘টেলিভিশন সাংবাদিকতার জন্য কোন আইন নেই ফলে আইনগত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। যে আইন রয়েছে তার যখন প্রয়োজন পড়ে তখন ব্যবহার করা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘দেশে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা সমস্যা শতভাগ রাজনৈতিক সমস্যা, এটা সবার বোঝা দরকার যদি আমরা এর সমাধান করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারের আমলেই গণতন্ত্র নিরঙ্কুশভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। অবরুদ্ধ থেকে মুক্তির জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াই সংঘবদ্ধভাবে করা দরকার।’

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘লিখতে পারি কিন্তু যা লিখতে চাই তা পারছি কি না সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুক্ত সাংবাদিকতা করতে চাই, সাংবাদিক ইউনিয়ন বিভক্ত হলেও সবাইকেই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সরকার যতদিন খুশি থাকুক তাতে সমস্যা নাই। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সম্পাদক পরিষদের নেতাদের কাছে দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সরকার নজরদারি করে আর আমরা যদি নীতি নৈতিকতায় টিক না থাকি তাহলে সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে না। সাংবাদিকতা ও রাজনীতি পাশাপাশি জড়িত হওয়ার ফলে সমস্যার সম্মুখীন, যারা সংগঠনের কর্মীদের রুটি রোজগারে সোচ্চার সেই আমরাই বিভক্ত।’

 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আরেক অংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়েও মাঠের সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না বলেই এই দেশে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন ‘কণ্ঠরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮। এটি সাংবাদিকসহ দেশের মানুষকে ভয় দেখানোর ফাঁদ। সবচেয়ে বড় সংকটে বাক স্বাধীনতায়। এটাকে আমি আইন বলতে চাই না। সভ্য সমাজে এই কালো আইন ও অসভ্য আইন বাতিলের দাবি জানাই।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়ার পরও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮ আইন পাস করেছে। ফলে অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রয়োজন আছে তবে সেই আইন যুগ উপযোগী করতে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য করা হয়রানিমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করতে হবে।’

এমএইচ/এপি

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী

ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চিত্রনায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২) ।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোর রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসমাইল জমাদ্দার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে।

নিহত ইসমাইল হোসেনের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ইসমাইল ও তার বন্ধু মনির। শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইসমাইলের বন্ধু মনিরকে ঢাকা মেডিকেল থেকে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মনিরের একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। মনির এখনো ওই হাসপাতালেই আছেন, বলে জানান তিনি।

শুক্রবার রাতে ইসমাইলের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তার চাচা।

এ বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, শুক্রবার ভোর রাতের কোন এক সময়ে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি দুর্ঘটনায় ইসমাইল হোসেন জমাদার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ শনাক্তের পর পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫