বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমাকে থিতু করো

এক
জলেই প্রথম দেখেছিলাম মেয়েটাকে। তাই জল দেখলেই তার কথা মনে পড়ে যায়। জলে অর্থাৎ বিলের থকথকে নীল জলে স্নান করার মুহূর্তে তাকে এক ঝলক দেখেছিলাম। ফিরিয়ে নিয়ে ছিলাম সহবতে। চোখে পড়েছিল ফর্সা টুকটুকে মুখটা। মনের সেলফোনে ঠিক করে নিয়েছিলাম। সুন্দর কে না ভালোবাসে। ব্যাস এইটুকুই তারপর ফেরিঘাট হয়ে তাকে মন থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম।

গন্তব্য ছিল ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়। গ্রাম ও পোস্ট -ভগীরথপুর, থানা- ডোমকল, জেলা- মুর্শিদাবাদ। এমনটাই ঠিকানা ছিল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে। এদিকে ইস্তক কখনো আসিনি এ জন্মে।

নেহাত কর্মস্থানের নির্বাচিত হওয়ার কারণে এই যাত্রা। বাবা যাবতীয় খোঁজ নিয়ে জেনেছে পথ নির্দেশিকা। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাস ধরে যেতে হবে সুন্দরপুর ঘাট। একেবারে ফেরিঘাটের ধারে এসে বাস নামিয়ে দিল। জানতে পারলাম এটাই এ বাসের লাস্ট রুট। কন্ডাক্টার ছেলেটি বুঝিয়ে দিল, 'একটু হেঁটে ফেরিঘাট পাবেন। পার হলে টুকটুক গাড়ি ধরবেন। দশ মিনিট পর ভগীরথপুর স্কুল'।

সেভাবেই গেছিলাম স্কুলে জয়েন করতে। বন্ধু অনির্বাণকে নিতে চেয়েছিলাম। বাবা বলেছিলেন সঙ্গে ছোট মামাকে নিয়ে যেতে, উনি অবসরপ্রাপ্ত। অগত্যা মামা দোসর হলেন। সেই যাত্রাপথে সেদিন ফেরিঘাট দেখেছিলাম তাতে সম্ভবত পাশের গ্রামের মেয়েরা ও শিশুরা স্নান করছিল। বুঝেছিলাম, দেহাতি এলাকা। এটা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রাম৷ আজানের সুর ভাসছিল। বাস থেকে ঘুরে একই সময়ে।

'কী ভাবছেন স্যার?' রাওফুন্নেসার ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম।
--'ওহো তোমার খাতাটা দাও।'  একটু হোঁচট খেলাম আমি।
এই সেই ফেরিঘাটে দেখা মেয়েটি। নাম রাওফুন্নেসা খাতুন। সাইন্সের ছাত্রী, ক্লাস টুয়েলভ। ওর বাড়ি পাশে ফতেপুর গ্রামে।

আমি এখন ক্লাস টুয়েলভের ব্যাচ পড়াচ্ছি ৷ টিউশন পড়াতে চাইনি এখানকার কয়েকজন অভিভাবকদের দৌরাত্ম্যে সপ্তাহে দুইদিন বরাদ্দ করতে হয়েছে। এটা রাউফুন্নেসার বাড়ি। ওর বাবা শিক্ষিত ব্যবসায়ী। চুয়ান্ন বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে গত হয়েছেন।

মেয়েটি মেধাবী। পনেরজনের এই ব্যাচে ওই এক্সট্রা অর্ডিনারি। আমার বাড়ি অবশ্য এখানকার হেডস্যার ঠিক করে দিয়েছেন। ভগীরথপুরের হিন্দুপাড়ার একটা ভাড়া বাড়িতে। নিজের প্রয়োজনে একটি প্লাটিনাম টু হুইলার নিয়েছি। একা মানুষ স্বচ্ছন্দ জীবন ,মাকে আনতে চেয়েছিলাম এখানে৷ বাবা আনতে দেননি। মা বাবাকে চেনেন তো ,একটু একা ভাত বেড়ে খাননি কোনোদিন। আমিও সহমত পোষণ করেছি।

--'আজতো তোদের আজ পড়াব না একটু কাজ আছে'৷ ওদের ভাগিয়ে দিলাম আজ।
বুঝি, এভাবে একটু ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেলে ওরা লুফে নেয়। একে একে ওরা সবাই চলে গেছে রাওফুন্নেসা অবশ্য আমার স্কুলের ছাত্রী। সে সৌজন্যতা দেখিয়ে গেছে, 'স্যার আজ স্কুলে যাচ্ছেন তো?'

স্কুলে গেছিলাম ভালো লাগছিল না। আজ ক্লাসে কিছুটা হলেও ফাঁকি দিয়েছি। ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ভয় পায়। ওদের গুঞ্জন শুনেছি, ওই দেখ সুদীপ্ত স্যার আসছেন। সবাই সাবধান কিন্তু।

টিউশন ক্লাসে আমি থাকা অব্দি কেউ কারোর দিকে নজর রাখতে পারে না। সেই আমার আজ মনটা বিষণ্ণ। এ কী নস্টালজিয়া? দু'বছর হলো এখানে শিক্ষকতা করছি। জানি না ট্রান্সফার হবে না। তবুও চেস্টা রাখব মিউচুয়াল ট্রান্সফারের।

সেই বাঘা যতীনের বিকেলগুলো ফেলে এসে আজ এখানে একা। সুযোগ পেতে নদার্ন জোনে পরীক্ষায় বসেছিলাম।

ব্যাস ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে গেল। কিন্তু তা বলে এভাবে এখানে একা থাকাটা বেশ কষ্টকর। অরিন্দম, ভাস্কর, জ্যোতি, অরিত্র, জিয়া হাসান ওদের সঙ্গে আজ আড্ডা মারার সুযোগ ঘটে না। মাসে একদিন আড্ডা। ছুটি পেলে কলকাতা যাই। স্বদেশে ফিরে স্বচ্ছন্দ অনুভব করি। বাবা-মা বন্ধু সহপাঠীদের সঙ্গে দিন গুজরান। কিন্তু এখানে একাকী মনে হয় সহকর্মীদের সাহচর্য ততটা প্রসন্নতা দিতে পারে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সদ্ভাব থাকলেও নিজের আকাশ মেলে ধরার মতো তেমন কাউকে পাইনি।

দুই
স্কুলে আমার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। তিন বছর পূর্ণ হলো, ট্রান্সফারের জন্য স্বজন খুঁজেছিলাম পাইনি। অগত্যা সেভাবেই থেকে গেছি ৷ একাকী ৷ টিউশন ভালো লাগে না। ওই সব পর্ব মিটিয়ে দিয়েছি ৷ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আবেদন জানালেও সে আবেদনে সাড়া দিইনি।

এই বেশ আছি। এক আধটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন যাবত। ও সব আমার আসে না। আবেগের সঙ্গে যুক্তি মেলাতে পারি না। তা ছাড়া ইদানিং কালের কবিতা চর্চার ধারাটাকে কোনোদিন রপ্ত করার চেষ্টা করিনি। বহরমপুরের দুই একজন কবি বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে বলেছি, ওটা আমার কম্ম নয়। আমি যে কী ভালোবাসি কী ভালোবাসি না সেটা নিজেও কোনোদিন অনুধাবন করিনি। মা হা-হুতাশ করেছেন বহুবার --তুই যে কী চাস সেটা আজও বুঝলাম না। বিয়ের জন্য কয়েকবার পীড়াপীড়ি করেছিলেন। আমি অব্যাহতি চেয়েছি। আগে মেয়ে পছন্দের জায়গাটা অর্জন করি, তারপর। ভেবেছি স্কুল বদলের জন্য এবার অন্য জোনে পরীক্ষায় বসব। সে তো ঝুলে গেছে। এসএসসিতে নিয়োগ নেই। কী যে করি! ইচ্ছামতো এদিক-ওদিক বেড়াতে যেতে পারি না শিক্ষক হিসেবে একটা তকমা আঁটা হয়ে গেছে যে। লোকে ঠাট্টার চোখে দেখবে তার মধ্যেও ছল ছুতোয় বেড়ানোর চেষ্টা করি।

নতুন সেশন শুরু হয়েছে। এখন মার্চ চলছে। ছুটিছাটা তেমন নেই। তাই কলকাতা যেতে পারিনি। কোনো মাসে শনিবার ট্রেন ধরে গেলে রবিবার রাতে ফিরতে হয়। বিরক্তিকর জার্নি তাই যাইনি।

খেয়ালের বশবর্তী হয়ে আজ দরকারে বিকালে বেরিয়ে পড়লাম, খেয়া ঘাটের ওপারে যাব নিজাম উদ্দিন স্যারের বাড়িতে। উনার ছোট ছেলের খৎনার দাওয়াত দিয়েছেন। ইচ্ছে না থাকলেও সম্ভ্রম রাখতে যেতেই হবে ৷

মোটরবাইকে এগোচ্ছি নদীর অভিমুখে। অদূরে জল ছলছল করছে। মনে পড়ে গেল রাওফুন্নেসার কথা। এখানেই একদিন ওকে প্রথম দেখেছিলাম আজ আর যোগাযোগ নেই। জানি না বিএসসি শেষ করেছে কিনা নাকি হায়ার স্টাডির জন্য এখন অন্যত্র। খোঁজ নেবার চেষ্টা করেনি কোনোদিন। সে ছিল আমার দু'বছরের শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছিল ফার্স্ট ডিভিশনে। পাস করে দেখা করতে এসেছিল। আনন্দ পেয়েছিলাম সহবতে। ব্যাস, তারপরে সব ঝাপসা।

আজ কেন জানি না ওর কথা মনে পড়ছে। একটু থিতু হই। এখানে নৌকা পারাপার বলে কিছু নেই সাজানো বাসের উপর দিয়ে সমস্ত ছোট গাড়ি ও মানুষজন পারাপার করে। তাই অপেক্ষার সিঁড়ি ভাঙতে হয় না। কিন্তু আমি একটু দাঁড়িয়ে পড়লাম পারঘাটার উপকণ্ঠে। পরিচিত মানুষরা সৌজন্যতা দেখিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি কেন দাঁড়িয়ে আছি জানি না!

আবার কি এই জল ভেঙে সেদিনের মতো রাওফুন্নেসা উঠে আসবে? সিক্ত শরীরে সমস্ত পোশাক সামলে দাঁড়িয়ে বলবে, 'স্যার ভালো আছেন?' 
মনে মনে হেসে উঠি, অবান্তর ভাবনার অবকাশে ৷
আমি উন্মাদ হয়ে গেছি কি?
ভাবনার সমস্ত দেয়াল ভেঙে এই নদীর কাছে গিয়ে এইবার বলব, এখানে আর নয়। হে নদী, আমাকে থিতু করো।

এসজি

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২