বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমাকে থিতু করো

এক
জলেই প্রথম দেখেছিলাম মেয়েটাকে। তাই জল দেখলেই তার কথা মনে পড়ে যায়। জলে অর্থাৎ বিলের থকথকে নীল জলে স্নান করার মুহূর্তে তাকে এক ঝলক দেখেছিলাম। ফিরিয়ে নিয়ে ছিলাম সহবতে। চোখে পড়েছিল ফর্সা টুকটুকে মুখটা। মনের সেলফোনে ঠিক করে নিয়েছিলাম। সুন্দর কে না ভালোবাসে। ব্যাস এইটুকুই তারপর ফেরিঘাট হয়ে তাকে মন থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম।

গন্তব্য ছিল ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়। গ্রাম ও পোস্ট -ভগীরথপুর, থানা- ডোমকল, জেলা- মুর্শিদাবাদ। এমনটাই ঠিকানা ছিল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে। এদিকে ইস্তক কখনো আসিনি এ জন্মে।

নেহাত কর্মস্থানের নির্বাচিত হওয়ার কারণে এই যাত্রা। বাবা যাবতীয় খোঁজ নিয়ে জেনেছে পথ নির্দেশিকা। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাস ধরে যেতে হবে সুন্দরপুর ঘাট। একেবারে ফেরিঘাটের ধারে এসে বাস নামিয়ে দিল। জানতে পারলাম এটাই এ বাসের লাস্ট রুট। কন্ডাক্টার ছেলেটি বুঝিয়ে দিল, 'একটু হেঁটে ফেরিঘাট পাবেন। পার হলে টুকটুক গাড়ি ধরবেন। দশ মিনিট পর ভগীরথপুর স্কুল'।

সেভাবেই গেছিলাম স্কুলে জয়েন করতে। বন্ধু অনির্বাণকে নিতে চেয়েছিলাম। বাবা বলেছিলেন সঙ্গে ছোট মামাকে নিয়ে যেতে, উনি অবসরপ্রাপ্ত। অগত্যা মামা দোসর হলেন। সেই যাত্রাপথে সেদিন ফেরিঘাট দেখেছিলাম তাতে সম্ভবত পাশের গ্রামের মেয়েরা ও শিশুরা স্নান করছিল। বুঝেছিলাম, দেহাতি এলাকা। এটা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রাম৷ আজানের সুর ভাসছিল। বাস থেকে ঘুরে একই সময়ে।

'কী ভাবছেন স্যার?' রাওফুন্নেসার ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম।
--'ওহো তোমার খাতাটা দাও।'  একটু হোঁচট খেলাম আমি।
এই সেই ফেরিঘাটে দেখা মেয়েটি। নাম রাওফুন্নেসা খাতুন। সাইন্সের ছাত্রী, ক্লাস টুয়েলভ। ওর বাড়ি পাশে ফতেপুর গ্রামে।

আমি এখন ক্লাস টুয়েলভের ব্যাচ পড়াচ্ছি ৷ টিউশন পড়াতে চাইনি এখানকার কয়েকজন অভিভাবকদের দৌরাত্ম্যে সপ্তাহে দুইদিন বরাদ্দ করতে হয়েছে। এটা রাউফুন্নেসার বাড়ি। ওর বাবা শিক্ষিত ব্যবসায়ী। চুয়ান্ন বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে গত হয়েছেন।

মেয়েটি মেধাবী। পনেরজনের এই ব্যাচে ওই এক্সট্রা অর্ডিনারি। আমার বাড়ি অবশ্য এখানকার হেডস্যার ঠিক করে দিয়েছেন। ভগীরথপুরের হিন্দুপাড়ার একটা ভাড়া বাড়িতে। নিজের প্রয়োজনে একটি প্লাটিনাম টু হুইলার নিয়েছি। একা মানুষ স্বচ্ছন্দ জীবন ,মাকে আনতে চেয়েছিলাম এখানে৷ বাবা আনতে দেননি। মা বাবাকে চেনেন তো ,একটু একা ভাত বেড়ে খাননি কোনোদিন। আমিও সহমত পোষণ করেছি।

--'আজতো তোদের আজ পড়াব না একটু কাজ আছে'৷ ওদের ভাগিয়ে দিলাম আজ।
বুঝি, এভাবে একটু ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেলে ওরা লুফে নেয়। একে একে ওরা সবাই চলে গেছে রাওফুন্নেসা অবশ্য আমার স্কুলের ছাত্রী। সে সৌজন্যতা দেখিয়ে গেছে, 'স্যার আজ স্কুলে যাচ্ছেন তো?'

স্কুলে গেছিলাম ভালো লাগছিল না। আজ ক্লাসে কিছুটা হলেও ফাঁকি দিয়েছি। ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ভয় পায়। ওদের গুঞ্জন শুনেছি, ওই দেখ সুদীপ্ত স্যার আসছেন। সবাই সাবধান কিন্তু।

টিউশন ক্লাসে আমি থাকা অব্দি কেউ কারোর দিকে নজর রাখতে পারে না। সেই আমার আজ মনটা বিষণ্ণ। এ কী নস্টালজিয়া? দু'বছর হলো এখানে শিক্ষকতা করছি। জানি না ট্রান্সফার হবে না। তবুও চেস্টা রাখব মিউচুয়াল ট্রান্সফারের।

সেই বাঘা যতীনের বিকেলগুলো ফেলে এসে আজ এখানে একা। সুযোগ পেতে নদার্ন জোনে পরীক্ষায় বসেছিলাম।

ব্যাস ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে গেল। কিন্তু তা বলে এভাবে এখানে একা থাকাটা বেশ কষ্টকর। অরিন্দম, ভাস্কর, জ্যোতি, অরিত্র, জিয়া হাসান ওদের সঙ্গে আজ আড্ডা মারার সুযোগ ঘটে না। মাসে একদিন আড্ডা। ছুটি পেলে কলকাতা যাই। স্বদেশে ফিরে স্বচ্ছন্দ অনুভব করি। বাবা-মা বন্ধু সহপাঠীদের সঙ্গে দিন গুজরান। কিন্তু এখানে একাকী মনে হয় সহকর্মীদের সাহচর্য ততটা প্রসন্নতা দিতে পারে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সদ্ভাব থাকলেও নিজের আকাশ মেলে ধরার মতো তেমন কাউকে পাইনি।

দুই
স্কুলে আমার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। তিন বছর পূর্ণ হলো, ট্রান্সফারের জন্য স্বজন খুঁজেছিলাম পাইনি। অগত্যা সেভাবেই থেকে গেছি ৷ একাকী ৷ টিউশন ভালো লাগে না। ওই সব পর্ব মিটিয়ে দিয়েছি ৷ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আবেদন জানালেও সে আবেদনে সাড়া দিইনি।

এই বেশ আছি। এক আধটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন যাবত। ও সব আমার আসে না। আবেগের সঙ্গে যুক্তি মেলাতে পারি না। তা ছাড়া ইদানিং কালের কবিতা চর্চার ধারাটাকে কোনোদিন রপ্ত করার চেষ্টা করিনি। বহরমপুরের দুই একজন কবি বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে বলেছি, ওটা আমার কম্ম নয়। আমি যে কী ভালোবাসি কী ভালোবাসি না সেটা নিজেও কোনোদিন অনুধাবন করিনি। মা হা-হুতাশ করেছেন বহুবার --তুই যে কী চাস সেটা আজও বুঝলাম না। বিয়ের জন্য কয়েকবার পীড়াপীড়ি করেছিলেন। আমি অব্যাহতি চেয়েছি। আগে মেয়ে পছন্দের জায়গাটা অর্জন করি, তারপর। ভেবেছি স্কুল বদলের জন্য এবার অন্য জোনে পরীক্ষায় বসব। সে তো ঝুলে গেছে। এসএসসিতে নিয়োগ নেই। কী যে করি! ইচ্ছামতো এদিক-ওদিক বেড়াতে যেতে পারি না শিক্ষক হিসেবে একটা তকমা আঁটা হয়ে গেছে যে। লোকে ঠাট্টার চোখে দেখবে তার মধ্যেও ছল ছুতোয় বেড়ানোর চেষ্টা করি।

নতুন সেশন শুরু হয়েছে। এখন মার্চ চলছে। ছুটিছাটা তেমন নেই। তাই কলকাতা যেতে পারিনি। কোনো মাসে শনিবার ট্রেন ধরে গেলে রবিবার রাতে ফিরতে হয়। বিরক্তিকর জার্নি তাই যাইনি।

খেয়ালের বশবর্তী হয়ে আজ দরকারে বিকালে বেরিয়ে পড়লাম, খেয়া ঘাটের ওপারে যাব নিজাম উদ্দিন স্যারের বাড়িতে। উনার ছোট ছেলের খৎনার দাওয়াত দিয়েছেন। ইচ্ছে না থাকলেও সম্ভ্রম রাখতে যেতেই হবে ৷

মোটরবাইকে এগোচ্ছি নদীর অভিমুখে। অদূরে জল ছলছল করছে। মনে পড়ে গেল রাওফুন্নেসার কথা। এখানেই একদিন ওকে প্রথম দেখেছিলাম আজ আর যোগাযোগ নেই। জানি না বিএসসি শেষ করেছে কিনা নাকি হায়ার স্টাডির জন্য এখন অন্যত্র। খোঁজ নেবার চেষ্টা করেনি কোনোদিন। সে ছিল আমার দু'বছরের শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছিল ফার্স্ট ডিভিশনে। পাস করে দেখা করতে এসেছিল। আনন্দ পেয়েছিলাম সহবতে। ব্যাস, তারপরে সব ঝাপসা।

আজ কেন জানি না ওর কথা মনে পড়ছে। একটু থিতু হই। এখানে নৌকা পারাপার বলে কিছু নেই সাজানো বাসের উপর দিয়ে সমস্ত ছোট গাড়ি ও মানুষজন পারাপার করে। তাই অপেক্ষার সিঁড়ি ভাঙতে হয় না। কিন্তু আমি একটু দাঁড়িয়ে পড়লাম পারঘাটার উপকণ্ঠে। পরিচিত মানুষরা সৌজন্যতা দেখিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি কেন দাঁড়িয়ে আছি জানি না!

আবার কি এই জল ভেঙে সেদিনের মতো রাওফুন্নেসা উঠে আসবে? সিক্ত শরীরে সমস্ত পোশাক সামলে দাঁড়িয়ে বলবে, 'স্যার ভালো আছেন?' 
মনে মনে হেসে উঠি, অবান্তর ভাবনার অবকাশে ৷
আমি উন্মাদ হয়ে গেছি কি?
ভাবনার সমস্ত দেয়াল ভেঙে এই নদীর কাছে গিয়ে এইবার বলব, এখানে আর নয়। হে নদী, আমাকে থিতু করো।

এসজি

Header Ad
Header Ad

ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা

অভিযুক্ত মো. মোত্তাকিম। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহিন জোয়াদ্দার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। হামলায় তার দুটি দাঁত ভেঙে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জরুরি অপারেশন করতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহীন জোয়ার্দারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শহর ছাত্রলীগ কর্মী মো. মোত্তাকিমের নেতৃত্বে ৬-৭ জন মুখোশধারী যুবক হেলমেট, হকি স্টিক, এবং এসএস পাইপ নিয়ে শাহীন জোয়ার্দারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় চিকিৎসকের দুটি দাঁত ভেঙে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে জরুরি অপারেশন করতে হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোত্তাকিম ফরিদপুরের জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছেন। এছাড়া, তিনি শহর ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় হাসপাতালে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় অসাবধানতাবশত শাহীন জোয়ার্দার ও মোত্তাকিমের ধাক্কা লাগা নিয়ে। প্রথমে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মোত্তাকিম তার সহযোগীদের নিয়ে ফিরে এসে শাহীন জোয়ার্দারকে মারধর করে।

এ ঘটনায় উত্তেজিত চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন। একজন সন্দেহভাজনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা বলেছেন, “ডা. শাহীন জোয়ার্দার একজন সম্মানিত অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ। প্রকাশ্যে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Header Ad
Header Ad

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সাতজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতের নাম আকাশ মন্ডল ইরফান।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব-১১ কুমিল্লা থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, চাঞ্চল্যকর জাহাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরফান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুপুরে কুমিল্লায় র‌্যাব-১১ এ বিষয়ে একটি ব্রিফিং করবে।

মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া সাতজনের হত্যার ঘটনায় হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী এবং বাবুর্চি রানা কাজী। আহত সুকানী মো. জুয়েল (২৮), যিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জুয়েলের গলায় গভীর আঘাত থাকায় তিনি কথা বলতে পারছেন না। তবে ইশারায় জানায়, তিনি ডাকাতদল দেখলে চিনতে পারবেন। এছাড়া ইরফান নামে আরেকজনের উপস্থিতির তথ্যও জুয়েল লিখে জানিয়েছেন, যদিও তার সঠিক ঠিকানা দিতে পারেননি।

পুলিশ তদন্তে জাহাজ থেকে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি মানিব্যাগ, একটি বাংলা খাতা, একটি সীল, এবং একটি হেডফোন উদ্ধার করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসন নিহত ছয়জনের মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার চেক এবং নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনার তদন্তে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, এবং নৌপুলিশ সমন্বয়ে আরেকটি আলাদা তদন্ত কমিটি কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

আবারও চিরকুটে ভাঙন, ব্যান্ড ছাড়লেন জাহিদ নিরব

ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট আবারও ভাঙনের মুখে। পিন্টু ঘোষ ও ইমন চৌধুরীর পর এবার দল ছেড়েছেন ব্যান্ডটির কি-বোর্ডিস্ট জাহিদ নিরব।

জাহিদ নিরব ২০১৫ সালে চিরকুট ব্যান্ডে যোগ দেন। ড্রামার পাভেল আরিনের হাত ধরে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘দুনিয়া’-তে হারমোনিয়াম বাজিয়ে তার যাত্রা শুরু। তবে নয় বছরের পথচলা শেষে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নতুন গান প্রকাশের দিনই জানা গেল তার দল ছাড়ার খবর। চিরকুটের অন্যতম সদস্য শারমিন সুলতানা সুমি বিষয়টি নিশ্চিত করে তাকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

জাহিদ নিরব। ছবি: সংগৃহীত

জাহিদ নিরব শুধু ব্যান্ড নয়, বিজ্ঞাপন এবং চলচ্চিত্রের সংগীতেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় তিন শতাধিক বিজ্ঞাপনের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। এছাড়াও ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজের আবহসংগীতের কাজ করেছেন। ‘মহানগর’, ‘মুন্সিগিরি’, ও ‘দ্য ডার্ক সাইড অব ঢাকা’র মতো কাজের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন।

সিনেমায়ও তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ‘পরাণ’ সিনেমার আবহসংগীত ও ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমার থিম সং ‘শোনাতে এসেছি আজ পদ্মাপুরাণ’ তার সুর ও কম্পোজিশনে নির্মিত। বর্তমানে তিনি পরীমণির ‘প্রীতিলতা’, আরিফিন শুভর ‘নূর’, এবং অমিতাভ রেজার ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’র সংগীতের কাজ করছেন।

অন্যদিকে, ব্যান্ডের ভাঙনের মধ্যেই চিরকুট তাদের নতুন গান ‘জানা হলো না’ প্রকাশ করেছে। গানটির কথা, সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন শারমিন সুলতানা সুমি, সাউন্ড প্রোডাকশন করেছেন পাভেল আরিন। আগামী বছর ব্যান্ডটির চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশেরও ঘোষণা রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে চিরকুট ব্যান্ড থেকে বিদায় নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পিন্টু ঘোষ এবং পরবর্তীতে ইমন চৌধুরী। উভয়ের ক্ষেত্রেই একক ক্যারিয়ারের কারণ দেখালেও বিদায়ের পেছনে অন্য কারণের ইঙ্গিত ছিল। এবার জাহিদ নিরবের প্রস্থানে ব্যান্ডটির নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
আবারও চিরকুটে ভাঙন, ব্যান্ড ছাড়লেন জাহিদ নিরব
আজ শুভ বড়দিন
আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
যার যার ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
গণহত্যায় জড়িতদের বিএনপিতে নেওয়া হবেনা: মির্জা ফখরুল
কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী
প্রেমিকাকে বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস
পদ্মা সেতু ও নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনরায় তদন্ত করবে দুদক
বড় পরিবর্তন আসছে আইইএলটিএস পরীক্ষায়, ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশি
আওয়ামী লীগ এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিমানবন্দরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আটক
উদ্বোধনের দিনেই বগি সেটে সমস্যা, শিডিউল বিপর্যয়ে ‘রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস’
গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিরাপদ পানির নামে ৪ কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি
১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু