সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আমাকে থিতু করো

এক
জলেই প্রথম দেখেছিলাম মেয়েটাকে। তাই জল দেখলেই তার কথা মনে পড়ে যায়। জলে অর্থাৎ বিলের থকথকে নীল জলে স্নান করার মুহূর্তে তাকে এক ঝলক দেখেছিলাম। ফিরিয়ে নিয়ে ছিলাম সহবতে। চোখে পড়েছিল ফর্সা টুকটুকে মুখটা। মনের সেলফোনে ঠিক করে নিয়েছিলাম। সুন্দর কে না ভালোবাসে। ব্যাস এইটুকুই তারপর ফেরিঘাট হয়ে তাকে মন থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম।

গন্তব্য ছিল ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়। গ্রাম ও পোস্ট -ভগীরথপুর, থানা- ডোমকল, জেলা- মুর্শিদাবাদ। এমনটাই ঠিকানা ছিল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে। এদিকে ইস্তক কখনো আসিনি এ জন্মে।

নেহাত কর্মস্থানের নির্বাচিত হওয়ার কারণে এই যাত্রা। বাবা যাবতীয় খোঁজ নিয়ে জেনেছে পথ নির্দেশিকা। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাস ধরে যেতে হবে সুন্দরপুর ঘাট। একেবারে ফেরিঘাটের ধারে এসে বাস নামিয়ে দিল। জানতে পারলাম এটাই এ বাসের লাস্ট রুট। কন্ডাক্টার ছেলেটি বুঝিয়ে দিল, 'একটু হেঁটে ফেরিঘাট পাবেন। পার হলে টুকটুক গাড়ি ধরবেন। দশ মিনিট পর ভগীরথপুর স্কুল'।

সেভাবেই গেছিলাম স্কুলে জয়েন করতে। বন্ধু অনির্বাণকে নিতে চেয়েছিলাম। বাবা বলেছিলেন সঙ্গে ছোট মামাকে নিয়ে যেতে, উনি অবসরপ্রাপ্ত। অগত্যা মামা দোসর হলেন। সেই যাত্রাপথে সেদিন ফেরিঘাট দেখেছিলাম তাতে সম্ভবত পাশের গ্রামের মেয়েরা ও শিশুরা স্নান করছিল। বুঝেছিলাম, দেহাতি এলাকা। এটা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রাম৷ আজানের সুর ভাসছিল। বাস থেকে ঘুরে একই সময়ে।

'কী ভাবছেন স্যার?' রাওফুন্নেসার ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম।
--'ওহো তোমার খাতাটা দাও।'  একটু হোঁচট খেলাম আমি।
এই সেই ফেরিঘাটে দেখা মেয়েটি। নাম রাওফুন্নেসা খাতুন। সাইন্সের ছাত্রী, ক্লাস টুয়েলভ। ওর বাড়ি পাশে ফতেপুর গ্রামে।

আমি এখন ক্লাস টুয়েলভের ব্যাচ পড়াচ্ছি ৷ টিউশন পড়াতে চাইনি এখানকার কয়েকজন অভিভাবকদের দৌরাত্ম্যে সপ্তাহে দুইদিন বরাদ্দ করতে হয়েছে। এটা রাউফুন্নেসার বাড়ি। ওর বাবা শিক্ষিত ব্যবসায়ী। চুয়ান্ন বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে গত হয়েছেন।

মেয়েটি মেধাবী। পনেরজনের এই ব্যাচে ওই এক্সট্রা অর্ডিনারি। আমার বাড়ি অবশ্য এখানকার হেডস্যার ঠিক করে দিয়েছেন। ভগীরথপুরের হিন্দুপাড়ার একটা ভাড়া বাড়িতে। নিজের প্রয়োজনে একটি প্লাটিনাম টু হুইলার নিয়েছি। একা মানুষ স্বচ্ছন্দ জীবন ,মাকে আনতে চেয়েছিলাম এখানে৷ বাবা আনতে দেননি। মা বাবাকে চেনেন তো ,একটু একা ভাত বেড়ে খাননি কোনোদিন। আমিও সহমত পোষণ করেছি।

--'আজতো তোদের আজ পড়াব না একটু কাজ আছে'৷ ওদের ভাগিয়ে দিলাম আজ।
বুঝি, এভাবে একটু ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেলে ওরা লুফে নেয়। একে একে ওরা সবাই চলে গেছে রাওফুন্নেসা অবশ্য আমার স্কুলের ছাত্রী। সে সৌজন্যতা দেখিয়ে গেছে, 'স্যার আজ স্কুলে যাচ্ছেন তো?'

স্কুলে গেছিলাম ভালো লাগছিল না। আজ ক্লাসে কিছুটা হলেও ফাঁকি দিয়েছি। ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ভয় পায়। ওদের গুঞ্জন শুনেছি, ওই দেখ সুদীপ্ত স্যার আসছেন। সবাই সাবধান কিন্তু।

টিউশন ক্লাসে আমি থাকা অব্দি কেউ কারোর দিকে নজর রাখতে পারে না। সেই আমার আজ মনটা বিষণ্ণ। এ কী নস্টালজিয়া? দু'বছর হলো এখানে শিক্ষকতা করছি। জানি না ট্রান্সফার হবে না। তবুও চেস্টা রাখব মিউচুয়াল ট্রান্সফারের।

সেই বাঘা যতীনের বিকেলগুলো ফেলে এসে আজ এখানে একা। সুযোগ পেতে নদার্ন জোনে পরীক্ষায় বসেছিলাম।

ব্যাস ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে গেল। কিন্তু তা বলে এভাবে এখানে একা থাকাটা বেশ কষ্টকর। অরিন্দম, ভাস্কর, জ্যোতি, অরিত্র, জিয়া হাসান ওদের সঙ্গে আজ আড্ডা মারার সুযোগ ঘটে না। মাসে একদিন আড্ডা। ছুটি পেলে কলকাতা যাই। স্বদেশে ফিরে স্বচ্ছন্দ অনুভব করি। বাবা-মা বন্ধু সহপাঠীদের সঙ্গে দিন গুজরান। কিন্তু এখানে একাকী মনে হয় সহকর্মীদের সাহচর্য ততটা প্রসন্নতা দিতে পারে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সদ্ভাব থাকলেও নিজের আকাশ মেলে ধরার মতো তেমন কাউকে পাইনি।

দুই
স্কুলে আমার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। তিন বছর পূর্ণ হলো, ট্রান্সফারের জন্য স্বজন খুঁজেছিলাম পাইনি। অগত্যা সেভাবেই থেকে গেছি ৷ একাকী ৷ টিউশন ভালো লাগে না। ওই সব পর্ব মিটিয়ে দিয়েছি ৷ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আবেদন জানালেও সে আবেদনে সাড়া দিইনি।

এই বেশ আছি। এক আধটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন যাবত। ও সব আমার আসে না। আবেগের সঙ্গে যুক্তি মেলাতে পারি না। তা ছাড়া ইদানিং কালের কবিতা চর্চার ধারাটাকে কোনোদিন রপ্ত করার চেষ্টা করিনি। বহরমপুরের দুই একজন কবি বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে বলেছি, ওটা আমার কম্ম নয়। আমি যে কী ভালোবাসি কী ভালোবাসি না সেটা নিজেও কোনোদিন অনুধাবন করিনি। মা হা-হুতাশ করেছেন বহুবার --তুই যে কী চাস সেটা আজও বুঝলাম না। বিয়ের জন্য কয়েকবার পীড়াপীড়ি করেছিলেন। আমি অব্যাহতি চেয়েছি। আগে মেয়ে পছন্দের জায়গাটা অর্জন করি, তারপর। ভেবেছি স্কুল বদলের জন্য এবার অন্য জোনে পরীক্ষায় বসব। সে তো ঝুলে গেছে। এসএসসিতে নিয়োগ নেই। কী যে করি! ইচ্ছামতো এদিক-ওদিক বেড়াতে যেতে পারি না শিক্ষক হিসেবে একটা তকমা আঁটা হয়ে গেছে যে। লোকে ঠাট্টার চোখে দেখবে তার মধ্যেও ছল ছুতোয় বেড়ানোর চেষ্টা করি।

নতুন সেশন শুরু হয়েছে। এখন মার্চ চলছে। ছুটিছাটা তেমন নেই। তাই কলকাতা যেতে পারিনি। কোনো মাসে শনিবার ট্রেন ধরে গেলে রবিবার রাতে ফিরতে হয়। বিরক্তিকর জার্নি তাই যাইনি।

খেয়ালের বশবর্তী হয়ে আজ দরকারে বিকালে বেরিয়ে পড়লাম, খেয়া ঘাটের ওপারে যাব নিজাম উদ্দিন স্যারের বাড়িতে। উনার ছোট ছেলের খৎনার দাওয়াত দিয়েছেন। ইচ্ছে না থাকলেও সম্ভ্রম রাখতে যেতেই হবে ৷

মোটরবাইকে এগোচ্ছি নদীর অভিমুখে। অদূরে জল ছলছল করছে। মনে পড়ে গেল রাওফুন্নেসার কথা। এখানেই একদিন ওকে প্রথম দেখেছিলাম আজ আর যোগাযোগ নেই। জানি না বিএসসি শেষ করেছে কিনা নাকি হায়ার স্টাডির জন্য এখন অন্যত্র। খোঁজ নেবার চেষ্টা করেনি কোনোদিন। সে ছিল আমার দু'বছরের শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছিল ফার্স্ট ডিভিশনে। পাস করে দেখা করতে এসেছিল। আনন্দ পেয়েছিলাম সহবতে। ব্যাস, তারপরে সব ঝাপসা।

আজ কেন জানি না ওর কথা মনে পড়ছে। একটু থিতু হই। এখানে নৌকা পারাপার বলে কিছু নেই সাজানো বাসের উপর দিয়ে সমস্ত ছোট গাড়ি ও মানুষজন পারাপার করে। তাই অপেক্ষার সিঁড়ি ভাঙতে হয় না। কিন্তু আমি একটু দাঁড়িয়ে পড়লাম পারঘাটার উপকণ্ঠে। পরিচিত মানুষরা সৌজন্যতা দেখিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি কেন দাঁড়িয়ে আছি জানি না!

আবার কি এই জল ভেঙে সেদিনের মতো রাওফুন্নেসা উঠে আসবে? সিক্ত শরীরে সমস্ত পোশাক সামলে দাঁড়িয়ে বলবে, 'স্যার ভালো আছেন?' 
মনে মনে হেসে উঠি, অবান্তর ভাবনার অবকাশে ৷
আমি উন্মাদ হয়ে গেছি কি?
ভাবনার সমস্ত দেয়াল ভেঙে এই নদীর কাছে গিয়ে এইবার বলব, এখানে আর নয়। হে নদী, আমাকে থিতু করো।

এসজি

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি